সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Wednesday, July 17, 2024

সুসমাচার কারা লিখেছিলেন?

লেখকঃ পাষ্টর জনসন সরকার।

অনেকে মুসলিম দাবি করেন সুসমাচার (εαγγέλιον (euaggelion) মথি, মার্ক, লূক এবং যোহনের লেখা নয়। ঐতিহাসিক কোন প্রমাণ নেই যে এই সুসমাচার গুলো তারা লিখেছেন।

তারা এইভাবে বলেন, “মথির সুসমাচার মথি লেখেন নি, মার্কের সুসমাচার মার্ক লেখেন নি, লূকের সুসমাচার লূক লেখেন নি এবং যোহনের সুসমাচার যোহন লেখেন নি।”

জবাবঃ সুসমাচার (εαγγέλιον (euaggelion)  মথি, মার্ক, লূক এবং যোহনের লেখা সেই বিষয়ে আমাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে।

প্রথম এবং দ্বিতীয় শতাব্দির চার্চ ফাদারদের ঐতিহাসিক দলিলঃ

এরেনায়াস (Irenaeus) ১৮০ খ্রীষ্টাব্দে লিখেছিলেন, মথির সুসমাচার মথি লিখেছিলেন,  প্রেরিত পিতর এবং প্রেরিত পৌল রোমে খ্রীষ্টধর্ম প্রচারিত করে মন্ডলির ভিত্তি স্থাপন করেন তাদের প্রস্থানের পরে প্রেরিত পিতরের শিষ্য মার্ক তার কাছে থেকে শিক্ষা নিয়ে মার্ক লিখিত সুসমাচার লিখেছিলেন। একি ভাবে প্রেরিত পৌল তার শিষ্য লূককে শিক্ষা দিয়ে লূক লিখিত সুসমাচার লিখিয়েছিলেন এবং শেষে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের প্রিয় শিষ্য যোহন তার সুসমাচার নিজেই লিখেছিলেন।

Irenaeus c.180 AD
“Matthew also issued a written Gospel among the Hebrews in their own dialect, while Peter and Paul were preaching at Rome, and laying the foundations of the Church. After their departure, Mark, the disciple and interpreter of Peter, did also hand down to us in writing what had been preached by Peter. Luke also, the companion of Paul, recorded in a book the Gospel preached by him. Afterwards, John, the disciple of the Lord, who also had leaned upon His breast, did himself publish a Gospel during his residence at Ephesus in Asia." (Against Heresies 3.1.1)

এরেনায়াস ছিলেন পলিকার্পের শিষ্য, পলিকার্প ছিলেন প্রেরিত যোহনের শিষ্য, প্রেরিত যোহন ছিলেন প্রভু যীশু খ্রীষ্টের শিষ্য তাই সুসমাচারের Chain of Authority শতভাগ বিশুদ্ধ।

  

টারটুলিয়ান (Tertullian) ২০৭খ্রীষ্টাব্দে লিখেছিলনে, মথির সুসমাচার মথি লিখেছিলেন যোহনের সুসমাচার যোহন নিজেই লিখেছিলেন মার্কের সুসমাচার মার্ক লিখেছিলেন তবে তিনি প্রেরিত পিতরের দ্বারাই এই সুসমাচার লিখেছিলেন এবং লূকের সুসমাচার লূক লিখেছিলেন তবে তিনি প্রেরিত পৌলের কাছে শিক্ষা পেয়ে সুসমাচার লিখেছিলেন "The same authority of the apostolic churches will afford evidence to the other Gospels also, which we possess equally through their means, and according to their usage. I mean the Gospels of John and Matthew whilst that which Mark published may be affirmed to be Peter's whose interpreter Mark was. For even Luke's form of the Gospel men usually ascribe to Paul. And it may well seem that the works which disciples publish belong to their masters."
(Against Marcion 4.5)

এছাড়াও তিনি বলেছেন, মথি এবং যোহন প্রভু যীশু খ্রীষ্টের প্রেরিত (πόστολος (apostolos) ছিলেন তারাই প্রথম সুসমাচার প্রচার করেছিলেন এবং লূক  মার্ক তাদের পরে সুসমাচারকে সমর্থিন করেছেন এবং সুসমাচার লিখেছিলেন,  
“We lay it down as our first position, that the evangelical Testament has apostles for its authors, to whom was assigned by the Lord Himself this office of publishing the gospel... Of the apostles, therefore, John and Matthew first instill faith into us; while of apostolic men, Luke and Mark renew it afterwards. These all start with the same principles of the faith, so far as relates to the one only God the Creator and His Christ, how that He was born of the Virgin, and came to fulfill the law and the prophets.
(Against Marcion 4.2)

ওরিজেন ২৪৫ খ্রীষ্টাব্দে লিখেছিলেনঃ  মথির সুসমাচার সয়ং তিনি লিখেছিলেন। মার্কের সুসমাচার সয়ং তিনি লিখেছিলেন মার্ক প্রেরিত পিতরের কাছে শিক্ষা পেয়ে মার্ক সুসমাচার লিখেছিলেন।  লূকের সুসমাচার সয়ং তিনি লিখেছিলেন তবে তিনি প্রেরিত পৌলের কাছে শিক্ষা পেয়ে সুসমাচার লিখেছিলেন এবং প্রেরিত যোহনের সয়ং তিনি লিখেছিলেন।

"Concerning the four Gospels which alone are uncontroverted in the Church of God under heaven, I have learned by tradition that the Gospel according to Matthew, who was at one time a publican and afterwards an Apostle of Jesus Christ, was written first and that he composed it in the Hebrew tongue and published it for the converts from Judaism. The second written was that according to Mark, who wrote it according to the instruction of Peter, who, in his General Epistle, acknowledged him as a son, saying, 'The church that is in Babylon, elect together with you, salutes you and so does Mark my son.' And third, was that according to Luke, the Gospel commended by Paul, which he composed for the converts from the Gentiles. Last of all, that according to John". (Commentary on Matthew 1)

সুসমাচারের প্রথমে লেখকের নামঃ মূল গ্রিক ভাষার সুসমাচারের প্রতিটি পান্ডূলীপির আরাম্ভে লিখিত রয়েছে “মথি লিখিত সুসমাচার, মার্ক লিখিত সুসমাচার, লূক লিখিত সুসমাচার, যোহন লিখিত সুসমাচার। এমন কোন গ্রিক পান্ডূলীপি পাওয়া যায় নি যেখানে এর বিপরীত নাম লেখা রয়েছে।


মার্ক এবং লূক সুসমাচারের ভিত্তি কি ছিল?

অনেকেই দাবি করে “মার্ক এবং লূক এরা যীশু খ্রীষ্টের যুগের ছিলেন না, তার শিষ্য ছিলেন না, তারা কেউ শিষ্যদের চিনতেন না তাই তাদের লেখা সুসমাচার নির্ভযোগ্য নয়।”

প্রেরিত পৌল মার্ক এবং লূক উভয়কেই চিনতেন, তারা সেই সময়ের বিশ্বাসযোগ্য লোক ছিলেন তাদের তিনি ঈশ্বরের রাজ্য বিস্তারের ব্যবহার করেছিলেন, “একা লূক মাত্র আমার সঙ্গে আছেন। তুমি মার্ককে সঙ্গে করিয়া আইস, কেননা তিনি পরিচর্যা বিষয়ে আমার বড় উপকারী। ” ২তীমথিয়৪:১১;

প্রেরিত পৌল লূকের সুসমাচার থেকে উদৃতি দিয়েছিলেন এবং তাকে পবিত্র শাস্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছেন  কারণ শাস্ত্রে বলে, “শস্যমর্দনকারী বলদের মুখে জাল্‌তি বাঁধিও না;” আর, “কার্যকারী আপন বেতনের যোগ্য।”-১তীমথিয়৫:১৮; (লূক ১০:৭;) 

প্রেরিত পৌলের মিশনারি কার্যে সুসমাচার লেখক লূক তার সাথে ছিলেনঃ

(প্রেরিত পুস্তক সুসমাচার লেখক লূকের লেখা তাই যেখানে তিনি আমরা কথাটি ব্যবহার করেছেন সেখানে তিনি নিজেকে বুঝিয়েছেন)

মন্দ আত্মা থেকে মুক্ত করার ঘটনার সময়েঃ

“একদিন আমরা সেই প্রার্থনা-স্থানে যাইতেছিলাম, এমন সময়ে দৈবজ্ঞ আত্মাবিষ্ট এক দাসী আমাদের সম্মুখে পড়িল; সে ভাগ্য-কথন দ্বারা তাহার কর্তাদের বিস্তর লাভ জন্মাইত।  সে পৌলের এবং আমাদের পশ্চাৎ চলিতে চলিতে চেঁচাইয়া বলিতে লাগিল, এই ব্যক্তিরা পরাৎপর ঈশ্বরের দাস, ইহাঁরা তোমাদিগকে পরিত্রাণের পথ জানাইতেছেন। সে অনেক দিন পর্যন্ত এইরূপ করিতে থাকিল। কিন্তু পৌল বিরক্ত হইয়া মুখ ফিরাইয়া সেই আত্মাকে কহিলেন, আমি যীশু খ্রীষ্টের নামে তোমাকে আজ্ঞা দিতেছি, ইহা হইতে বাহির হইয়া যাও; তাহাতে সেই দণ্ডেই সে বাহির হইয়া গেল।” প্রেরিত১৬:১৬-১৮;

প্রেরিত পৌলের মিশনারি যাত্রা পথে লূক তার সাথে ছিলেনঃ

পরে সোর ছাড়িয়া আমরা জলযাত্রা শেষ করিয়া তলিমায়িতে উপস্থিত হইলাম, এবং ভ্রাতৃগণকে মঙ্গলবাদ করিয়া এক দিন তাঁহাদের সঙ্গে রহিলাম। পরদিন আমরা প্রস্থান করিয়া কৈসরিয়াতে আসিলাম, এবং সুসমাচার-প্রচারক ফিলিপ, যিনি সেই সাত জনের একজন, তাঁহার বাটীতে প্রবেশ করিয়া তাঁহার সঙ্গে অবস্থিতি করিলাম।  সেই ব্যক্তির চারি জন কুমারী কন্যা ছিলেন, তাঁহারা ভাববাণী বলিতেন। সেই স্থানে আমরা অনেক দিন অবস্থিতি করিলে যিহূদিয়া হইতে আগাব নামে একজন ভাববাদী উপস্থিত হইলেন। আর তিনি আমাদের নিকটে আসিয়া পৌলের কটিবন্ধন লইয়া তাঁহার নিজের হাত পা বাঁধিয়া কহিলেন, পবিত্র আত্মা এই কথা কহিতেছেন, যে ব্যক্তির এই কটিবন্ধন, তাঁহাকে যিহূদীরা যিরূশালেমে এইরূপে বাঁধিবে, এবং পরজাতীয়দের হস্তে সমর্পণ করিবে। ইহা শুনিয়া তথাকার ভ্রাতৃগণ ও আমরা পৌলকে বিনতি করিলাম, যেন তিনি যিরূশালেমে না যান। তখন পৌল উত্তর করিলেন, তোমরা এ কি করিতেছ? ক্রন্দন করিয়া আমার হৃদয় চুর্ণ করিতেছ? কারণ আমি প্রভু যীশুর নামের নিমিত্ত যিরূশালেমে কেবল বদ্ধ হইতে, তাহা নয়, বরং মরিতেও প্রস্তুত আছি। এইরূপে তিনি আমাদের কথা শুনিতে অসম্মত হইলে আমরা ক্ষান্ত হইয়া বলিলাম, প্রভুরই ইচ্ছা সিদ্ধ হউক।এই সকল দিনের শেষে আমরা জিনিসপত্র গুছাইয়া লইয়া যিরূশালেমে যাত্রা করিলাম। আর কৈসরিয়া হইতে কয়েক জন শিষ্য আমাদের সঙ্গে চলিলেন; তাঁহারা কুপ্র দ্বীপের ম্নাসোন নামক একজনকে সঙ্গে করিয়া আনিলেন; ইনি একজন আদিম শিষ্য; ইঁহারই বাটীতে আমাদের অতিথি হইবার কথা। যিরূশালেমে উপস্থিত হইলে পর ভ্রাতৃগণ সানন্দে আমাদিগকে গ্রহণ করিলেন। পরদিন পৌল আমাদের সহিত যাকোবের বাটীতে প্রবেশ করিলেন; তথায় প্রাচীনবর্গ সকলে উপস্থিত হইলেন।”প্রেরিত২১:৭-১৭;

