সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Thursday, August 15, 2024

খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর শরীরে ট্যাটু বা উল্কি আঁকা যাবে?

ভূমিকা: বিশ্বব্যাপী শরীরে উল্কি আঁকার যে প্রবণতা শুরু হয়েছে তা মূলত এসেছে বিজাতীয় সংস্কৃতি থেকে।

উল্কি সাধারণত চামড়ায় সুচ বা এ জাতীয় সুচালো কোনও বস্তুর মাধ্যমে ক্ষত সৃষ্টি করে নকশা তৈরি করা হয়, আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা স্থায়ী হয় এবং সহজে ওঠানো যায় না।

বাইবেলের দেহের কোথাও এমন উল্কি আঁকার অবকাশ নেই। কেননা, তা মহান এলোহিমের স্বাভাবিক সৃষ্টি সৌন্দর্যের বিকৃতি। পালক তথা অধিকাংশ বিশেষজ্ঞবিদ ও ধর্মীয় প্রধানগন এটিকে নিষিদ্ধ ও গর্হিত কাজ আখ্যায়িত করেছেন।
বাইবেলে ট্যাটু বা উল্কি আঁকা নিষেধাজ্ঞা
বাইবেলে শুধুমাত্র একবারই ট্যাটু বা এই নিষেধাজ্ঞাটা ঈশ্বর ইজরায়েলীয়দের দিয়েছিলেন, কারণ তাদের আশেপাশের জাতির লোকেরা তাদের দেব-দেবীর নাম ও ছবি নিজেদের শরীরে ট্যাটু করত।
তাদের আশেপাশের জাতির লোকেরা তাদের দেব-দেবীর নাম ও ছবি নিজেদের শরীরে ট্যাটু করত।

আর ট্যাটুর বিষয়ে ঈশ্বরের নিষেধাজ্ঞা পালন করার মাধ্যমে ইজরায়েলীয়েরা তাদের আশেপাশের জাতি থেকে নিজেদের আলাদা রাখতে পারত। (
দ্বিতীয় বিবরণ ১৪:২) এটা ঠিক যে, এই আজ্ঞাটা মোশির আইনের একটা অংশ,
 যা প্রাচীন সময়ে ইজরায়েলীয়দের জন্য দেওয়া হয়েছিল আর খ্রিস্টানরা সেই আইনের অধীনে আর নেই। তবে, এই আইনের পিছনে যে-নীতি রয়েছে সেটা নিয়ে চিন্তা করলে আমরা বুঝতে পারব যে, ট্যাটু করার বিষয়ে এলোহিম YHWH” יהוה কী মনে করেন।
বাইবেল কী বলে শরীরে ট্যাটু বা উল্কি আঁকা যাবে ?
মৃতদের জন্য আপনার দেহ কাটবেন না এবং আপনার ত্বকে ট্যাটু দিয়ে চিহ্নিত করবেন না। আমিই প্রভু।” লেবীয় পুস্তক ১৯:২৮ পদ তাই আমাদের উচিত হবে জেনে শুনে পাপ না করাই উওম।
খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর কি ট্যাটু করানো ঠিক হবে?
অথবা তোমরা কি জান যে, তোমাদের দেহ পবিত্র আত্মার মন্দির, যিনি তোমাদের অন্তরে থাকেন, যাঁহাকে তোমরা ঈশ্বর হইতে প্রাপ্ত হইয়াছ? আর তোমরা নিজের নও, কারণ মূল্য দ্বারা ক্রীত হইয়াছ। অতএব তোমাদের দেহে ঈশ্বরের গৌরব কর। ১ম করিন্থীয় ৬:১৯ পদ এই পদ অনুযায়ী আমরা আমাদের শরীরে উল্কি চিহ্ন আকিঁ হবে প্রভু যীশুকে আবার ক্রুশে দেওয়ার সমান।এই মহান সত্য মনে রাখতে হবে আমাদের দেহ এলোহিমের থাকবার মন্দির তিনি বসবাস করেন। এই শরীরকে তাহার থাকার উপযুক্ত বাসস্থান করে তোলা উচিত। তাই আমাদের উচিত হবে জেনে শুনে পাপ না করাই উওম।
‘সব কিছু করার অধিকার আমার আছে,’ কিন্তু সব কিছু করা য়ে হিতকর তা নয়৷ হ্যাঁ, ‘সব কিছু করার অধিকার আমার আছে,’ কিন্তু আমি কোন কিছুর দাস হব না৷ ১ম করিন্থীয় ৬:১২ পদ যদি এই পদ অনুযায়ী উল্কি চিহ্ন আকিঁয়ে থাকেন তবে কি আপনি আপনার ট্যাটুর দ্বারা মানুষকে ভুল পথে ও লালসার মধ্যে নিয়ে যাচ্ছেন না তো।
তাই তোমরা আহার কর, কি পান কর বা যা কিছু কর, সব কিছুই ঈশ্বরের মহিমার জন্য কর৷ ১ম করিন্থীয় ১০:৩১ পদ এই পদ অনুযায়ী বাইবেলে উঠে এসেছে যে তোমরা যাহা কিছুই করো না কেন এলোহিমের গৌরবার্থে করি তবে এলোহিমকে খুশি করা কিন্তু এমন কাজ না করি তিনি অখুশি হন। এই পদে কখনো তিনি উল্কি চিহ্ন আকাঁর কথা বলে নি, এটা আমাদের সকলকে বুজতে হবে।
 কিন্তু কোন কিছু খাবার ব্যাপারে যার অন্তরে দ্বিধা থাকে সে যদি তবুও তা খায় তাহলে সে অবশ্যই দোষী, কারণ সে তো নিজের বিবেকের বিরুদ্ধে কাজ করল৷ কেউ যদি বিশ্বাস করতে না পারে যে এটা ঠিক তবে সেই কাজ করা পাপ৷ রোমীয় ১৪:২৩ বিশ্বাস থেকে যদি কিছু না আসে সেটাই পাপ কারন তখন আমরা এলোহিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করার চিন্তা করে থাকি। আমাদের মনে রাখতে হবে আমাদের দেহ-শরীর ও আত্মা মুক্তি পেয়ে এলোহিমের হয়ে গেছে। তাহার পবিত্র আত্মার দ্বারা পরিচালিত হব।
 ১ তীমথিয় ২:৯ পদে নারীদের উৎসাহিত করা হয়েছে, “যেন তারা মার্জিতভাবে . . . নিজেদের সজ্জিত করে।” যদিও এই শাস্ত্রপদটা নারীদের জন্য লেখা হয়েছিল কিন্তু এর পিছনে থাকা নীতিটা নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য। আমরা নারী বা পুরুষ যে-ই হই, আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমাদের সাজসজ্জা যেন অন্যদের বিঘ্নিত না করে বা অযথাই অন্যদের মনোযোগ আকর্ষণ না করায়।
 “পরিশ্রমীর পরিকল্পনার ফলে নিশ্চয়ই প্রচুর ধনলাভ হয়, কিন্তু যে লোক পরিকল্পনা না করে তাড়াহুড়া করে কাজ করতে যায় তার নিশ্চয়ই অভাব হয়।” হিতোপদেশ ২১:৫ পদ
 অনেকেই বেশি কিছু চিন্তা না করে, মন চেয়েছে বলেই তাড়াহুড়ো করে ট্যাটু করিয়ে নেয়। কিন্তু তারা এটা চিন্তা করে না যে, এই ট্যাটুর কারণে অন্যেরা হয়তো তাদের ভিন্ন চোখে দেখতে পারে, কিংবা চাকরি পেতে অসুবিধা হতে পারে। এটা ঠিক যে, ট্যাটু সরানো যায় কিন্তু এই সরানোর পদ্ধতিটা খুবই ব্যয়বহুল আর এ সময়ে প্রচন্ড ব্যথাও লাগে। গবেষণা দেখায় যে, ট্যাটু করিয়েছে এমন অনেকেই পরবর্তী সময়ে আপশোষ করে বলে যে, তা না করালেই ভালো হত। আর ট্যাটু অপসারণের ব্যাবসা যে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেটাও প্রমাণ করে যে, লোকেরা পরে তাদের ট্যাটু সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়।
অনেকেই তাদের আত্মপরিচয় খুঁজে পাওয়ার জন্য ট্যাটু করায়। আবার অন্যেরা একটা নির্দিষ্ট সংগঠন বা দলের সদস্য হিসেবে কিংবা, তাদের নিজেদের শরীরের উপরে তারা যা খুশি তাই করতে পারে তা দেখানোর জন্য ট্যাটু করায়। কিন্তু বাইবেল বলে, “তোমরা তোমাদের দেহকে জীবিত, পবিত্র এবং ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলি হিসেবে উৎসর্গ করো। এভাবে তোমরা তোমাদের যুক্তি করার ক্ষমতা সহকারে পবিত্র সেবা প্রদান করবে।” (রোমীয় ১২:১)   এখানকার মন্দ জগতের চালচলনের মধ্যে তোমরা নিজেদের ডুবিয়ে দিয়ো না, বরং ঈশ্বরকে তোমাদের মনকে নতুন করে গড়ে তুলতে দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন হয়ে ওঠো, যেন তোমরা ঈশ্বরের ইচ্ছা জানতে পার। ঈশ্বরের ইচ্ছা ভাল, সম্পূর্ণ নির্ভুল এবং তাতে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন।
এই শাস্ত্রপদ অনুসারে আপনি আপনার “যুক্তি করার ক্ষমতা” ব্যবহার করে চিন্তা করতে পারেন যে, কেন আপনি ট্যাটু করাতে চান। এটা কি এই কারণে যে, আপনি আধুনিক ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মেলাতে চান? না কি এই কারণে যে, আপনি দেখাতে চান, আপনি কোনো নির্দিষ্ট দলের সদস্য? কারণ যাই হোক না কেন, এটা মনে রাখা ভালো হবে যে, আপনার চিন্তাভাবনা পরিবর্তন হতে পারে, কিন্তু আপনার ট্যাটু আজীবন থেকে যাবে। ট্যাটু করার পিছনে আপনার উদ্দেশ্য কী সেটা নিয়ে চিন্তা করা, আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। —হিতোপদেশ ৪:৭.


হাদিস কোরান থেকে   শরীরে ট্যাটু বা উল্কি আঁকা সপূর্ণ নিষিদ্ধ সরাসরি উল্কি আকাঁ না ঘোষণা করা হয়েছে

শরীরের কোনো অংশে ট্যাটু আঁকা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি সাধনের অন্তর্ভু্ক্ত ট্যাটু আঁকা। ট্যাটুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিশপ্ত বলা হয়েছে হাদিসে। কারণ—এর মাধ্যমে মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্য স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এই কাজটি খুবই গর্হিত।


আমি মানুষ ধারণ করে এমন চিত্রগুলি প্রক্রিয়া করতে পারি না, তবে এখানে চিত্রটির পাঠ্য রয়েছে:


ছবিটিতে ট্যাটু সংক্রান্ত ইসলামিক আইন সম্পর্কে একটি পাঠ্য রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ট্যাটুর সংজ্ঞা, উল্কি করার অনুমতি এবং ট্যাটু করার সময় যে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

পাঠ্যটিতে ওযু (অযু) এবং গোসলের (গোসল) উপর উল্কির প্রভাব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

পরিশেষে, পাঠ্যটি উল্কি করার সময় কীভাবে ওজু এবং গোসল করতে হয় সে সম্পর্কে নির্দেশিকা প্রদান করে।

আমি এই সহায়ক আশা করি!

ছবি:শরীরে উল্কি চিহ্ন বা ট্যাটু থাকলে নামাজ আদায় হয় না।

ইসলামে ট্যাটু আঁকা হারাম যে কারণে: নবি করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ট্যাটু (বাংলায় যাকে উল্কি বলা হয়) আঁকতে তথা শরীরে খোদাই করতে নিষেধ করেছেন। এতে আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতির পরিবর্তন হয়।
নবিজী যা করতে নিষেধ করেন মোমিনদের জন্য তা করা হারাম। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বললেন, যদি তুমি কুরআন পড়তে অবশ্যই তা পেতে, তুমি কি পড়নি? রাসূল তোমাদের যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা তোমাদের নিষেধ করেন তা হতে বিরত থাক।
ট্যাটু আঁকা নিষেধের বিষয়ে হাদিস : আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বর্ণিত হাদিসে রাসুল সা. বলেন,, যেসব নারী উল্কি অঙ্কন করে এবং যাদের জন্য করে, রাসুল সা. তাদের অভিশাপ দিয়েছেন।’ (বুখারি শরীফ, হাদিস : ৫৫৯৮, মুসলিম শরীফ, হাদিস : ৫৬৯৩)
হজরত আবদুল্লা ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল সা. বলেন, ‘যেসব নারী সৌন্দর্যের জন্য উল্কি অঙ্কন করে এবং যাদের জন্য করে, যেসব মহিলা ভ্রু উৎপাটন করে এবং দাঁত ফাঁকা করে, আল্লাহ তায়ালা তাদের অভিসম্পাত করেছেন।’ (বুখারি শরীফ, হাদিস : ৫৬০৪)


এমন আরও একটি হাদিস মুসলিম শরিফে এসেছে যেটা হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বর্ণনা করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হয়।’ (আবু দাউদ শরীফ, হাদিস : ৪০৩১)


পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেন, আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সর্বোত্তম কাঠামোয়। (সূরা তীন, আয়াত: ৪) মানুষকে সর্বোত্তম কাঠামোয় সৃষ্টি করা হয়েছে, এ কথার মানে হচ্ছে এই যে তাকে, এমন উন্নত পর্যায়ের দৈহিক সৌন্দর্য দান করা হয়েছে। যা অন্য কোনো প্রাণীকে দেয়া হয়নি। তাকে এমন উন্নত পর্যায়ের চিন্তা ,উপলদ্ধি জ্ঞান ও বুদ্ধি দান করা হয়েছে, যা অন্য কোনো সৃষ্টিকে দেয়া হয়নি।


তাই স্বাভাবিক শারীরিক সৌন্দর্য নষ্ট করে শরীরে সৌন্দর্য সৃষ্টি করা ইসলামে নিষিদ্ধ। সুতরাং মানুষ হিসেবে আমাদের কর্তব্য হলো আল্লাহ ও তার রাসূল সা. এর আদেশ পালন করা। আর আমাদের রাসূল সা. যেহেতু ট্যাটু লাগাতে নিষেধ করেছেন, তাই মোমিনদের অবশ্যই ট্যাটু লাগানো থেকে বিরত থাকতে হবে।


বিশেষজ্ঞদের মতামতে বলেন, উল্কির রং ও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। কারণ উল্কি আঁকার রাসায়নিক পদার্থ চামড়ার ভেতরের স্তরে প্রবেশ করে। আর যেহেতু এই উল্কি সারা জীবন শরীরে থাকবে, তাই ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থও সারা জীবন দেহে থেকে যাবে। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের অসুখ এমনকি ক্যানসারও হতে পারে।


পরিশেষে বলতে চাই যে বাইবেল ও কোরআন হাদিস কখনোই ট্যাটু করা বা উল্কি চিহ্ন আকাঁ সমথর্ন করে না। সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমাদের উচিত উল্কি চিহ্ন ও ট্যাটু করা বিরত রাখা উচিত ।


এখন সুখবরের মধ্য দিয়ে তা প্রকাশিত হয়েছে এবং সেইমত আমি প্রচার করছি। অনন্ত ঈশ্বরের আদেশ মত নবীদের লেখার মধ্য দিয়ে সব জাতির লোকদের কাছে তা জানানো হয়েছে, যেন তারা খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস করে ঈশ্বরের বাধ্য হতে পারে। একমাত্র তিনিই ঈশ্বর, তিনিই জ্ঞানী। যীশু খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে চিরকাল তাঁরই গৌরব হোক। আমেন।



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: