সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Monday, August 5, 2024

স্বধর্মত্যাগ বা নিজের ধর্ম ত্যাগ সম্পর্কে বাইবেল কি বলে?

ভূমিকাঃ স্বধর্মত্যাগের נְטִישָׁה জন্য আইন নির্ধারিত শান্তির ব্যাপারে ঐকমত্যের যে অভাব রয়েছে তার ব্যবহারিক প্রয়োগ দেখানো। স্বধর্মত্যাগ পরিভাষাটি বাইবেল থেকে কোন বিশেষ অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে তা স্পষ্ট করা।

বাইবেল থেকে আমরা পেয়েছি এবং প্রথা ও আচার-আচরণ, জ্ঞানের অন্যতম উৎস হিসেবে বিবেচিত, তাঁর শিষ্য যতটুকু মূল্যায়ন আমাদের জন্য অনুমোদিত, স্বধর্মত্যাগের ব্যাপারে এমন যেখানে যত তথ্য প্রমাণ আছে তার কোথাও আইন নির্ধারিত নির্দিষ্ট শান্তির বিধান নেই যতদিন না কেউ খ্রীস্টধর্ম ত্যাগ করে ভিন্ন বিশ্বাস গ্রহণ করার সাথে অন্য কোনো অপরাধমূলক কাজের সহযোগী না হবেন। মানুষের জন্য বিবেচ্য তাদের সব ইচ্ছা, অভিমত, চিন্তা, মনোভাব, কাজের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে।

এ গবেষণা পদ্ধতিতে দার্শনিক, বিশ্লেষণাত্মক এবং গবেষণার ঐতিহ্যগত ও ঐতিহাসিক পদ্ধতি ও পাঠ সম্পর্কিত জ্ঞান এবং এ সংক্রান্ত জ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রের প্রথাগত পন্থায় প্রস্তাব করা হয়েছে। বাইবেল হলো সব রায় বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের মৌলিক নীতিমালার প্রধান উৎস ও ভিত্তি।

ধর্ম ত্যাগ একটি মহা পাপ। শুরুতেই বলি স্ব ধর্মে নিধনং শ্রেয় পর ধর্ম ভয়াবহ। ধর্ম ত্যাগ করা মানে ধর্মকে অপমান করা। সে যেই ধর্মের হোক না কেন? খ্রিষ্টান ধর্ম কখনই ধর্ম ত্যাগকে স্বীকৃতি দেয় না। কোন ব্যক্তি যে ধর্মে জন্মেছে তার কাছে সেই ধর্মই শ্রেষ্ঠ।

স্বধর্মত্যাগ বা নিজের ধর্ম ত্যাগ ‭বাইবেল কি বলে তা জেনে নিই। 

স্বধর্মত্যাগে পবিএ বাইবেলের বক্তব্য; কিন্তু যদি তাঁহাকে ত্যাগ কর, তবে তিনি তোমাকে চিরকালের জন্য দূর করিবেন। ১ বংশাবলি ২৮:৯ পদ

 বরং আমার নিজ দেহকে প্রহার করিয়া দাসত্বে রাখিতেছি, পাছে অন্য লোকদের কাছে প্রচার করিবার পর আমি নিজে কোন ক্রমে অগ্রাহ্য হইয়া পড়ি।‭১ করিন্থীয় ৯:২৭ পদ

বাইবেলের দৃষ্টিতে স্বধর্মত্যাগীদের শাস্তি; সদাপ্রভু এই কথা কহেন, যে ব্যক্তি মনুষ্যে নির্ভর করে, মাংসকে আপনার বাহু জ্ঞান করে, ও যাহার অন্তঃকরণ সদাপ্রভু হইতে সরিয়া যায়, সে শাপগ্রস্ত। সে মরুভূমিস্থ ঝাউ গাছের সদৃশ হইবে, মঙ্গল আসিলে তাহার দর্শন পাইবে না, কিন্তু প্রান্তরের উত্তপ্ত স্থানে ও নিবাসীহীন লবণ-ভূমিতে বাস করিবে। যিরমিয় ১৭:৫-৬ পদ