 

সুসমাচার লেখক লূক তার লেখায় সুসমাচার লেখক মার্কের কথাও উল্লেখ করেছেনঃ

সুসমাচার লেখক মার্কের বাড়িতে উপাসনা হতোঃ

এই বিষয় আলোচনা করিয়া তিনি মরিয়মের বাটীর দিকে চলিয়া গেলেন, ইনি সেই যোহনের মাতা, যাহাকে মার্ক বলে; সেখানে অনেকে একত্র হইয়াছিল ও প্রার্থনা করিতেছিল।” প্রেরিত১২:১২;

সুসমাচার লেখক মার্ক প্রেরিত বার্ণবা এবং প্রেরিত পৌলের সাথে মিশনারী কাজে অন্তরভুক্ত ছিলেনঃ

আর বার্ণবা ও শৌল আপনাদের পরিচর্যা-কার্য সমপন্ন করিবার পর যিরূশালেম হইতে প্রত্যাগমন করিলেন; যোহন যাঁহাকে মার্কও বলে, তাঁহাকে সঙ্গে লইলেন।” প্রেরিত১২:২৫;

“খ্রীষ্ট যীশুতে আমার সহবন্দি ইপাফ্রা তোমাকে মঙ্গলবাদ করিতেছেন, মার্ক, আরিষ্টার্খ, দীমা ও লূক, আমার এই সহকারিগণও করিতেছেন।” ফিলীমন১:২৩-২৪;

উক্তি দলিল দ্বারা প্রমানিত হয় যে মার্ক এবং লূক উভয়ে সেই সময়ের বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন যারা প্রেরিতদের সাথে মিশনারী কার্যে যুক্ত ছিলেন তারা অচেনা কোন ব্যক্তি ছিলেন না।

পরিশেষে বলা যায়, মথি তার নিজের সুসমাচার লিখেছেন, মার্ক তার নিজের সুসমাচার লিখেছেন, লূক তার নিজের সুসমাচার লিখেছেন এবং যোহন তার নিজের সুসমাচার লিখেছেন যা নিয়ে বিন্দু মাত্র সন্দেহ নাই।

ইসলাম এই বিষয়ে কি বলে?

(ইসলামের ধর্ম গ্রন্থ যদিও একজন খ্রীষ্টানের কাছে গ্রহনযোগ্য নয় শুধুমাত্র মুসলিমদের বোঝানোর জন্য এটি ব্যবহার করা যেতে পারে)

১। কুরআনে স্পষ্ট বলা আছে “ঈসা মসীহের শিষ্যদের আল্লাহ ওহী দিয়েছিলেন সূরা ৫:১১১;

And [remember] when I inspired to the disciples, "Believe in Me and in My messenger Jesus." They said, "We have believed, so bear witness that indeed we are Muslims [in submission to Allah]." Sahih International

YUSUF ALI
“And behold! I inspired the disciples to have faith in Me and Mine Messenger: they said, ‘We have faith, and do thou bear witness that we bow to Allah as Muslims'”.

PICKTHALL
And when I inspired the disciples, (saying): Believe in Me and in My messenger, they said: We believe. Bear witness that we have surrendered (unto Thee) “we are muslims”.

ABDEL HALEEM
and how I inspired the disciples to believe in Me and My messengers- they said, “We believe and bear witness that we devote ourselves [to God].”’

(যদিও বাংলা অনুবাদকেরা ওহীর যায়গায় আদেশ অনুবাদ করেছে যা মিথ্যা অনুবাদ)

২। সূরা ৩৬:১৩-১৪; আয়াতে “ঈসা মসীহের শিষ্যদের রাসূল বলা হয়েছে যারা ঈসা মসীহের বাণী পরজাতিদের কাছে প্রচার করতে এসেছিলেন”। (রাসূল এর অর্থ যার উপরে কিতাব অবতীর্ণ হয়)

আর এক জনপদের অধিবাসীদের উপমা তাদের কাছে বর্ণনা কর, যখন তাদের কাছে রাসূলগণ এসেছিল। যখন আমি তাদের কাছে দু’জন রাসূল পাঠিয়েছিলাম, তখন তারা তাদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছিল। তারপর আমি তাদেরকে তৃতীয় একজনের মাধ্যমে শক্তিশালী করেছিলাম। অতঃপর তারা বলেছিল, ‘নিশ্চয় আমরা তোমাদের প্রতি প্রেরিত রাসূল’। আল-বায়ান

ইবনে আব্বাস তার তাফসীরে এই আয়াতের ব্যাখ্যা দিয়েছেনঃ আন্তখিয়াতে ঈসা মসীহের শিষ্য পিতর, উদ্‌যোগী শিমোন, থোমা এসেছিলেন,

36.13 Abbas - Tanwîr al-Miqbâs min Tafsîr Ibn ‘Abbâs

(Coin for them a similitude) explain to the people of Mecca: (The people of the city) of Antioch, how We destroyed them (when those sent (from Allah) came unto them) i.e. when the emissary of Jesus, Simon the Pure, came to them and they disbelieved in and denied him;

36.14 Abbas - Tanwîr al-Miqbâs min Tafsîr Ibn ‘Abbâs

(When We sent unto them twain) two apostles: Simon the Canaanite and Thomas, (and they denied them both, so We reinforced them with a third) We strengthened them with Simon Peter who confirmed the message conveyed by the other two apostles, (and they said; Lo! we have been sent unto you.

তাফসীর আল-জালালাইনে এই আয়াতের ব্যাখ্যা দিয়েছেনঃ এই তিনজন রাসূল যারা আন্তখিয়াতে প্রচার করতে গিয়েছিলেন তারা মূলত ছিলেন ঈসা মসীহের শিষ্যরা/সাহাবীরা,

36.13 Jalal - Al-Jalalayn

And strike for them as a similitude (mathalan is the first direct object) the inhabitants (ashāba is the second direct object) of the town, [of] Antioch (Antākya), when the messengers, namely, Jesus’s disciples, came to it (idh jā’ahā’l-mursalūna is an inclusive substitution for ashāba’l-qaryati, ‘the inhabitants of the town’).

 

ইবনে কাসীর এই আয়াতের ব্যাখ্যা দিয়েছেনঃ এই তিনজন রাসূল যারা আন্তখিয়াতে প্রচার করতে গিয়েছিলেন তারা ছিলেন ঈসা মসীহের শিষ্য/সাহাবী পিতর, যোহন (ইউহোন্না) এবং পৌল (আরবীঃ বুলাস),

(When We sent to them two Messengers, they denied them both;) means, they hastened to disbelieve in them. (so We reinforced them with a third,) means, `We supported and strengthened them with a third Messenger. ' Ibn Jurayj narrated from Wahb bin Sulayman, from Shu`ayb Al-Jaba'i, "The names of the first two Messengers were Sham`un and Yuhanna, and the name of the third was Bulus, and the city was Antioch (Antakiyah).

৩। হযরত মুহাম্মদের জীবনি গ্রন্থেও ইবনে হীশামে স্পষ্ট লেখা আছে যে যোহনের সুসমাচার তিনি নিজেই লিখেছিলেন এবং তা লিখেছিলেন ঈসা মসীহের আদেশেঃ

ইন্জিলে রাসূলুল্লাহর (সা:) বিবরণ

ইবনে ইসহাক বলেন, হযরত মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে ঈসা আলাইহিস্ সালামের যে বিবরণ ও প্রতিশ্রুতি ঈসার সহচর ইউহান্না কর্তৃক সংকলিত ইনজীলে বর্ণিত হয়েছে এবং যা স্বয়ং ঈসা আল্লাহর তরফ থেকে প্রাপ্ত ওহী অনুসারে লিপিবদ্ধ করিয়েছেন, আমার জানা মতে তা এইঃ-(সীরাতে ইবনে হীশাম পৃঃ৫২;)

ইসলামের বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে লেখা আছে যে সুসমাচার কারো বানানো গ্রন্থ নয় এটি ঐশ্বরিক পবিত্র গ্রন্থ যার লেখকেরা ছিলেন ঈসা মসীহের নিজস্ব শিষ্যবর্গ।

https://www.responsetoantichrist.com




শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: