বাইবেল পর্যালোচনা

সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

সর্বশেষ

Monday, August 11, 2025

“যীশু আমাদের স্বর্গে নিয়ে যাবেন,বাইবেলের নিশ্চয়তা”

“যীশু আমাদের স্বর্গে নিয়ে যাবেন,বাইবেলের নিশ্চয়তা”

ভূমিকাঃ মানুষ জন্মের পর থেকেই মৃত্যুর বাস্তবতা সম্পর্কে সচেতন। কিন্তু মৃত্যুর পর কী আছে। এই প্রশ্নের উত্তর পেতে পৃথিবীর অসংখ্য ধর্ম, দর্শন ও মতবাদ চেষ্টা করেছে। কেউ বলে সব শেষ, কেউ বলে অন্যজগতে পুনর্জন্ম, কেউ আবার বলে বিচার দিবসে ফলাফল হবে।

কিন্তু বাইবেল একটি স্পষ্ট ও আনন্দময় উত্তর দেয় যারা যীশু খ্রিস্টে বিশ্বাস করে, তাদের জন্য অপেক্ষা করছে এক চিরন্তন স্বর্গ যেখানে আর মৃত্যু, দুঃখ বা ব্যথা নেই। যীশু নিজেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি আমাদের জন্য জায়গা প্রস্তুত করছেন এবং একদিন এসে আমাদের তাঁর কাছে নিয়ে যাবেন। 

এই লেখায় আমরা দেখব, বাইবেলের সেই প্রতিশ্রুতিগুলো যা আমাদের নিশ্চিত আশা দেয়।  যে স্বর্গ শুধুই স্বপ্ন নয়, বরং খ্রিস্টের সঙ্গে থাকা এক বাস্তব গন্তব্য।মানুষ চিরকাল ধরে এক প্রশ্ন করে এসেছে:“আমার পর মৃত্যুর গন্তব্য কোথায়?”

যারা যীশু খ্রিস্টে বিশ্বাস রাখে, বাইবেল তাদের জন্য একটি নিশ্চিত, আনন্দময় ও প্রশান্তিময় উত্তর দেয়: তোমার গন্তব্য যীশুর সঙ্গে চিরন্তন স্বর্গ।

১. যীশুর প্রতিশ্রুতি: “আমি তোমাদের জন্য জায়গা প্রস্তুত করি”যোহন ১৪:২-৩পদ
আমি তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করিতে যাচ্ছি। আর আমি গেলে এবং প্রস্তুত করিলে, আমি আবার আসিব, এবং তোমাদেরকে আমার কাছে গ্রহণ করিব, যাহাতে আমি যেখানে থাকি, তোমরাও সেখানে থাকো।”
যীশুর এই কথাগুলো কেবল সান্ত্বনা নয় — এটি প্রতিশ্রুতি। তিনি তাঁর অনুসারীদের জন্য স্বর্গে জায়গা তৈরি করছেন।

২. যীশু আমাদের আবার তুলে নেবেন
 ১ম থিসালনীকীয় ৪:১৬-১৭ পদ
 “প্রভু নিজে স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিবেন... এবং আমরা... প্রভুর সাক্ষাতে আকাশে ধরা হইব। এবং এমন করিয়া আমরা সদা প্রভুর সঙ্গে থাকিব।”
যীশু আবার আসবেন, জীবিত ও মৃত বিশ্বাসীদের একত্রে স্বর্গে নিয়ে যাবেন।

৩. আমাদের রূপান্তরিত করা হবে — আমরা হব যীশুর মতো ফিলিপীয় ৩:২১পদ
 “তিনি আমাদের নীচ হইতে থাকা দেহকে নিজের মহিমাময় দেহের অনুরূপ করিবেন।”
সেই দিনে আমরা আর পাপ, ব্যথা বা মৃত্যুতে আবদ্ধ থাকবো না, বরং যীশুর মতো মহিমায় উদ্ভাসিত হব।
৪. পরিত্রাণ শুধু এই জীবনের জন্য নয় — তা চিরন্তনের জন্য  তীত ২:১৩-১৪পদ
আমরা সেই ধন্য আশার এবং মহিমায় প্রকাশিত হইবার অপেক্ষা করিতেছি, আমাদের মহান ঈশ্বর ও পরিত্রাতা যীশু খ্রীষ্টের

যীশুর প্রতিশ্রুতি হলো, তিনি ফিরে আসবেন এবং আমাদের চিরন্তন রাজ্যে নিয়ে যাবেন।

শেষ কথা: তুমি কি প্রস্তুত?
যীশু আমাদের জন্য পথ তৈরি করেছেন। তাঁর মৃত্যু ও পুনরুত্থান সেই পথের দ্বার খুলেছে।
প্রশ্ন হলো: তুমি কি সেই পথে হাঁটছো?
আজই যীশুকে বিশ্বাস করো  আর যদি ইতিমধ্যেই করো, তবে এই আশ্বাসে আনন্দিত হও:
“আমি জীবন্ত পথ, সত্য ও জীবন। আমার দ্বারা না হলে কেউ পিতার কাছে আসিতে পারে না।” যোহন ১৪:৬ পদ
উপসংহারঃ জীবন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু যীশুর প্রতিশ্রুতি চিরস্থায়ী। তিনি কেবল আমাদের পাপ থেকে মুক্ত করেননি। তিনি আমাদের জন্য এক স্বর্গীয় গন্তব্য প্রস্তুত করেছেন, যেখানে থাকবে অনন্ত আনন্দ, শান্তি ও ঈশ্বরের উপস্থিতি।
আজ তুমি হয়তো জীবনের নানা ব্যথা, অনিশ্চয়তা বা অন্ধকারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছো। কিন্তু যীশুর দেওয়া এই আশা মনে রাখো:
 “যেখানে আমি থাকি, তোমরাও সেখানে থাকবে” (যোহন ১৪:৩) পদ
তাহলে প্রশ্ন হলো তুমি কি প্রস্তুত?
যদি এখনো যীশুকে ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ না করে থাকো, আজই তাঁকে বিশ্বাস করো এবং এই চিরন্তন আশ্বাসের অংশীদার হও। আর যদি ইতিমধ্যেই তাঁর সঙ্গে চলছো, তবে এই প্রতিশ্রুতির আনন্দে স্থির থেকো এবং অন্যদেরও সেই আশা পৌঁছে দাও।

Sunday, August 10, 2025

পারাক্লিতস কে?

পারাক্লিতস কে?

লেখকঃ পাষ্টর জনসন সরকার।

দাবিঃপারাক্লিতস  হলেন হযরত মুহাম্মদ           

ত্তরঃ অনেক আগে থেকেই অনেক মুসলিম প্রচারকরা দাবি করে আসছেন যেহযরত মুহাম্মদ হলেন "পারাক্লীতস" পারাক্লিতস হলো গ্রীক শব্দ যার অর্থ হলোঃ সহায়পক্ষমর্থনকারী ,উকিল প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন, "আমি পিতার নিকটে নিবেদন করিবএবং তিনি আর এক সহায় তোমাদিগকে দিবেনযেন তিনি চিরকাল তোমাদের সংগে থেকেন; তিনি সত্যের আত্মা"[যোহন ১৪:১৫;]

প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বলেছেনআর এক সহায় ["পারাক্লীতস"] এর আসবার কথাকিন্তু দাওয়া প্রচারকরা দাবি করেন এখানে সহায়ের কথা বলা হচ্ছে না বরং এখানে হযরত মুহাম্মদের বিষয়ে বলা হয়েছে

["আমি পিতার নিকটে নিবেদন করিবএবং তিনি আর এক "মুহাম্মদ" তোমাদিগকে দিবেন;"]প্রশ্ন উঠে এখানে যদি বলা হয় আরেক জন "মুহাম্মদের কথাতবে প্রথম মুহাম্মদ টি কেকিন্তু পবিত্র আত্মার সাথে এটি মিলে যায় 

"সেই সহায় যেন চিরকাল তোমাদের [খ্রীষ্টনদেরসংগে থাকেন"

এখন প্রশ্ন হলো হযরত মুহাম্মদ কি চিরকাল জীবিত ছিলেনআর যদি তিনি চিরকাল জীবিত না থাকতে পারেন তবে তিনি কিভাবে চিরকাল প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুসারিদের সংগে থাকবেনকিন্তু পবিত্র আত্মার সাথে এটি মিলে যায় কারন পবিত্র আত্মা চিরকাল প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুসারিদের সংগে থাকতে পারেন যা কোন ব্যক্তির পক্ষে অসম্ভব

 "তিনি সত্যের আত্মা"

কুরআনে কোথাও কি বলা হয়েছে হযরত মুহাম্মদ সত্যের আত্মানা গোটা কুরআনে কোথাও বলা হয় নি যে,  হযরত মুহাম্মদ ছিলেন সত্যের আত্মা সাধারন অর্থে কোন মানুষকে আত্মা বলাটাও ভূল কিন্তু পবিত্র আত্মার সাথে এটি মিলে যায় কারন প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন, "আমি...সত্য" [যোহন ১৪:;] সেই জন্য পবিত্র বাইবেলে  ঈশ্বরের আত্মকে খ্রীষ্টের আত্মা বলেও উল্লেখ করা হয়েছে [রোমীয় :;] তাই সত্যের আত্মা বলতে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের আত্মাকেও বোঝায় কুরাআনে কোন স্থানে হযরত মুহাম্মদকে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের আত্মা বলে উল্লেখ করা হয় নি। তবে তিনি কিভবে সত্যের আত্মা হতে পারেন?

"জগত তাকে গ্রহন করিতে পারে না, কেননা সে তাঁহাকে দেখে না, তাঁহাকে জানেও না; কিন্তু তোমরা তাঁহাকে জান, কারন তিনি তোমাদের অন্তরে থাকিবেন"[যোহন ১৪:১৭;]

"জগত তাকে গ্রহন করিতে পারে না"

ইসলামের ইতিহাস পড়লে দেখা যায় হযরত মুহাম্মদ জীবিত থাকা অবস্থায় তার অনেক অনুসারি করে ফেলেছিলেন এবং তিনি অনেক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন কিন্তু বাক্যে লেখা আছেসেই সহায়কে মানুষেরা গ্রহন করে না অথচ হযরত মুহাম্মদকে অনেক মানুষ গ্রহন করেছিল তার জীবনদশাতেই তাই এই কথাটি তার সংগে মেলে না

"কেননা সে তাঁহাকে দেখে না তাঁহাকে জানেও না"

এখানে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে এই জগতের কেউ তাকে দেখতে পায় না, হযরত মুহাম্মদ একজন দৃশ্যমান ব্যক্তি ছিলেন তাই সকলে তাকে খালি চোখেই দেখতে পেতেন এবং তিনি তার সময়ে বেশ পরিচিতি লাভ করেছিলেন  তাই এই ভবিষ্যৎবানীর একটিও কথা তার সংগে  মেলে না

"আমি তোমাদিগকে অনাথ রাখিয়া যাইব না"[যোহন ১৪:১৮;]

প্রভু যীশু খ্রীষ্ট পবিত্র আত্মাকে সহায়/অভিভাবক হিসাবে উল্লেখ করেছেনকিন্তু কুরআনে সুস্পষ্টভাবে লেখা আছে , হযরত মুহাম্মদ কারো অভিভাবক নন[সূরা ১০ ইউনুস আয়াত ১০৯;] তাই যিনি নিজেই অভিভাবক [আরবীঃ বিওয়াকীল]  হতে অস্বীকার করেছেন তিনি কিভাবে সেই সহায় হতে পারেনঅন্যদিকে পবিত্র বাইবেলের দৃষ্টিতে আমারা দেখতে পাই যখন প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুসারীরা তার অনুপস্থিতে অনাথঅসহায় হয়ে পড়েছিল তখন পবিত্র আত্মা তাদের সহায় হয়ে চিরকালের জন্য জগতে নেমে এসেছিলেন [ প্রেরিত২:-;]

"কিন্তু সেই সহায়পবিত্র আত্মাযাঁহাকে পিতা আমার নামে পাঠাইয়া দিবেনতিনি সকল বিষয়ে তোমাদিগকে শিক্ষা দিবেন এবং আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা বলিয়াছিসেই সকল স্মরন করাইয়া দিবেন"[যোহন১৪:২৬;]

প্রভু যীশু খ্রীষ্ট এখানে সুষ্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে সেই সহায় আত্মা হযরত মুহাম্মদ নন বরং পবিত্র আত্মা প্রভু যীশু মৃত্যুকে জয় করার পর তার অনুসারিদের বলেছিলেন ,"পবিত্র আত্মা তোমাদের উপরে আসিলে তোমরা শক্তি প্রাপ্ত হইবেআর তোমরা যিরূশালেমেসমুদয় যিহূদিয়া  শমরিয়া দেশেএবং পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত আমার সাক্ষী হইবে"[প্ররিত :;] পবিত্র বাইবেল বলে, "তাঁহারাশিষ্যরাসকলে পবিত্র আত্মায় পূর্ন  হলেন"[প্রেরিত :;] এবং তিনি বলেছেন ,"সেই সত্যের আত্মা আমার (প্রভু যীশু খ্রীষ্টের) নামে আসবেন"

পবিত্র আত্মা বিশ্বাসিদের হৃদয়ে "যীশু" নামে প্রকাশিত হবেন, হযরত মুহাম্মদের নাম কি যীশু ছিল নাকি তিনি যীশুর নামে প্রকাশিত হয়েছিলেন? নিশ্চইয় নয়।

প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন, “সত্যের আত্মা পিতার মধ্য হতে বের হয়ে আইসেন” অর্থাৎ তিনি পিতা ঈশ্বরের অংশঃ  “যাঁহাকে আমি পিতার নিকট হইতে তোমাদের কাছে পাঠাইয়া দিব, সত্যের সেই আত্মা, যিনি পিতার নিকট হইতে বাহির হইয়া আইসেন- যখন সেই সহায় আসিবেন- তিনিই আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দিবেন।”[যোহন১৫:২৬;]

ঠিক তেমনি প্রভু যীশু খ্রীষ্ট নিজের ক্ষেত্রেও বলেছেন , “তিনি পিতার মধ্যে হতে বের হয়ে এসেছেন” অর্থাৎ তিনি পিতা ঈশ্বরের অংশঃ আমি পিতা হইতে বাহির হইয়াছি, এবং জগতে আসিয়াছি; আবার জগৎ পরিত্যাগ করিতেছি, এবং পিতার নিকটে যাইতেছি” [যোহন১৫:২৮;]

পুত্র এবং পবিত্র আত্মা উভয়ে পিতা হতে বের হয়ে এসেছেন তারা 'পিতা ঈশ্বরের জাত' আর সেই জন্যই খ্রীষ্টানরা ত্রিত্ববাদে বিশ্বাস করে হযরত মুহাম্মদ কি পিতা ঈশ্বরের মধ্যে হতে বের হয়ে এসেছিলেন? নিশ্চয়ই নয়।

 

সাধারন অভিযোগঃ পবিত্র আত্মা  আগে থেকেই ছিল তবে সে সহায় পবিত্র আত্মা কি করে হতে পারে?

উত্তরঃ প্রভু যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে আসার আগে থেকেই ছিলেন কিন্তু একটা নিদৃষ্ট সময়ে তাকে এই জগতে প্রেরন করা হয়েছে। যখন ইহুদিরা তাকে প্রশ্ন করল "তুমি কি অব্রাহামকে দেখিয়াছযীশু তাহাদিগকে কহিলেনসত্য,সত্যআমি তোমাদিগকে বলিতেছিঅব্রাহামের জন্মের পূর্বাধি আমি আছি"[যোহন :৫৮;]

ঠিক তেমনি পবিত্র আত্মাও শুরু থেকেই আছেন কিন্তু  তাকে একটা নিদৃষ্ট সময়ে  এই জগতে প্রেরন করা হয়েছে। প্রথম অস্থায় পবিত্র আত্মা ঈশ্বরের লোকেদের কাছে আসতেন এবং চলেও যেতেন[১শমূয়েল ১০:-১৩১৬:১৪;]

পবিত্র বাইবেল এটাও বলে যে একটা সময়ে পবিত্র আত্না সবার উপরে নেমে আসবেন [যোয়েল :২৮-২৯;] এবং পবিত্র বাইবেল আমাদেরকে এটাও সুস্পষ্টভাবে বলে যে পঞ্চাশত্তমীর দিনে এই ভবিষ্যৎবানীটি পূর্ন হয় এবং পবিত্র আত্মার যুগের সূচনা হয় [প্রেরিত :-১৭-১৮;]।

ইহুদিরা যখন হযরত মুহাম্মদকে পবিত্র আত্মা নিয়ে প্রশ্ন করেছিল তখন হযরত মুহাম্মদ নিজেই বলতে পারেন নি যে পবিত্র আত্মাকে? 

সহি মুসলিম হাদিস একাডেমি নাম্বারঃ ৬৯৫২, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ২৭৯৪

৬৯৫২-(৩২/২৭৯৪) উমর ইবনু হাফস্ ইবনু গিয়াস (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে এক ফসলি জমিতে চলছিলাম। সে সময় তিনি একটি খেজুর শাখার ছড়ির উপর ভর দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনি ইয়াহুদীদের একটি দলের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। তখন তারা একজন আরেকজনকে বলাবলি করতে লাগল, রূহ সম্বন্ধে তাকে প্রশ্ন করো। তাদের কেউ বলল, কি সন্দেহ তৈরি হয়েছে তোমাদের যে, তোমরা তাকে প্রশ্ন করবে? তোমাদের যেন এমন কথার সম্মুখীন না হতে হয়, যা তোমরা অপছন্দ করো। এরপরও তারা বলল, তাকে অবশ্যই প্রশ্ন করো। পরিশেষে তাদের কেউ উঠে গিয়ে তাকে রূহ সম্বন্ধে প্রশ্ন করল। রাবী বলেন, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ রইলেন। তার কোন উত্তর দিলেন না। আমি বুঝতে পারলাম, তার উপর ওয়াহী অবতীর্ণ হচ্ছে। রাবী বলেন, আমি নিজের স্থানে দাঁড়িয়ে রইলাম। এরপর ওয়াহী অবতীর্ণ শেষ হলে তিনি বললেন, "তোমাকে তারা রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে; বলো, রূহ আমার প্রতিপালকের একটি আদেশ মাত্র এবং তোমাদের অতি নগণ্য জ্ঞান দেয়া হয়েছে" (সূরা আল ইসরা ১৭ঃ ৮৫)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৮০২, ইসলামিক সেন্টার ৬৮৫৬)

https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=54050 

যিনি নিজেই বলতে পারনে না পবিত্র আত্মা সম্পর্কে তিনি কিভাবে নিজেই পবিত্র আত্না হতে পারেন? 

তাই কোন যুক্তিতেই প্রমানিত হয় না যেহযরত মুহাম্মদ সেই সত্যের আত্না


Friday, August 8, 2025

 বাইবেলের সংখ্যা-বিভ্রাট? ২৪ হাজার না ২৩ হাজার!

বাইবেলের সংখ্যা-বিভ্রাট? ২৪ হাজার না ২৩ হাজার!

লেখকঃ পাষ্টর জনসন সরকার।

সমালোচকদের দাবিঃ যাহারা ঐ মহামারীতে মরিয়াছিল, তাহারা চব্বিশ সহস্র লোক।-গণনাপুস্তক ২৫:৯; অথচ প্রেরিত পৌল বলেছেন ২৩ হাজার যদিও পুরাতন নিয়মে ২৪ হাজার লেখা আছে,

আর যেমন তাঁহাদের মধ্যে কতক লোক ব্যভিচার করিয়াছিল, এবং একদিনে তেইশ হাজার লোক মারা পড়িল, আমরা যেন তেমনি ব্যভিচার না করি।- ১ করিন্থীয়১০:৮; বিবিএস কেরী ভার্সন 

জবাবঃ আমরা যদি গণনাপুস্তকের ঘটনাটি পড়ে দেখি তবে দেখতে পাই এখানে মহামারীতে মৃত লোকেদের সর্ব মোট সংখ্যা উল্লেখ করেছে এবং এখানে দীর্ঘ মেয়াদি দিনের বিষয়ে দেখতে পাওয়া যায় এবং এখানে এটা বর্ণনা করা হয় নি যে মহামারী কতদিন ঘটেছিলঃ

“পরে ইস্রায়েল শিটীমে বাস করিল, আর লোকেরা মোয়াবের কন্যাদের সহিত ব্যভিচারে লিপ্ত হইল।  সেই কন্যারা তাহাদিগকে আপনাদের দেব-প্রসাদ ভোজনের নিমন্ত্রণ করিল, এবং লোকেরা ভোজন করিয়া তাহাদের দেবগণের কাছে প্রণিপাত করিল। আর ইস্রায়েল বাল্‌-পিয়োর [দেবের] প্রতি আসক্ত হইতে লাগিল; অতএব ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর ক্রোধ প্রজ্বলিত হইল। সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন, তুমি লোকদের সমস্ত অধ্যক্ষকে সঙ্গে লইয়া সদাপ্রভুর উদ্দেশে সূর্যের সম্মুখে উহাদিগকে টাঙ্গাইয়া দেও; তাহাতে ইস্রায়েলের উপর হইতে সদাপ্রভুর প্রচণ্ড ক্রোধ নিবৃত্ত হইবে। তখন মোশি ইস্রায়েলের বিচারকর্তৃগণকে কহিলেন, তোমরা প্রত্যেকে বাল-পিয়োরের প্রতি আসক্ত আপন আপন লোকদিগকে বধ কর। আর দেখ, মোশির ও ইস্রায়েল-সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীর সাক্ষাতে ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে এক পুরুষ আপন জ্ঞাতিগণের নিকটে এক মিদিয়নীয়া স্ত্রীকে আনিল, তৎকালে লোকেরা সমাগম-তাম্বুর দ্বারে রোদন করিতেছিল। তাহা দেখিয়া হারোণ যাজকের পৌত্র ইলিয়াসরের পুত্র পীনহস মণ্ডলীর মধ্য হইতে উঠিয়া হস্তে বর্শা লইলেন; আর সেই ইস্রায়েলীয় পুরুষের পশ্চাৎ পশ্চাৎ কুঠরিতে প্রবেশ করিয়া ঐ দুই জনকে, সেই ইস্রায়েলীয় পুরুষকে এবং পেট দিয়া সেই স্ত্রীকে, বিদ্ধ করিলেন; তাহাতে ইস্রায়েল-সন্তানগণ হইতে মহামারী নিবৃত্ত হইল। যাহারা ঐ মহামারীতে মরিয়াছিল, তাহারা চব্বিশ সহস্র লোক।- গণনাপুস্তক ২৫:১-৯; বিবিএস কেরী ভার্সন 

অন্যদিকে প্রেরিত পৌল তার চিঠিতে মহামারীর “একদিনে” মৃত্যুর হিসাব দিয়েছেন মোট মৃত্যুর তালিকা দেন নি। তিনি উল্লেখক করেছেন “এক দিনে ২৩ হাজার লোক মহামারীতে মৃত্যুবরন করেছিল”

“আর যেমন তাঁহাদের মধ্যে কতক লোক ব্যভিচার করিয়াছিল, এবং একদিনে তেইশ হাজার লোক মারা পড়িল, আমরা যেন তেমনি ব্যভিচার না করি।”- ১ করিন্থীয়১০:৮;

গণনাপুস্তক ২৫:৯; থেকে জানা যায় মহামারীতে মোট ২৪ হাজার লোক মারা গিয়েছিল এবং ১ করিন্থীয়১০:৮; উল্লেখ করা হয়েছে “এক দিনের” মৃত্যের সংখ্যা তাই এখানে কোন বৈপরীত্ব নেই।

Monday, July 28, 2025

 সূরা মায়িদা ৫:৪৬ আয়াত- পথের নির্দেশ ও আলো ‘ছিল’ নাকি ‘আছে’? “কোরআনের সূরা মায়িদা ৫:৪৬ আয়াতে বলা হয়েছে যে, ‘উহাতে (ইঞ্জিলে) ছিল পথের নির্দেশ ও আলো’ (অতীত কাল)।”

সূরা মায়িদা ৫:৪৬ আয়াত- পথের নির্দেশ ও আলো ‘ছিল’ নাকি ‘আছে’? “কোরআনের সূরা মায়িদা ৫:৪৬ আয়াতে বলা হয়েছে যে, ‘উহাতে (ইঞ্জিলে) ছিল পথের নির্দেশ ও আলো’ (অতীত কাল)।”

 ভূমিকা:ধর্মগ্রন্থের ভাষা ও কালচেতনা ব্যাখ্যার সময় অতীত ও বর্তমান কালের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কোরআনের সূরা মায়িদা ৫:৪৬ আয়াতে বলা হয়েছে।

> "আর আমরা তাদের পশ্চাতে ইসা ইবনে মরিয়মকে প্রেরণ করেছি, যিনি ছিলেন পূর্ববর্তী তাওরাতের সত্যায়নকারী। এবং আমি তাকে দিয়েছিলাম ইনজিল, যাতে ছিল পথনির্দেশ ও আলো..."(সূরা আল-মায়িদা ৫:৪৬, হেফজুল্লাহ শীর্ষক অনুবাদ)

এখানে "ছিল" (كَانَ) শব্দের ব্যবহার বহু বিতর্ক ও আলোচনা জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে খ্রিস্টান ও মুসলিম আলাপচারিতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠে আসে— কোরআন কি বলছে ইঞ্জিলে পথনির্দেশ ও আলো ছিল (অতীতে ছিল, এখন নেই)? নাকি এই বক্তব্যে তা এখনো আছে—অর্থাৎ আজও ইঞ্জিল আলোর উৎস?

এই দাবীটি আরবী পাঠের ভ্রান্ত-বোধভিত্তিক। আরবী বাক্যাংশটি হচ্ছে,“الإِنجِيلَ فِيهِ هُدًى وَنُورٌআল ইনজিলা ফিইহি হুদায় ওয়া নূর, আক্ষরিকভাবে অনুবাদ হচ্ছে, “…এতে পথনির্দেশ ও আলো…” এখানে কোন ক্রিয়াপদ নেই, কিন্তু এতে বর্তমান কাল প্রকাশ করছে। আরবী ভাষায় বর্তমানকালের সংযোজক বাক্যে ‘হওয়া’ (‘কানা’) ক্রিয়াপদের দরকার হয় না, অনেকটা বাংলার মতন। প্রসঙ্গ অনুসারেই কাল বুঝে নিতে হয়। বিখ্যাত বাঙালি লেখক ডা. লুৎফর রহমান তাঁর “ধর্ম জীবন” বইটিতে এই আয়াতটি সম্বন্ধে নিচের মন্তব্যটি করেছেন:

আল্লাহর সমস্ত প্রেরিত ধর্মগ্রন্থে কার বিশ্বাস আছে? কই এক কোরআন ছাড়া কাউকে তো ইঞ্জিল (বাইবেল), জবুর, তৌরাত পড়তে দেখি না। হযরত ঈসাকে তো অনেক মুসলমান গালি দেয়। কোরানে লেখা আছে—ইঞ্জিলে হেদায়েত ও জ্যোতি আছে। তার সমধান তো একজনকে করতে দেখি না! পাছে খ্রিষ্টান হতেই হবে। নইলে মুসলমান হবে কী করে?

Saturday, June 7, 2025

বাইবেলের আলোকে ত্রিত্ব ঈশ্বর– ঈশ্বর কি তিনজন? না কি একজন?

বাইবেলের আলোকে ত্রিত্ব ঈশ্বর– ঈশ্বর কি তিনজন? না কি একজন?


ভূমিকাঃ-ত্রিত্ব ঈশ্বর (Trinity) — খ্রিস্টীয় বিশ্বাসের একটি রহস্যময় এবং গভীর বিষয়। বাইবেল কি সত্যিই শিক্ষা দেয় যে ঈশ্বর তিন ব্যক্তি, কিন্তু একজন ঈশ্বর? এই লেখায় আমরা দেখব কিভাবে বাইবেলের বিভিন্ন অংশ, বিশেষ করে হিব্রু ভাষায় পুরাতন নিয়মের বক্তব্য, এই ত্রৈকিক ঈশ্বরত্বের ভিত্তি তুলে ধরে।

১. ঈশ্বর একজন — হিব্রু ভাষায় ঘোষণা
📖 “হে ইস্রায়েল, শোন; সদাপ্রভু আমাদের ঈশ্বর, সদাপ্রভু একজনই।”
দ্বিতীয়বিবরণী ৬:৪ পদ
হিব্রু মূল:
שְׁמַע יִשְׂרָאֵל יְהוָה אֱלֹהֵינוּ יְהוָה אֶחָד׃
Transliteration: Shema Yisra'el, Adonai Eloheinu, Adonai Echad.

🔍 এখানে গুরুত্বপূর্ণ দুটি শব্দ:
אֱלֹהִים (Elohim) – ঈশ্বর শব্দের বহুবচন রূপ, যদিও এটি একটি একবচন ক্রিয়াপদের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে।

אֶחָד (Echad) – "এক" অর্থে, কিন্তু এটি "যৌথ একতা" বোঝায়, যেমন "এক শরীর" (আদিপুস্তক ২:২৪) বা "একগুচ্ছ" দ্রাক্ষা।
এটি বোঝায়: ঈশ্বর এক, কিন্তু তাঁর মধ্যে একাধিক ব্যক্তি থাকতে পারেন।
২. ঈশ্বরের বহুবচন রূপে প্রকাশ
📖 “আস, আমরা মানুষ করিয়া তুলি আমাদের প্রতিমূর্তিতে, আমাদের সদৃশে।”
 আদিপুস্তক ১:২৬ পদ
হিব্রু মূল:
וַיֹּאמֶר אֱלֹהִים נַעֲשֶׂה אָדָם בְּצַלְמֵנוּ כִּדְמוּתֵנוּ
Transliteration: Vayomer Elohim, Na’aseh Adam b’tzalmenu kid’mutenu.

🔍 "נַעֲשֶׂה" (Na’aseh) – "আমরা করবো":এটি স্পষ্ট বহুবচন।
৩. বাইবেলে তিন ব্যক্তি: পিতা, পুত্র, ও পবিত্র আত্মা

ক,পিতা ঈশ্বর
📖 “আমাদের পিতা ঈশ্বর…” – (১ করিন্থীয় ৮:৬)

খ,পুত্র ঈশ্বর – যীশু
📖 “আরম্ভে বাক্য ছিল, বাক্য ঈশ্বরের সহিত ছিল, এবং বাক্য ঈশ্বর ছিল।”
যোহন ১:১
গ্রিক মূল:
Ἐν ἀρχῇ ἦν ὁ λόγος... καὶ θεὸς ἦν ὁ λόγος (kai theos ēn ho logos)
= “বাক্য ঈশ্বর ছিল।”
📖 “ইতিপূর্বে ইব্রাহীম জন্মগ্রহণ করার আগেই আমি আছি।” – যোহন ৮:৫৮
গ্রিক: ἐγώ εἰμι (Ego Eimi) = "আমি আছি" → ইহুদি শোনেন: এই শব্দটা নির্গমন ৩:১৪-র "אהיה אשר אהיה" (Ehyeh Asher Ehyeh) এর সমতুল।
 
গপবিত্র আত্মা ঈশ্বর
📖 “তুমি পবিত্র আত্মাকে মিথ্যা বলিলে... তুমি ঈশ্বরকেই মিথ্যা বলিয়াছিলে।”
প্রেরিত ৫:৩-৪ পদ

 একত্রে ত্রিত্বের প্রকাশ
📖 “পিতা, পুত্র ও পবিত্র আত্মার নামে...”
মথি ২৮:১৯ পদ
“নামে” শব্দটি গ্রিক ভাষায় ὄνομα (onoma) একবচনে ব্যবহৃত হয়েছে, যদিও তিন ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে।

হিব্রু ভাষায় পবিত্র আত্মা
ר֫וּחַ (Ruach) = "আত্মা / নিঃশ্বাস / বাতাস
ר֫וּחַ אֱלֹהִים (Ruach Elohim) = ঈশ্বরের আত্মা
📖 “ঈশ্বরের আত্মা জলের উপরে বিচরণ করিতেছিল।” – আদিপুস্তক ১:২ পদ 

উপসংহারঃ-হিব্রু বাইবেল ও গ্রিক নবনিয়ম মিলিয়ে ত্রিত্ব ঈশ্বরের পরিচয় সুস্পষ্ট। ঈশ্বর একজন (אֶחָד - Echad), কিন্তু বহুবচনে প্রকাশিত (אֱלֹהִים - Elohim), এবং তিনটি স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্বে আত্মপ্রকাশ করেন: পিতা, পুত্র, ও পবিত্র আত্মা।

এটি কোনো "তিন ঈশ্বরের" মতবাদ নয়, বরং একজন ঈশ্বরের তিন চিরন্তন ব্যক্তিত্ব — সহ-সমান, সহ-অস্তিত্বশীল, এবং এক স্বভাবের।