খ্রীষ্টিয়ানরা কেন যীশুকে ১০০% ঈশ্বর ও ১০০% মানুষ হিসাবে বিশ্বাস করে? কিন্তু শুধু মানুষ নয় কেন?

 

আসুন আমরা দেখে নেই বাইবেল অনুযায়ী একজন ঈশ্বরের বৈশিষ্ট্য এবং যীশুরও ঈশ্বরীক বৈশিষ্ট্য যে এক তা বাইবেল হতে দেখি, এবং সেই সাথে যীশু যে একজন মানুষ সেই মানবীয় বৈশিষ্ট্য দেখি সত্য অনুসন্ধানের জন্য পাঠকদের হাতে বিচারের দায়িত্বভার  দিয়ে দিলাম আপনারই নিজের জ্ঞান, বুদ্ধি ও প্রজ্ঞা দিয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন আসলেই যীশু যে  ঈশ্বর ও মানুষ কি না।

আসুন দেখি যীশুর ঈশ্বরীক বৈশিষ্ট্য:

১) যীশু সৃষ্টিকর্তা।

২) যীশু পাপের ক্ষমাকারী।

৩) ফেরেশতারা যীশুর ইবাদত করেন।

৪) যীশু মৃতকে জীবন দেন।

৫) যীশু লালন পালনকারী।

৬) যীশু নিজে বলছেন আমিও পিতা আমরা এক।

৭) যীশু বলছেন পিতার কর্ম আমি করতে পারি, অর্থাৎ ঈশ্বর যা করতে পারেন যীশুও তাই করতে পারেন।

৮) যীশু সর্ব শক্তিমান।

৯) যীশু চিরকালীন বর্তমান।

১০) যীশু সবার চেয়ে সম্মানিত।

১১) যীশু সবই জানেন।

১২) যীশু ঈশ্বরের দৃশ্যনীয় প্রকাশ।

১৩) যীশু ঈশ্বরের ক্ষমতায় পূর্ণ।

১৪) যীশুকে দেখায় ঈশ্বরকে দেখা।

১৫) যীশু তাঁর লোকদের সাথে চলেন।

আসুন দেখি যীশুর মানবীয় বৈশিষ্ট্য:

১) যীশু থেকে অন্য কেউ মহান।

২) যীশু নিজ থেকে কিছুই করতে পারে না।

৩) যীশুর জন্ম মৃত্যু হয়েছে।

৪) যীশুর শিক্ষা নেই অন্যের থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন।

৫) যীশু অন্যের কাছ থেকে সত্য শুনেছে।

৬) যীশু অন্যের সাহায্যে ভালো কাজ করেন।

৭) যীশু অন্যের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন।

৮) যীশু পাপ করার কারণে মারা যান।

৯) যীশু যা বলেন তা সব অন্যের থেকে ধার করা।

১০) যীশুকে মানুষ দেখেছে।

১১) যীশু মাংশের মানুষ।

১২) যীশু পৃথিবীতে বসবাস করেছেন।

১৩) যীশুর সাথে ঈশ্বর বাস করেন।

আসুন দেখি যিহোবার বৈশিষ্ট্য:

.

১) যিহোবা ঈশ্বর ও এক।

২) যিহোবা সর্বশক্তিমান - সব পারেন।

৩) যিহোবা আদি এবং অন্ত তিনি চিরকাল থাকবেন।

৪) যিহোবা সবার থেকে মহান।

৫) যিহোবা জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান তিনি সব জানেন।

৬) যিহোবা কারো থেকে শিক্ষা নেন না সাহায্য চান না।

৭) যিহোবা মানুষ নয়।

৮) যিহোবাকে পৃথিবীর সাধারণ মানুষ দেখে নি।

৯) যিহোবা কারো আদেশে চলেন না।

১০) যিহোবা পৃথিবীতে বসবাস করে নি।

১১) যিহোবার সাথে কারো তুলনা হয় না।

১২) যিহোবা নিজেই সত্য জানেন।

এবার আপনারাই বলুন কে? উত্তর ঈশ্বর ও মানুষ, এক কথায় যীশু ঈশ্বর মানব। আপনি নিজস্ব যুক্তি প্রমাণ দিয়ে চিন্তা করুন। অতএব আমরা বুঝেছি বাইবেল অনুযায়ী যীশু ঈশ্বর মানব এটি যীশুর কাজে প্রমাণিত। যীশুই অদৃশ্য   ঈশ্বরের হুবাহু প্রকাশ। যীশু শুধু একজন নবী নন, যীশু ঈশ্বর মানব। যীশুর বৈশিষ্ট্যগুলিই প্রমাণ করে যে সে ঈশ্বর ও মানুষ। সেজন্য যীশু ঈশ্বর ও মানব জাতির পূর্ণমিলন করতে পারেন। বাকিটা পাঠকদের হাতে ছেড়ে দিলাম। কোন মুসলিম যদি বলে যীশু ঈশ্বর ও মানুষ নন। তাহলে বুঝতে হবে বাইবেলে এসব শিক্ষা থাকার পরেও কেন একজন মুসলিম যীশুর ঈশ্বরত্বের অস্বীকার করে কারণ এই যুগের অধিপতি শয়তান চায় না যীশুকে লোকেরা জানুক, কেননা যীশু জানাই অনন্ত জীবন। যদি আপনি যীশুকে জানতে চান, তাহলে এখন জানার জন্য প্রার্থনা করুন, কেন যীশু ঈশ্বর ও মানুষ?

যীশুর ঈশ্বরিক বৈশিষ্ট্যের রেফারেন্স নিম্নরূপঃ

[১] যোহন ১:১-৩, কল ১:১৬

[২] মার্ক ২:৫

[৩] মথি ৪:১১

[৪] মার্ক ৫:২১-৪৩

[৫] কল ১ ও ২ অধ্যায়

[৬] যোহন ১০:৩০

[৭] যোহন ১০:৩৭-৩৮

[৮] যোহন ১০:৩৭, মথি ২৮:১৮

[৯] মথি ২৮:২০

[১০] ফিলি ২:১০-১১

[১১] যোহন ১০:৩৭

[১২] কল ১:১৫

[১৩] যোহন ১০:৩৭

[১৪] যোহন ১৪:৯

[১৫] মথি ২৮:২০

যীশুর মানবীয় বৈশিষ্ট্যের রেফারেন্স:

[১] যোহন ১০:৩০/১৪:২৮/সামুয়েল-দ্বিতীয় ২২:৩২

[২] যোহন ৫:৩০

[৩] মথি ১:১৬/২৭:৫০

[৪] যোহন ১৪:২৪

[৫] যোহন ৮:৪০

[৬] যোহন ১০:৩২

[৭] যোহন ৫:১৬/লুক ৬:১২

[৮] যেরেমিয়া ৩১:৩০/মথি ২৭:৫০

[৯] যোহন ১২:৪৯-৫০

[১০] মথি ৪:১৮-২০

[১১] মথি ৯:৮

[১২] মথি ৪-৫/মথি ১:১৬/মথি ২৭:৫০

ঈশ্বরের বৈশিষ্ট্যের রেফারেন্স:

[১] ইসাইয়া ৪২:৮/হোসেয়া ১৩:৪/এজেকিয়েল ৩৪:৩১

[২] ইসাইয়া ৪০:২৬/৪০:২৮

[৩] ইসাইয়া ৪৪:৬/ ইসাইয়া ৪০:২৮

[৪] যোহন ১০:৩০/১৪:২৮

[৫] ইসাইয়া ৪০:১৪

[৬] ইসাইয়া ৪০:১৩-১৪

[৭] গণনা পুস্তক ২৩:১৯/হোসেয়া ১১:৯

[৮] যোহন ৬:৪৬/যোহন ১:১৮

[৯] ইসাইয়া ৪০:১৪

[১০] উপদেশক ৫:২

[১১] ইসাইয়া ৪০:১৭-১৮

[১২] ইসাইয়া ৪০:১৩-১৪

প্রিয়পাঠক, আপনাদের দেখালাম যে যীশু ঈশ্বর ও মানুষ, যীশুই এই পৃথিবীতে দ্বৈতস্বভাবের অধীকারী, যীশু শুধু মানুষ নন, যীশু ঈশ্বর ও মানুষ। ঈশ্বরের বৈশিষ্ট্য ও মানুষের বৈশিষ্ট্য যীশুর পূর্ণভাবে বিদ্যামান। যীশু যদি ঈশ্বর ও মানুষ পৃথিবীতে যীশুর মত দ্বিতীয় কেউ নেই। যীশু যখন " পিতা আমা অপেক্ষা মহান - (যোহন ১৪:২৮ ) বলেন, তখন তার অর্থ কি? এর অর্থ বুঝতে হলে  যীশুর দুটো স্বভাব সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। খ্রিস্টানদের বিশ্বাস মতে যীশুর দুটো স্বভাব - তাঁর ঈশ্বরের স্বভাব ও মানব স্বভাব। এ দুটো স্বভাবের কারণেই তিনি ঈশ্বর ও তিনি মানব। এদুটো স্বভাবের কারণে তিনি ঈশ্বর ও মানুষের মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরী করতে পেরেছেন। তিনি সব সময় এ দুটো স্বভাব ও ব্যক্তিতে বিদ্যমান। মানুষের স্বভাব না থাকলে তিনি স্বর্গ থেকে মানুষের মাঝে মানুষ হিসাবে অবতরণ করে বসবাস করতে পারেন না। তাঁর মানুষ হওয়া দরকার ছিল, কেননা তিনি মানুষের পরিত্রাণ করতে এসেছেন। আবার তাঁকে ঈশ্বর থাকতে হয়েছে। কেননা কোন পাপ না করতে, পাপিদের পাপ ক্ষমা করতে, আর পাপের কর্তা শয়তানকে পরাজিত করতে ঈশ্বর থাকা দরকার।খ্রিস্টান ধর্মের বিশ্বাস মতে ঈশ্বর মানুষ হিসাবে মূর্তিমান হয়েছেন যেন মানুষকে উদ্ধার করতে পারেন। যখন তিনি মানুষ হিসাবে কথা বলেছেন, তখন তিনি মানবীয় স্বভাবে থেকে কথা বলেছেন বলেই ঈশ্বরের প্রতি বাধ্যতা ও বশ্যতা দেখিয়েছেন। এদুনিয়াতে তিনি তাঁর মানবীয় রুপ দেখিয়েছেন, আবার ঈশ্বরের রুপ দেখিয়েছেন। কেননা তিনি যে সব কাজ করেছেন, তা কেবল ঈশ্বরই করতে পারেন।

এখন আসুন, দেখি, ইসলাম কেন যীশুর ঈশ্বরত্বের বিরোধীতা করে, অস্বীকার করে, কারণ ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যীশু পথ, সত্য ও জীবনের বিপরীতে যেন এই পৃথিবীর মানুষ যীশুতে পরিত্রাণের নিঘুর্তত্ব পর্যন্ত পৌছাতে না পারে, চিরকাল অনেক মানুষ যেন ঈশ্বরের রাজ্য প্রবেশ না করে, এটি ঈশ্বরের প্রতিপক্ষ সেই শক্তির কাজ, সেই জনের ছলনা নিম্নরুপঃ

.

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ

الرَّحِيمِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

💞বলুন, তিনি আল্লাহ, এক

اللَّهُ الصَّمَدُ

আল্লাহ অমুখাপেক্ষী,

لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ

তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি,

وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ

এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।💕

.

[ সূরা ইখলাস ]

.

কুরআনের আর্গুমেন্ট দেখুন আর যীশুকে দেখুন কখনোই যীশু ঈশ্বর নন নন নন। আর বাইবেলে যিহোবার সঙ্গা দেখুন আর যীশুর সঙ্গা দেখুন। কখনোই যীশু ঈশ্বর নন। রেফারেন্স সহ তথ্য দিয়ে আপনাদের কাছে প্রমাণ পেশ করলাম।

.

এবার আপনার সিদ্ধান্ত আপনি কি ভুলকে মানবেন? নাকি সত্যকে মানবেন? আপনি কি উপলব্ধি করবেন না?

.

إِنَّ شَرَّ الدَّوَابِّ عِنْدَ اللَّهِ الصُّمُّ الْبُكْمُ الَّذِينَ لَا يَعْقِلُونَ

💕নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলার নিকট সমস্ত প্রাণীর তুলনায় তারাই মূক ও বধির, যারা উপলদ্ধি করে না।💕

(সূরাঃ আল-আনফাল, আয়াতঃ ২২)

লুক ১০:২২ সকলই আমার পিতাকর্ত্তৃক আমাকে সমর্পিত হইয়াছে; এবং পুত্র কে, তাহা কেহ জানে না, কেবল পিতা জানেন; আর পিতা কে, তাহা কেহ জানে না, কেবল পুত্র জানেন, আর পুত্র যাহার নিকটে তাঁহাকে প্রকাশ করিতে মানস করেন, সে জানে।

#বিঃদ্রঃ যীশু ঈশ্বর মানব, কেননা তিনিই পারেন ঈশ্বর ও মানুষকে পূর্ণমিলিত করতে। তাই আর দেরি নয় আসুন যীশুর মধ্যে দিয়ে ঈশ্বরের সাথে পূর্ণমিলিত হই।

শেয়ার করুন