কিন্তু আত্মা স্পষ্টই বলিতেছেন, উত্তরকালে কতক লোক ভ্রান্তিজনক আত্মাদের মধ্যে ও ভূতগণের শিক্ষামালায় মন দিয়া বিশ্বাস হইতে সরিয়া পড়িবে। ইহা এমন মিথ্যাবাদীদের কপটতায় ঘটিবে, যাহাদের নিজ বিবেক তপ্ত লৌহের দাগের মত দাগযুক্ত হইয়াছে। ‭১ তীমথিয় ৪:১-২ পদ

ধর্মত্যাগ কি মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ; আবার, কোন ধার্মিক লোক যদি আপন ধার্মিকতা হইতে ফিরিয়া অন্যায় করে, আর আমি তাহার সম্মুখে বিঘ্ন রাখি, তবে সে মরিবে; তুমি তাহাকে চেতনা না দিলে সে নিজ পাপে মরিবে, এবং তাহার কৃত ধর্মকর্ম সকল আর স্মরণে আসিবে না; কিন্তু আমি তোমার হস্ত হইতে তাহার রক্তের প্রতিশোধ লইব। যিহিষ্কেল ৩:২০ পদ

কেহ যদি আমাতে না থাকে, তাহা হইলে শাখার ন্যায় তাহাকে বাহিরে ফেলিয়া দেওয়া যায় ও সে শুকাইয়া যায়; এবং লোকে সেগুলি কুড়াইয়া আগুনে ফেলিয়া দেয়, আর সেই সকল পুড়িয়া যায়। ‭যোহন ১৫:৬ পদ

মানব জাতির বিশ্বাসের মৌলিক বৈশিষ্ট্য হলো তার একটি বিশেষ দায়িত্ব আছে। ইয়াওয়ে יהוה , তাকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে বিশেষ যোগ্যতা ও দায়িত্ব দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তাকে সম্পূর্ণ ও অবাধ পছন্দের স্বাধীনতা দিয়েছেন। যাঁরা স্বধর্মত্যাগের জন্য মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করেছেন, তাঁরা সাধারণভাবে ভিত্তি ধরেছেন তাঁদের সময়ে সংঘটিত কিছু সত্য ঘটনাকে। তাঁরা যে সমাজে ও সময়ে বসবাস করতেন তখন স্বধর্মত্যাগকে উপলব্ধি করা হতো ব্যক্তির বিশ্বাস বদলের সাথে সাথে ব্যাপকভাবে এর প্রভাব মুসলিম সমাজের একজন থেকে অন্যজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া, জীবনের আনুগত্য, এর সাথে সংশ্লিষ্ট জীবনাচরণ, আইন- বিধান ও সংস্কৃতি প্রত্যাখ্যান করা থেকে। এ ক্ষেত্রে ধর্ম অবিশ্বাস করাকে দেখা হতো সকল কিছুকে সমানভাবে প্রত্যাখ্যান করার শামিল বলে যার ওপর ভিত্তি করে খ্রীষ্ট সমাজ প্রতিষ্ঠিত।

উপসংহারঃ আলোচ্য বিষয় অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ। খ্রীষ্টবিশ্বাস থেকে বের হয়ে যাওয়ার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করেন না। তিনি এ গ্রন্থে মৃত্যুদণ্ডের পক্ষের প্রবক্তাদের বিরোধপূর্ণ যুক্তিতর্ক পেশ করার পাশাপাশি বাইবেল উল্লেখিত সমুন্নত বিশ্বাসের স্বাধীনতার পক্ষে জোরালো যুক্তি তুলে ধরা হয়। যতদিন একজন স্বধর্ম ত্যাগকারী বিচারযোগ্য অন্য কোনো অপরাধের সাথে জড়িত না হবেন, লেখকের মতে ততদিন বিষয়টি ইয়াওয়ে יהוה , শুধু  ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

বাইবেল একজন অবিশ্বাসীকে বিশ্বাস ত্যাগের পর বারবার ফিরে আসার সুযোগের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে, তাদের হত্যা করা উচিত কিংবা শান্তি দিতে হবে এমন কথা বলেনি- বাইবেলে এ সত্যের দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। পবিত্র বাইবেল  নির্দেশানুসারে ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়া কারো জীবন নেওয়া সমস্ত মানবজাতিকে হত্যা করার শামিল। সুতরাং, ভালোবাসা ও ন্যায়বিচারের স্বার্থের সাথে জড়িত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিশ্বাসের স্বাধীনতা। স্বধর্মত্যাগ বিষয়টিই স্বচ্ছভাবে সবার উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হয়েছে


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

1 comment: