সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Monday, June 24, 2024

আমি একজন মুসলিম, আমি কেন খ্রীস্টান হবার ব্যাপারে বিবেচনা করব?



◾মুসলিম বলুন

◾বৌদ্ধ বলুন

◾ক্যাথলিক বলুন

◾ব্যাপ্টিস বলুন

◾অর্থোডাক্স বলুন 

◾হিন্দু বলুন


 👉👉কেন তারা তাদের অবিভাবক বা সংস্কৃতি অনুযায়ী ধর্ম পালন করে থাকে। কিন্তু যখন আমরা বিচারের দিনে ঈশ্বরে (এলোহিমের) সামনে দাড়াঁব, সেই দিন প্রতেক মানুষের তাদের নিজনিজ হিসাব দিতে হবে, যে সে ঈশ্বরের (এলোহিমের)স্বত্ত্বে বিশ্বাস করেছে কি না।👈👈


◽ কিন্তু এতগুলো ধর্মের মধ্যে, কোনটা সত্য ? ◽


“ যীশু (মসীহ) তাঁকে বললেন, ‘আমিই পথ, আমিই সত্য ও জীবন৷ পিতার কাছে যাবার আমিই একমাত্র পথ”(যোহন ১৪:৬).


প্রকৃত খ্রিস্টানরা যিশুর (মসীহের)অনুগামী হয়। কি করে যীশু ঈশ্বরের কাছে যাওয়ার এক মাত্র পথ হবার দাবি করতে পারেন?


📖আসুন আমরা ধর্ম শাস্ত্র বাইবেল থেকে এই প্রশ্নর উত্তর দেখে নেই.


◽যিশুর (মসীহের)◽

 ১🔸জন্ম 

 ২🔸অতিবাহিত জীবন

 ৩🔸মৃত্যু

 ৪🔸পুনূরত্থান


কুমারীর মারিয়ার গর্ভে জন্মগ্রহণ করে কি ভাবে যীশু (মসীহ)  ভবিষ্যৎবানী পূর্ণ করেছেন তা বাইবেল এ নথিভুক্ত করা আছে. যীশু অন্যান্য মানুষের থেকে অনন্যা ভাবে বড় হয়েছিলেন কারণ উনি কখনো পাপ করেন নি। (১ পিতর ২:২২)।


🔺মানুষের ভিড় একজোট বাধঁত উনার শিক্ষা (বাক্য) শোনার জন্য, এবং বিস্মিত হত ওনার অলৌকিক কাজ দেখে🔺


◽যীশু(মসীহ)রোগীদের সুস্থ করেছেন, 

◽মৃত কে জীবন দিয়েছেন, 

◽জলের ওপর দিয়ে হেঁটেছেন,


👉👉সকল মানুষের মধ্যে যীশুর (মসীহ) মৃত্যু প্রাপ্য ছিলেন না। তবুও যীশু ভবিষ্যৎবানী করেছিলেন যে তাকে ক্রুশে দেওয়া হবে ও তিনি মৃতদের মাঝ থেকে পুনুরুত্থিত হবেন। (মথি ২০:১৮-১৯) উনার বাক্য পূর্ণ হলো, সৈন্যরা তাকে মারধর করে তার মাথায় কাটাঁর মুকুট পরিয়ে দিল; মানুষের ভিঁড়ে তাকে ঠাট্টা করে তার ওপর থুথু ফেলল; পেরেক দিয়ে তার হাত ও পা কাঠের ক্রুশে বিদ্ধ করা হলো. যিশুর (মসীহের) কাছে নিজেকে বাচাঁবার শক্তি ছিল, কিন্তু তিনি স্বেচ্ছায় ক্রুশীয় মৃত্যু বরণ করলেন। (যোহন ১৯:৩০)।

🔺 তিন দিন পর, যীশু কবর থেকে উঠে এলেন!🔺


◽ক্রুশ কেন?✝️


এক জন মুসলিম হিসেবে, আপনি জিজ্ঞেস করতে পারেন, “কেন আল্লাহ তার পায়গাম্বার ইসা (মসীহ) কে দুর্বেবহারিত হতে দেবেন এবং তার মৃত্যু অনুমোদিত করবেন?” যীশু খ্রিস্টের মৃত্যু প্রয়োজনীয় ছিল কারণ...


 ◾ প্রত্যেক মানুষই পাপী: “সকলেই পাপ করেছে এবং ঈশ্বরের মহিমা থেকে বঞ্চিত হয়েছে”(রোমিও ৩:২৩)

 

👉মা বাবা কে অসম্মান করা, মিথ্যে বলা, ঈশ্বরকে ভালবাসতে অসমর্থ হওয়া, বা ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস না করা, আমরা সবাই পবিত্র ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ করেছি।


◾পাপের শাস্তি হলো মৃত্যু: “কারণ পাপের বেতন মৃত্যু” (রোমিও ৬:২৩ক). ঈশ্বর তার ক্রোধে অবিশ্বাসী পাপীদের পৃথক করে তাদের চিরকালের জন্য নরকে পাঠিয়ে দেন। (২ থিষলনীকীয়১:৮,৯). এক জন বিচারক হিসেবে, ঈশ্বর  (এলোহিম) কখনো পাপ মার্জনা করবেন না।


◾ আমরা ভালো কাজ দ্বারা নিজেকে বাচাঁতে পারব না: “কারণ ঈশ্বরের  (এলোহিমর) অনুগ্রহের দ্বারা বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে তোমরা উদ্ধার পেয়েছ৷ বিশ্বাস করাতেই তোমরা সেই অনুগ্রহ পেয়েছ৷ তোমরা নিজেরা নিজেদের উদ্ধার কর নি; কিন্তু তা ঈশ্বরের (এলোহিমর) দানরূপে পেয়েছ৷ তোমাদের নিজেদের কর্মের ফল হিসেবে তোমরা উদ্ধার পাও নি, তাই কেউই গর্ব করে বলতে পারে না যে, সে তার নিজের দ্বারা উদ্ধার পেয়েছে৷” (ইফিষীয় ২:৮,৯)।


👉এটাই হলো ইসলাম ও খ্রীস্টান ধর্মের মূল পার্থক্য. ইসলাম এই শিক্ষা দেয় যে এক জন মানুষ পাচঁটি স্তম্ভ মেনে স্বর্গ অর্জন করতে পারে. যদি ও ভালো কাজ দ্বারা মন্দ অতিক্রম করা যেত।

◾ইসলামের মূল ভিত্তি ৫টি, যথা- 

১.কালিমা, ২.নামায ৩.রোযা, ৪. হজ ও ৫. যাকাত.


👉বাইবেল আমাদের শেখায় যে, “এমন কি আমাদের ভাল কাজও অশুদ্ধ (যিশাইয় ৬৪:৬খ) এমন কি ছোট্ট একটা পাপ ও মানুষকে কে ঈশ্বরের সমস্ত নিয়ম ভাঙ্গার দোষী করে. (যাকোব ২:১০) পাপী মানুষ কিছুতেই কিছু করে স্বর্গের যোগ্যতা অর্জন করতে পারে না।


◾ ঈশ্বর (এলোহিম) পাপীদের জন্য তার পুত্র কে দান করেছেন: “ কারণ ঈশ্বর (এলোহিম) এই জগতকে এতোই ভালবাসেন যে তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রকে দিলেন, যেন সেই পুত্রের ওপর য়ে কেউ বিশ্বাস করে সে বিনষ্ট না হয় বরং অনন্ত জীবন লাভ করে” (যোহন৩:১৬)। 


👉ঈশ্বর (এলোহিম) জানতেন যে মানুষের পাপ তাদের স্বর্গ থেকে দূরে করেছে। ঈশ্বর জানতেন যে পাপের ঋণ শোধ করার এক মাত্র উপায় হলো নির্ভুল এক জন নিজের মৃত্যু দ্বারা তার মূল্য শোধ করুক। ঈশ্বর জানতেন যে এমন অসীম মূল্য এক মাত্র উনিই শোধ করতে পারবেন। তাই ঈশ্বরের অনন্ত পরিকল্পনা ছিল যে সে তার পুত্র যীশু কে পাঠান বিশ্বাসীর পাপীর জায়গায় মরতে।


🔺এক জন খ্রীস্টান হওয়া🔺


“প্রভু যীশুর ওপর বিশ্বাস করুন, তাহলে আপনি ও আপনার গৃহের সকলেই উদ্ধার লাভ করবেন” (প্রেরিত ১৬:৩১)।


◾এক জন মুসলিম হিসাবে আপনি বলতে পারেন যে, “ও আমি যিশুতে (মসীহ) বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি যে ঈসা (মসীহ) এক জন ভাল শিক্ষক, এক জন মহান নবী ও একজন ভালো মানুষ ছিলেন।”


কিন্তু আপনি বলতে পারেন না যে, যীশু সত্যি শিক্ষক ছিলেন আর আপনি তার শিক্ষা অমান্য করেন যে তিনি পথ, সত্য, ও জীবন (যোহন ১৪:১৬)।


👉আপনি এটা বলতে পারেন যে উনি এক জন নবী ছিলেন, অথচ উনি যে নিজের মৃত্যু এবং পুনুরুত্থানের ব্যাপারে ভবিষ্যৎবানী করেছিলেন তাতে বিশ্বাস করেন না। (লূক ১৮:৩১-৩৩)


👉 আপনি এটা বলতে পারেন না যে যীশু এক জন ভালো মানুষ ছিলেন অথচ উনার ঈশ্বরপুত্র হবার দাবি আপনি মেনে নেন না। (লূক ২২:৭০; যোহন ৫:১৮-৪৭)।


◾আপনি খ্রিস্টিয়ান হবার কথা বিবেচনা করতে পারেন না যত ক্ষণ না আপনি বুঝতে পারেন যে খ্রীস্টান ধর্ম অন্য সব ধর্মের বহিষ্কার করে থাকে (প্রেরিত ৪:১২)। 


👉খ্রীস্টান ধর্মের অপরিহার্য উপসংহার এই যে,হয় যীশু(মসীহ) আপনার পাপ ক্রুশে বহন করবে অথবা আপনাকে নিজেই নিজের পাপ নরকে বহন করতে হবে। 


👉“যে কেউ পুত্রের ওপর বিশ্বাস করে সে অনন্ত জীবনের অধিকারী হয়; কিন্তু যে পুত্রকে অমান্য করে সে সেই জীবন কখনও লাভ করে না, বরং তার ওপরে ঈশ্বরের (এলোহিমের) ক্রোধ থাকে” (যোহন ৩:৩৬)।

👉বাকিটা কমেন্টে


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: