👉কে ছিল প্রতিজ্ঞাত সন্তান?
পবিত্র বাইবেল এবং মুসলিমদের কুরআনে কোথাও বলা হয় নি যে, ইশ্মায়েল ইয়াওয়ে এলোহীমের[ সদাপ্রভু ঈশ্বরের] প্রতিজ্ঞাত সন্তান সন্তান ছিলেন ।
আদিপুস্তক ১৫ অধ্যায় ৩-৪ পদে লেখা আছে,
"আর অব্রাম কহিলেন, দেখ তুমি আমাকে সন্তান দিলে না, এবং আমার গৃথজাত এক জন আমার উত্তরাধিকারী হইবে। তখন দেখ, তাঁহার কাছে সদাপ্রভুর বাক্য উপস্থিত হইল, যথা ঐ ব্যক্তি তোমার উত্তরাধিকারী হইবে না, কিন্তু যে তোমার ঔরসে জন্মিবে, সেই তোমার উত্তরাধিকারী "
অব্রাহাম [অব্রাম] যখন তার পুত্রের জন্য প্রার্থনা করেন তখন তার একটি স্ত্রী ছিল, সেই সময়ে হাজেরা তার স্ত্রী ছিলেন না। তাই এই প্রার্থনা ইয়াওয়ে এলোহীম শ্রবন করেন এবং তাকে পুত্র দেবার প্রতিজ্ঞা করেন, তাই এই প্রতিজ্ঞা ছিল অব্রাহাম এবং তার স্ত্রী সারা জন্য। মিসরীয় দাসি হাগারের এবং ইশ্মায়েলের জন্য প্রযোজ্য নয়। যার জন্য ইসহাককে অব্রাহামের “একজাত পুত্র” বলা হয়েছে। কারন ইয়াওয়ে এলোহীম [সদাপ্রভু ঈশ্বর] একজন সন্তানের জন্য প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যার দ্বারা তিনি সমগ্র পৃথিবীকে আশীর্বাদ করবেন। অনেক মুসলিম প্রচারক দাবি করেন যেহেতু পবিত্র বাইবেলে উল্লেখিত রয়েছে “একজাত পুত্রের” কথা, তাই তারা বলেন যে ইশ্মায়েল অব্রাহামের “একজাত” পুত্র ছিলেন। কিন্তু তারা যা উল্লেখ করেন না তা হলো আদিপুস্তক ১৭:১৩-২১; অনুসারে ইশ্মায়ের জন্মের পরেও ইয়াওয়ে এলোহীম [সদাপ্রভু ঈশ্বর] অব্রাহামের কাছে ঘোষণা করেন যে তার একজাত পুত্র যিনি তার প্রতিজ্ঞার ফল হবেন তিনি ইশ্মায়েল নন বরং সেই প্রতিজ্ঞার ফল হবেন ইসহাক সেই জন্য শাস্ত্রে এই কথা সুষ্টভাবে লেখা আছে,
“কারন যাহারা ইস্রায়েল হইতে উৎপন্ন, তাহারা সকলেই ইস্রায়েল তাহা নহে; আর অব্রাহামের বংশ বলিয়া তাহারা যে সকলেই সন্তান, তাহাও নয়; কিন্তু ইসহাকেই তোমার বংশ আখ্যাত হইবে*[আদিপুস্তক২১:১২;] ইহার অর্থ এই, যাহারা মাংসের সন্তান, তাহারা যে ঈশ্বরের সন্তান, এমন নয়[যোহন১:১২-১৩;] কিন্তু প্রতিজ্ঞার সন্তানই বংশ বলিয়া গনিত হয় [রোমীয় ৯:৬-৮;]
অব্রাহামের অনেক সন্তান ছিল কিন্তু সবাই তার প্রকৃত বংশ বলে ধরা হয় নি শুধুমাত্র ইসহাক কেই তার বংশ বলে ধরা হয়েছিল। ইশ্মায়েলের বিষয়ে ইয়াওয়ে এলোহীম [সদাপ্রভু ঈশ্বর] কোন প্রতিজ্ঞা করেন নাই, ইশ্মায়েলের জন্মটা হয়েছিল অব্রাহামের স্ত্রী সারার সিদ্ধান্তের জন্য। যেহেতু সেই ছেলে অব্রাহামের সন্তান তার জন্য তাকেও ইয়াওয়ে এলোহীম [সদাপ্রভু ঈশ্বর] ত্যাগ করেন নাই তাকেও আশীর্বাদ করেছেন কিন্তু নবুওয়তের হকদার তিনি ইসহাক ছাড়া আর কাউকে করে নি [আদিপুস্তক ১৭:১৩-২১;]। ইশ্মায়েল প্রতিজ্ঞার সন্তান ছিলেন না তার কারন ইয়াওয়ে এলোহীম [সদাপ্রভু ঈশ্বর] ইশ্মায়েলের বিষয়ে অব্রাহামকে কোন প্রতিজ্ঞা করেন নাই, যেহেতু তিনি একজন ছেলের প্রতিজ্ঞা করেছিলেন সেই জন্যই ইসহাককে “একজাত পুত্র” বলা হয়েছে।
👉হয়েছিল অব্রাহামের মৃত্যুর পর ইয়াওয়ে এলোহীম ইশ্মায়েলকে নয় বরং ইসহককে আশীর্বাদ করেছিলেন[আদিপুস্তক২৫:১১;]
তানাখে [পুরাতন নিয়মে] এই বিষয়ে সুস্পষ্ট দলিল রয়েছে: ইসহাক হলেন ইয়াওয়ে এলোহীমের [সদাপ্রভু ঈশ্বেরের] আশীর্বাদের সন্তান। তিনি ইশ্মায়েল কেও আশীর্বাদ করেন এবং বলেন তার বংশ থেকেও একটা বড় জাতি সৃষ্টি হবে। কিন্ত!!! ব্যবস্থার একমাত্র অংশীদার ইসহাক, ইশ্মায়েল নন। ঈশ্বর অব্রাহামকে বললেন, “তোমার স্ত্রী সারীকে আমি এক নতুন নাম দেব| তার নতুন নাম হবে সারা অর্থাৎরানী| আমি তাকে আশীর্বাদ করব| আমি তাকে একটি পুত্র দেব এবং তুমি হবে সেই পুত্রের পিতা| সারা হবে বহু নতুন জাতির মাতা| সারা থেকে আসবে বহু জাতির বহু রাজা|”
ঈশ্বরকে যে তিনি মান্য করেন এই কথা বোঝাবার জন্যে অব্রাহাম আভূমি মাথা নত করলেন| কিন্তু তিনি নিজের মনে হেসে বললেন, “আমার ১০০ বছর বয়স| আমার আর সন্তান হতে পারে না| এবং সারার ৯০ বছর বয়স| সে সন্তানের জন্ম দিতে পারবে না|” তখন অব্রাহাম ঈশ্বরকে বলল, “আশা করি ইশ্মায়েল বেঁচে থেকে আপনার সেবা করবে|” ঈশ্বর বললেন, “না! আমি বলেছি যে তোমার স্ত্রী সারার একটি পুত্র হবে| তুমি তার নাম দেবে ইসহাক| তার সঙ্গে আমি আমার চুক্তি সম্পাদন করব| তার সঙ্গে ঐ চুক্তি এমন হবে যা তার উত্তরপুরুষগণের সঙ্গেও চিরকাল বজায় থাকবে| “তুমি ইশ্মায়েলের কথা বলেছ এবং আমি সে কথা শুনেছি| আমি তাকে আশীর্বাদ করব| তার বহু সন্তানসন্ততি হবে| সে বারোজন মহান নেতার পিতা হবে| তার পরিবার থেকে সৃষ্টি হবে এক মহান জাতির| কিন্তু আমি ইসহাকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হব| সারার যে পুত্র হবে সে-ই হবে ইসহাক পরের বছর ঠিক এই সময় সেই পুত্রের জন্ম হবে|”- [আদিপুস্তক ১৭:১৩-২১;]
এখানে লক্ষনিয় বিষয় হলো অব্রাহাম ভাবছিলেন ইয়াওয়ে এলোহীম তার এই বৃদ্ধ বয়সে সন্তান দিতে অসমর্থ। "তাই তিনি বললেন, “আশা করি ইশ্মায়েল বেঁচে থেকে আপনার সেবা করবে|” অব্রাহামের মনে হয়েছিল "ইশ্মায়েল সেই প্রতিজ্ঞাত সন্তান" কিন্তু ইয়াওয়ে এলোহীম বললেন, “না! আমি বলেছি যে তোমার স্ত্রী সারার একটি পুত্র হবে| তুমি তার নাম দেবে ইসহাক| তার সঙ্গে আমি আমার চুক্তি সম্পাদন করব| তার সঙ্গে ঐ চুক্তি এমন হবে যা তার উত্তরপুরুষগণের সঙ্গেও চিরকাল বজায় থাকবে| অর্থাৎ ইসহাকের সাথেই ইয়াওয়ে এলোহীমের চুক্তি [বিধিনিষেধ] সম্পন্ন হবে যেটা কোন মতেই ইশ্মায়েলের ক্ষোত্রে প্রযোজ্য হবে না। ইশ্মায়েল এবং ইসহাক দুজনকেই আশীর্বাদ দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে হতে বড় জাতি আসবে। এটা থেকে প্রমানিত হয় না যে ইশ্মায়েল সেই প্রতিজ্ঞাত সুসংবাদের সন্তান ছিলেন, কারন এই একই আশীর্বাদ ইসহাকও পেয়েছেন। কিন্তু আসল জিনিষ যা ইসহাক পেয়ছেন যা ইশ্মায়েল পান নি, আর হলো হলো ইয়াওয়ে এলোহীমের সংগে চুক্তির একমাত্র অংশীদারিত্ব। ইয়াওয়ে এলোহীম এবং তার দুজন স্বর্গদূতের সাথে এসে ইসহাকের জন্মের সুসংবাদ দিয়েছিলেন [আদিপুস্তক ১৮:১-১০;] তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রতিজ্ঞাত সুসংবাদের সন্তান হচ্ছেন ইসহাক, ইশ্মায়েল নন। এছাড়াও ইয়াওয়ে এলোহীম সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, "ইসহাকের বংশকেই অব্রাহামের বংশ বলে ধরা হবে ইশ্মায়েলের নয়।"- [আদিপুস্তক ২১:৮-১৩;]।
তাই ইসহাকেই অব্রাহামের "একজাত" পুত্র বলা হয়েছে। যদিও অব্রাহামের মধ্যে দিয়ে অনেক জাতি এসেছে কিন্তু শুধুমাত্র ইহুদী জাতিকে অব্রাহামের প্রতিজ্ঞাত বংশ বলা হয়েছে [আদিপুস্তক ১৫:১৩-১৪; রোমীয় ৯:-৫-৯;]
👉 কুরআনেও এটা সুষ্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে ইসহাক ছিলেন প্রতিজ্ঞাত এবং সুংবাদের পুত্র ইশ্মায়েলে নন
সূরা ৫১ যারিয়াত আয়াতঃ২৮;ইহাতে উহাদের ভীতির সঞ্চার হইল। উহারা বলিল, ভীত হইও না। অতঃপর উহারা তাহাকে এক জ্ঞানি পুত্রের [ইসহাকের] সুসংবাদ দিলেন।” এই বিষয়ে আরো উল্লেখিত রয়েছে সূরা ১১ হূদ আয়তঃ৬৯-৭১;, সূরা ১৫ হিজর আয়াতঃ৫১-৫৪;
“আমি তাহাকে [ইব্রাহীমকে] দান করিলাম ইসহাক ও ইয়াকূব এবং প্রত্যেককে নবী করলাম”[সূরা ১৯ মারইয়াম আয়াতঃ৪৯]
নবী ইউসুফ বলেছেন, “আমি আমার পিতৃপুরুষ ইব্রাহীম, ইসহাক, এবং ইয়াকূবের মতবাদ অনুসরন করি।”[সূরা ১২ ইউসুফ আয়াতঃ৩৮;] এখানেও ইশ্ময়েল বাদ পড়েছেন।
সূরা ১১: হূদ ৬৯-৭১;
আর অবশ্যই আমার প্রেরিত ফেরেশতারা ইব্রাহীমেরে কাছে সুসংবাদ নিয়ে এসেছিল তারা বলল সালাম, তিনিও বললেন-সালাম। অতঃপর অল্পক্ষণের মধ্যেই তিনি একটি ভুনা করা বাছুর নিয়ে এলেন!
কিন্তু যখন দেখলেন যে, আহার্য্যের দিকে তাদের হস্ত প্রসারিত হচ্ছে না, তখন তিনি সন্ধিগ্ধ হলেন এবং মনে মনে তাঁদের সম্পর্কে ভয় অনুভব করতে লাগলেন। তারা বলল-ভয় পাবেন না। আমরা লূতের কওমের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।
তাঁর স্ত্রীও নিকটেই দাড়িয়েছিল, সে হেসে ফেলল। অতঃপর আমি তাকে ইসহাকের জন্মের সুখবর দিলাম এবং ইসহাকের পরের ইয়াকুবেরও।
এখানে অব্রাহামের কাছে ইসহাকের জন্মের সুসংবাদ নিয়ে আসা হয়েছে এবং ইসহাকের পর ইয়াকূবের যিনি পরের নবী অর্থাৎ ইসহাকের বংশ দিয়ে যে নবুয়ত চলবে এখানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যখন কুরআনের ইব্রাহিম আল্লাহর কাছে ইশ্মেয়েলের জন্য দোয়া করেন আল্লাহ তার দোয়া অগ্রাহ্য করেন যেমনঃ আমারা পবিত্র বাইবেলেও দেখতে পাই [আদিপুস্তক ১৭:১৮-১৯;] এবং কুরাআনের আল্লাহ বলেছেন তিনি ইসহাকের সাথেই নিজের নিয়ম স্থাপন করবেন তাকেই এবং তার বংধরদের নেতা করবেন কিন্তু ইশ্মায়েলের জন্য এবং তার বংশের জন্য তা করবেন না। সূরা ২ বাকারা আয়াত ১২৪;.........আল্লাহ বলিলেন, ‘আমি তোমাকে মানব জাতির নেতা করেছি। সে বলিল, আমার বংশধরগনের মধ্য হইতেও? আল্লাহ বলিলেন, ‘আমার প্রতিশ্রুতি জালিমদের প্রতি প্রযোজ্য নহে।”
তাহলে দেখা যাচ্ছে অব্রাহাম মনে মনে চিন্তা করেছিলেন যে তার পরে নেতা এবং নবুওয়তের জন্য আল্লাহ ইশ্মায়েলকে আশীর্বাদ করবেন কিন্তু তা ঘটে নি আল্লাহ ইশ্মায়েলকে সেই আশীর্বাদ দিতে অস্বীকার করেছেন কিন্তু সেই আশীর্বাদ তিনি ইসহাক এবং তার বংশধরদের দিয়েছেন
“এবং আমি ইব্রাহীমকে দান করিয়াছিলাম ইসহাক এবং পৌত্ররূপে ইয়াকূব; আর প্রত্যেককেই করিয়াছিলাম সৎকর্মপরায়ন; এবং তাহাদের করিয়াছিলাম নেতা; তাহাদেরকে ওহী প্রেরন করিয়াছিলাম সৎকর্ম করিতে, সালাত কায়েম করতে এবং যাকাত প্রদান করতে; তাহারা আমারই ইবাদত করিত।”[সূরা ২১ আম্বিয়া আয়াতঃ৭১-৭২;]
সূরা ৩৮ সোয়াদ আয়াতঃ৪৫-৪৬;“স্মরন কর, আমার বান্দা ইব্রাহীম, ইসহাক, ইয়াকূবের কথা, উহারা ছিল শক্তিশালি ও সুক্ষ্ণদর্শী।“
এখানে ইশ্মায়েলের নাম উল্লেখ করা হয় নি অর্থাৎ এই লিষ্টের বাইহের আছেন।
সূরা ২৯ আনকাবুত আয়াতঃ২৭;
আমি ইব্রাহীমকে দান করিয়া ছিলাম ইসহাক ও ইয়াকূব এবং তাহার বংশধরদের জন্য স্থির করিয়াছিলাম নবুওত ও কিতাব এবং আমি তাহাকে দুনিয়ায় পুরস্কৃত করিয়াছিলাম; আখিরাতেও সে নিশ্চই সৎকর্মপরায়নদের অন্যতম হইবে।”
কিতাব-নবুওয়তের আগমনের বিষয় সব কিছু অব্রাহামের প্রিয় পুত্র ইসহাকের ও তার থেকে ইয়াকূবের এবং তাদের বংশধরদের জন্য। ইশ্মাইলের জন্য এমন কোন কথা কুরআনে বলা হয় নি। যদি হত তবে অব্যসই লেখা থাকত “ইব্রাহীম, ইশ্মাইল এবং তার পুত্রদের কিতাব, নবুওত দিয়েছি” কিন্তু কুরানের কোথাও লেখা নেই যে ইশ্মায়েলে এবং তার পুত্রদের মধ্যে আল্লাহর নবুওতয় দান করেছেন।
এছাড়াও সূরা আস সাফআত ৩৭:১০০-১০১ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে এক সৎপুত্র দান কর। সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম।
তাহলে এখানেও দেখা যাচ্ছে যে, ইসহাকে সুসংবাদের সন্তান বলা হয়েছে এই বিষয়ে এক প্রতিজ্ঞা করা হচ্ছে। তাই ইসহাক যে সেই প্রতিজ্ঞাত সুসংবাদের সন্তান তার কুরআনেও বলা হয়েছে। যখন অব্রাহাম এই দোয়া করেছিলেন [৩৭:১০০] তখন তার একটি স্ত্রী ছিল সারা কারন তার আগের আয়াত বর্নানা করে এই ঘটনা ছিল অব্রাহামের পিতার সাথে বিচ্ছেদের ঘটনা[৩৭:৮৩-৯৯] হাগারের [হাজেরার] সাথে অব্রাহামের অনেক পরে দেখা হয় মিশরে তাই এই দোয়া ইশ্মায়েলের জন্য হতেই পারে না। ইয়াওয়ে এলোহীমের অলৌকিকতায় জন্ম নিয়েছিলেন ইসহাক, ইশ্মায়েল নন। কারন সারা বন্ধা ছিলেন এবং তিনি বৃদ্ধা হয়ে গিয়ে ছিলেন। তাই অব্রাহামের স্ত্রী সারার জন্য ছিল এটা "সুসংবাদ"। কারন একটা বন্ধা নারীর কাছে এর থেকে বড় কোন সুসংবাদের কথা থাকতে পারে না।" তার পাশাপাশি অব্রাহামের কাছেও এটা ছিল সুসংবাদ কারন তার প্রথম স্ত্রী যে বন্ধা ছিল সে বৃদ্ধা বয়সে সন্তান প্রসব করবে। অন্যদিকে ইশ্মায়েলের জন্ম কোন অলৌকিক ভাবে হয় নি বরং তার জন্ম ত সাধারন ভাবে হয়েছিল তাই তিনি সুসংবাদের পুত্র কোন যুক্তিতে হতে পারেন না।
এই বিষয়ে কুরআনের সাক্ষ্য এক যে কে সেই প্রতিজ্ঞাত সুসংবাদের সন্তান ছিলেন!!! যদিও কুরআনে এই একই ঘটনা ভিন্ন ভাবে অন্য সূরাতে বর্ননা করা হয়েছে সূরা ৫১:যারিয়াত ২৪-২৯;
আপনার কাছে ইব্রাহীমের সম্মানিত মেহমানদের বৃত্তান্ত এসেছে কি? যখন তারা তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে বললঃ সালাম, তখন সে বললঃ সালাম। এরা তো অপরিচিত লোক। অতঃপর সে গ্রহে গেল এবং একটি ঘৃতেপক্ক মোটা গোবৎস নিয়ে হাযির হল। সে গোবৎসটি তাদের সামনে রেখে বললঃ তোমরা আহার করছ না কেন? অতঃপর তাদের সম্পর্কে সে মনে মনে ভীত হলঃ তারা বললঃ ভীত হবেন না। তারা তাঁকে একট জ্ঞানীগুণী পুত্র সন্তানের সুসংবাদ দিল। অতঃপর তাঁর স্ত্রী চীৎকার করতে করতে সামনে এল এবং মুখ চাপড়িয়ে বললঃ আমি তো বৃদ্ধা, বন্ধ্যা।
0 coment rios: