সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Saturday, August 24, 2024

যীশু কি নবী ছিলেন ? যদি,নবী নাই হন...!!! তাহলে, প্রকৃতপক্ষে যীশু খ্রীস্ট কে??? Who is Jesus Christ ?

Edit by:Admin

লেখক: Bro Hermit


 "যীশু খ্রীষ্ট জগতে থাকাকালীন অতিসাধারণ ভাবে ছিলেন,আর পাঁচটা নবীদের মত বেশভূষা ছিল। যে কারনে অন্যদের মত' আপনার ও মনে হচ্ছে যীশু নবী ছিলেন।কিন্তু একদল লোক বলতে চায়, যীশু শুধু মাত্র নবী ঈশ্বর নন। আসলে এটা পুরো ভূল শিহ্মা। যীশু নবী ছিলেন বটে" কিন্তু যীশুই একমাত্র ঈশ্বর।  এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে বুঝতে পারবেন, যীশু সাধারণ কেউ নন " তিনি একমাত্র ঈশ্বর।যদি বলেন,যে যীশু নবী? তাহলে বলব যে এভাবেই তার আসা প্রয়োজন ছিল,,, অনুগ্রহ প্রকাশের জন্য 'অর্থাৎ নতুন নিয়ম ,,চালু করবার জন্য--ঈশ্বরের দ্বারা"মোশী ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন-(তোমাদের নিজেদের লোকদের মধ্যে থেকে ঈশ্বর আমার ই মত একজন নবী ঠিক করবেন"প্রেরিত:৭:৩৮)তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের ইস্রায়েলীয় ভাইদের মধ্য থেকে থেকেই তোমাদের জন্য আমার মত একজন নবী দাঁড় করাবেন। তার কথামতো তোমাদের চলতে হবে"(দ্বীতীয় বিবরণ ১৮:১৫)।   হোরের পাহাড়ের কাছে যেদিন তোমরা সবাই সদাপ্রভুর সামনে জড়ো হয়েছিল সেদিন তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে তাই চেয়েছিলে। তোমরা বলেছিলে, ' আর আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর  কথা শুনতে কিংবা এই মহান আগুন দেখতে চাই না তাহলে আমরা মারা যাবো।

"সদাপ্রভু আমাকে বলেছিলেন," তারা ভালোই বলেছে। আমি তাদের ইস্রাইলীয় ভাইদের মধ্য থেকে তাদের জন্য তোমার মত একজন নবী দাঁড় করাব। তার মুখ দিয়েই আমি কথা বলব, আর আমি যা বলতে তাকে আদেশ দেবো সে-তাই বলবে।  সেই নবী আমার নাম করে যে কথা বলবে কেউ যদি আমার সে কথা না শুনে, তবে আমি নিজেই সে লোককে দায়ী করবো"(দ্বিতীয় বিবরণ ১৮:১৬-১৯)।


এখানে সদাপ্রভু যে নবীর আসবার কথা, মোশির কাছে ভবিষ্যতবানী করেছেন ‌ তিনি হলেন যীশু খ্রিস্টঈশ্বরের দেওয়া নাম,(যীশু খ্রিস্ট) পুত্র নিজ নামে যে,কথা বা প্রচার করে" পিতা ঈশ্বরকে প্রকাশ করেছেন। "তাহার কথা যদি মানুষ না শোনে বা, যীশু কে অমান্য করে তাহলে,সদাপ্রভু সেই লোকদের দোষী করবেন।কেননা যীশু খ্রিস্টই, সদাপ্রভু ঈশ্বর-শুধু নবী নন।কেননা ,ইস্রায়ীলেরা ঈশ্বর কে বলেছিল,আমরা ঈশ্বর এর জলন্ত প্রতাপ ও রব সহ্য করতে পারছি না,আমরা যে মারা যাব, --যে কারনে ঈশ্বর-মানব বেশে আসলেনযেটা,  লোকদের উদ্ধার করনার্থে দরকার।যীশু সাধারণ নবীই শুধু নন,তা তো দেখলেন আরো দেখতে পাবেন, তিনি প্রকৃতপক্ষে কে? আসুন আমরা দেখব, বাপ্তিস্মদাতা যোহনের বিষয়ে প্রভু যীশু কি বলেছেন:যোহনের শিষ্যোরা চলে যাচ্ছে, এমন সময় যীশু লোকদের কাছে যোহনের বিষয় বলতে আরম্ভ করলেন,  "আপনারা মরু-এলাকায় কি দেখতে গিয়েছিলেন?  বাতাসে দোলা-নলখাগড়া ?  তা না হলে কি দেখতে গিয়েছিলেন ? সুন্দর কাপড় পরা কোন লোককে দেখতে কি?  আসলে, যারা সুন্দর কাপড় পরে তারা রাজার বাড়িতে থাকে। তা না হলে কি দেখতে গিয়েছিলেন?  কোন নবীকে কি?  হ্যাঁ, আমি আপনাদের সত্যি বলছি, তিনি নবীর চেয়েও বড়।(যোহন ১১:৭-১০)এখানে, আমরা দেখলাম যোহন নবীর চেয়েও বড় 😱 যোহন নবীর চেয়েও বড়, শাস্ত্রের এই কথা আমাদের কাছে প্রমান করেছে।তাহলে, এই যোহন আসলে কে? ঈশ্বর যোহন নামে একজন  লোককে পাঠিয়েছিলেন। তিনি আলোর বিষয়ে সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন যেন সকলে তার সাক্ষ্য শুনে বিশ্বাস করতে পারে।  যখন নিজে সেই আলো ছিলেন না, কিন্তু সেই আলোর বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন।



সেই আসন আলো, যিনি প্রত্যেক মানুষকে আলো দান করেন, তিনি জগতে আসছিলেন।  তিনি জগতেই ছিলেন এবং জগত তার দ্বারাই সৃষ্ট হয়েছিল, তবুও জগৎ তাকে চিনল না।  তিনি নিজের দেশে আসলেন, কিন্তু তার নিজের লোকেরাই তাকে গ্রহণ করল না। তবে যতজন তার উপরে বিশ্বাস করে তাকে গ্রহন করল তাদের প্রত্যেককে তিনি ঈশ্বরের সন্তান হবার অধিকার দিলেন।  লোকদের জন্ম রক্ত থেকে হয়নি, শরীরিক কামনা বা পুরুষের বাসনা থেকে হয়নি কিন্তু ঈশ্বর থেকেই হয়েছে"(যোহন ১:৬-১৩)।

তাহলে আমরা , বুঝতে পারলাম যোহন হলো"  যীশু খ্রীষ্টের বার্তাবাহক। যীশু খ্রিস্ট যে জগতে আসবেন,সেই সুখবর প্রচারের দায়িত্বে।


এই যোহনের বিষয়েই নবী যিশাইয় বলেছিলেন---

  মরু-এলাকায় একজনের কন্ঠস্বর চিতকার করে জানাচ্ছে,

তোমরা প্রভুর পথ ঠিক কর;

তার রাস্তা সোজা কর"(মথি ৩:৩)।


 আমরা শাস্রে দেখলাম" যোহন যীশু খ্রীষ্টের বার্তাবাহক। ত যোহন যীশু খ্রীষ্ট সমন্ধে কি বলেছেন আমরা দেখব:-

যোহন তার বিষয়ে জোর গলায় সাক্ষ্য দিয়ে বললেন, " উনিই সেই লোক,যার বিষয়ে আমি বলেছিলাম, যিনি আমার পরে আসছেন তিনি আমার চেয়ে মহান,কারন তিনি আমার অনেক আগে থেকেই আছেন"(যোহন ১:১৫)।

 যোহন বললেন"আমি তার জুতা বইবারও যোগ্য নয়"(মথি ৩:১১)।

যোহন বললেন" আমি তোমাদের জলে বাপ্তিস্ম দিচ্ছি, কিন্তু তিনি পবিত্র আত্মাতে তোমাদের বাপ্তিস্ম দিবেন"(মার্ক ১:৮)।


উপরের রেফারেন্স অনূসারে সেই সত্য প্রকাশ করা হলো:


১) যীশু যোহনের থেকে মহান,হওয়ায় যীশু নবী নন। কারন মানুষের থেকে মহান একমাত্র ঈশ্বরই হয়।


২)যোহন যীশুর জুতা বইবার যোগ্য নয় বলে" যীশু নবী নন। কারন  এধরনের কথা কোন মানুষ, মানুষ কে বলতে পারে না"ঈশ্বর কে ছাড়া।


৩) যোহন যেহেতু জলে বাপ্তিস্ম দেন" ও যীশু পবিত্র আত্মায় বাপ্তিস্ম দেন। সেহুতু যীশু নবী নন,কারন একমাত্র ঈশ্বর ই পারেন "এই কাজ।


এখন, শাস্রের রেফারেন্স মতে প্রমাণ হলো যে,,, যীশু প্রকৃতপক্ষে" নবী নন।


তাহলে এই যীশু কে?


Who is Jesus Christ?

?

?

?

যীশু ঈশ্বরের পুত্র / যীশুই ঈশ্বর


(মথি ১:২০-২১) মরিয়মকে বিয়ে করতে ভয় করোনা, কারণ তার গর্ভে যা জম্মেছে,তা পবিত্র আত্মার শক্তিতেই জন্মেছে। তার একটি ছেলে হবে। তুমি তার নাম  যীশু রাখবে,কারন তিনি তার লোকদের তাদের পাপ থেকে উদ্ধার করবেন।


  এখানে যীশুর জন্মের বিষয়ে বলা হয়েছে, তিনি শারীরিক ভাবে নয় পবিত্র আত্মার শক্তিতে জন্ম গ্রহণ করেছেন"ও  লোকদের উদ্ধার করবেন।


আমরা জানি, উদ্ধার একমাত্র ঈশ্বরই।



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: