ভূমিকা: অধিকার বলতে বোঝানো হয় এমন কিছু অধিকার, যা একজন মানুষ জন্মের পর থেকেই পেয়ে থাকে এবং যা মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবেও গণ্য করা হয়। এই অধিকারগুলোকে কেউ তাকে থেকে কেড়ে নিতে পারে না। সাধারণভাবে, মানবাধিকারের অংশ হিসেবে জন্মগত অধিকারগুলোকে বিবেচনা করা হয়, এবং এটি নির্দিষ্ট কোনও দেশের আইন দ্বারা নয়, বরং মানবিক নীতিমালা ও আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে প্রাপ্ত।
জন্মগত অধিকারগুলোর মধ্যে রয়েছে:
ক্র-নং | মৌলিক অধিকার | বাস্তবায়ন |
১ | জীবনের অধিকার | বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার |
২ | স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার অধিকার | ব্যক্তির স্বাধীনতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা। |
৩ | সমানাধিকারের অধিকার | জাতি, বর্ণ, ধর্ম বা লিঙ্গভেদে সমান অধিকার লাভ |
৪ | মতপ্রকাশের অধিকার | নিজের মত প্রকাশের স্বাধীনতা |
৫ | স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিকার | মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা পাওয়ার অধিকার |
এসব অধিকারকে রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্র, সমাজ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর বর্তায়।
বাইবেলে জন্মগত অধিকার (বা জন্মসিদ্ধ অধিকার) মূলত পিতার সম্পদ ও আশীর্বাদে প্রথম পুত্রের অধিকারকে বোঝায়, যা বিশেষত পুরাতন নিয়মে দেখা যায়। এই অধিকার অনুযায়ী, পরিবারের প্রথম পুত্র তার পিতার উত্তরাধিকার হিসেবে সম্পত্তির বড় অংশ এবং পারিবারিক নেতৃত্ব লাভ করত।
বাইবেলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ:
1.এষৌ ও যাকোব: এষৌ ছিলেন যাকোবের বড় ভাই এবং জন্মগত অধিকারধারী। তবে, যাকোব এই অধিকার নিজের কৌশলে কিনে নেন এবং পিতার আশীর্বাদ লাভ করেন (আদিপুস্তক ২৫:২৮–৩৪)। বিবিএস: পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন)
2. রূবেণ: যাকোবের প্রথম পুত্র রূবেণ জন্মগত অধিকারের অধিকারী ছিলেন, কিন্তু পিতার সাথে বেআইনি সম্পর্ক করার জন্য তা হারান (আদিপুস্তক ৪৯:৩-৪)। বিবিএস: পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন)
3. দ্বিতীয় আইন: দ্বিতীয় বিবরণ ২১:১৭–এর নিয়ম অনুযায়ী, বড় পুত্রকে পিতার সম্পত্তির দ্বিগুণ অংশ পেতে হয়, যা পরিবারের উত্তরাধিকারকে সুসংগঠিত করতে সাহায্য করে।
' কিন্তু সে অপ্রিয়ার পুত্রকে জ্যেষ্ঠরূপে স্বীকার করিয়া আপন সর্বস্বের দুই অংশ তাহাকে দিবে; কারণ সে তাহার শক্তির প্রথম ফল, জ্যেষ্ঠাধিকার তাহারই। ' বিবিএস: পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন)
জ্যেষ্ঠাধিকার প্রথমজাত সন্তানের, এমন হতে পারে যে, একজন লোকের দু’জন স্ত্রী আছে, আর তাদের একজনকেই সে ভালবাসে অন্যজনকে নয়। তাদের দু’জনেরই যদি ছেলে হয় আর প্রথম ছেলের জন্ম হয় সেই স্ত্রীর গর্ভে যাকে সে ভালবাসে না, তবে সম্পত্তি উইল করে দেবার সময়ে যে স্ত্রীকে সে ভালবাসে না তার ছেলেকে বাদ দিয়ে অন্য স্ত্রীর ছেলেটিকে প্রথম ছেলের পাওনা অধিকার দেওয়া চলবে না, কারণ যে স্ত্রীকে সে ভালবাসে না তার ছেলেটিই আসলে তার প্রথম ছেলে। দ্বিঃ বিঃ ২১: ১৫, ১৬ পদ। বাংলা বাইবেল (সাধারণ ভাষা সংস্করণ)
প্রথমজাত পিতার সম্পত্তির দুই অংশ পাইবে, যে স্ত্রীকে সে ভালবাসে না তার ছেলেকে তার সম্পত্তি থেকে অন্য যে কোন ছেলের চেয়ে দ্বিগুণ ভাগ দিয়ে সেই ছেলেই যে প্রথম ছেলে তা তাকে স্বীকার করতে হবে। সেই ছেলেই তার বাবার পুরুষ-শক্তির প্রথম ফল। প্রথম ছেলের অধিকার তারই পাওনা। দ্বিঃ বিঃ ২১ঃ ১৫-১৭; বাংলা বাইবেল (সাধারণ ভাষা সংস্করণ)
রাজকীয় অধিকার, ' ' আর তাহাদের পিতা তাহাদিগকে মহা সম্পত্তি অর্থাৎ রৌপ্য, স্বর্ণ ও বহুমূল্য দ্রব্য এবং যিহূদা দেশস্থ প্রাচীরবেষ্টিত নগরগুলি দান করিয়াছিলেন, কিন্তু যিহোরাম জ্যেষ্ঠ বলিয়া তাঁহাকে রাজ্য দিয়াছিলেন। '২ বংশাবলি ২১:3 বিবিএস: পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন)
মর্যাদা সম্পন্ন পদবী, ' আর তুমি ফরৌণকে কহিবে, সদাপ্রভু এই কথা কহেন, ইস্রায়েল আমার পুত্র, আমার প্রথমজাত। ' যাত্রাপুস্তক ৪: ২২; বিবিএস: পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন)
' আবার আমি তাহাকে প্রথমজাত করিব, পৃথিবীর রাজগণ হইতে সর্বোচ্চ করিয়া নিযুক্ত করিব। 'গীত ৮৯ : ২৭; বিবিএস: পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন)
' তাহারা রোদন করিতে করিতে আসিবে, এবং বিনয় সহকারে আমা দ্বারা চালিত হইবে; আমি তাহাদিগকে জলস্রোতের নিকট দিয়া সরল পথে গমন করাইব, সেই পথে তাহারা উছোট খাইবে না, যেহেতু আমি ইস্রায়েলের পিতা, এবং ইফ্রয়িম আমার প্রথমজাত পুত্র। 'যিরমিয় ৩১ : ৯ বিবিএস: পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন)
' কারণ তিনি যাহাদিগকে পূর্বে জানিলেন, তাহাদিগকে আপন পুত্রের প্রতিমূর্তির অনুরূপ হইবার জন্য পূর্বে নিরূপণও করিলেন; যেন ইনি অনেক ভ্রাতার মধ্যে প্রথমজাত হন। 'রোমীয় ৮ :২৯; বিবিএস: পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন)
' ইনিই অদৃশ্য ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি, সমুদয় সৃষ্টির প্রথমজাত; কেননা তাঁহাতেই সকলই সৃষ্ট হইয়াছে; 'কলসীয় ১: ১৫ বিবিএস: পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন)
না, তিনি তা বলেন নি। ঈশ্বর তাঁর প্রধান সন্তানকে এই জগতে পাঠাবার সময় বলছেন,
“ঈশ্বরের সব দূতেরা তাঁকে ঈশ্বরের সম্মান দিয়ে প্রণাম করুক।”
ঈশ্বর কখনও কি কোন স্বর্গদূতকে এই কথা বলেছেন,
“যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদের
তোমার পায়ের তলায় রাখি,
ততক্ষণ তুমি আমার ডানদিকে বস”?
স্বর্গদূতেরা কি সকলেই সেবাকারী আত্মা নন? যারা পাপ থেকে উদ্ধার পাবে তাদের সেবা করবার জন্যই তো তাঁদের পাঠানো হয়।ইব্রীয় ১:৬, ১৩-১৪ বাংলা বাইবেল (সাধারণ ভাষা সংস্করণ)
না, তিনি তা বলেন নি। আল্লাহ্ তাঁর প্রধান সন্তানকে এই দুনিয়াতে পাঠাবার সময় বলছেন, “আল্লাহ্র সব ফেরেশতারা তাঁকে সেজদা করুক।”
আল্লাহ্ কখনও কি কোন ফেরেশতাকে এই কথা বলেছেন,
“যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদের
তোমার পায়ের তলায় রাখি,
ততক্ষণ তুমি আমার ডানদিকে বস”?
ফেরেশতারা কি সকলেই সেবাকারী রূহ্ নন? যারা নাজাত পাবে তাদের সেবা করবার জন্যই তো তাঁদের পাঠানো হয়।ইবরানী ১:৬, ১৩-১৪ (BACIB: কিতাবুল মোকাদ্দস)
'যিনি “বিশ্বস্ত সাক্ষী,” মৃতদের মধ্যে “প্রথমজাত” ও “দুনিয়ার বাদশাহ্দের শাসনকর্তা,” সেই ঈসা মসীহ্ থেকে, রহমত ও শান্তি তোমাদের প্রতি বর্ষিত হোক। যিনি আমাদের মহব্বত করেন ও নিজের রক্তে আমাদের গুনাহ্ থেকে আমাদের মুক্ত করেছেন, 'প্রকাশিত কালাম 1:5 BACIB: কিতাবুল মোকাদ্দস
'এবং সেই যীশু খ্রীষ্ট থেকে যিনি বিশ্বস্ত সাক্ষী, মৃতলোক থেকে প্রথমজাত ও পৃথিবীর রাজাদের শাসক। যিনি আমাদের প্রেম করেন এবং যিনি তাঁর রক্তে আমাদের পাপসমূহ থেকে আমাদের মুক্ত করেছেন, 'প্রকাশিত বাক্য 1:5 ( BCV: বাংলা সমকালীন সংস্করণ)
এষৌর জ্যেষ্ঠাধিকার বিক্রয়, একদিন যাকোব ডাল রান্না করছেন, এমন সময় এষৌ মাঠ থেকে ফিরে আসলেন। তখন তিনি খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তিনি যাকোবকে বললেন, “আমি খুব ক্লান্ত। তোমার ঐ লাল জিনিস থেকে আমাকে কিছুটা খেতে দাও।” এই কথার জন্য এষৌর আর এক নাম হল ইদোম (যার মানে “লাল”)।
যাকোব বললেন, “কিন্তু বড় ছেলে হিসাবে তোমার যে অধিকার সেটা আজ তুমি আমার কাছে বিক্রি কর।”
এষৌ বললেন, “দেখ, আমার প্রাণ বেরিয়ে যাচ্ছে, বড় ছেলের অধিকার দিয়ে আমি কি করব?”
যাকোব বললেন, “আগে তুমি আমার কাছে শপথ কর।” তখন এষৌ শপথ করে বড় ছেলের অধিকার যাকোবের কাছে বিক্রি করে দিলেন।
যাকোব এর পর এষৌকে রুটি ও ডাল খেতে দিলেন, আর এষৌ খাওয়া-দাওয়া শেষ করে উঠে চলে গেলেন। এইভাবে এষৌ তাঁর বড় ছেলে হওয়ার অধিকারকে কোন দামই দিলেন না। আদিপুস্তক ২৫:২৯-৩৪ বাংলা বাইবেল (সাধারণ ভাষা সংস্করণ)
'এষৌ বললেন, “তার নাম যাকোব রাখাই কি উচিত হয়নি? সে এই দ্বিতীয়বার আমার সাথে প্রতারণা করল: সে আমার জ্যেষ্ঠাধিকার আত্মসাৎ করেছিল আর এখন সে আমার আশীর্বাদও আত্মসাৎ করে নিল!” পরে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “আমার জন্য আর কোনও আশীর্বাদ কি আপনি রাখেননি?” ' আদি পুস্তক 27:36 (BCV: বাংলা সমকালীন সংস্করণ)
' যাকোব কহিলেন, তুমি অদ্য আমার কাছে দিব্য কর। তাহাতে তিনি তাঁহার কাছে দিব্য করিলেন। এইরূপে তিনি আপন জ্যেষ্ঠাধিকার যাকোবের কাছে বিক্রয় করিলেন। ' আদিপুস্তক ২৫:33 বিবিএস: পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন)
' পাছে কেহ ব্যভিচারী বা ধর্মবিরোধী হয়, যেমন এষৌ, সে ত এক বারের খাদ্যের নিমিত্ত আপন জ্যেষ্ঠাধিকার বিক্রয় করিয়াছিল। ' ইব্রীয় ১২:১৬; বিবিএস: পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন)
সেই পুরুষটি ছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষ ইস্হাক। সেই ছেলে দু’টির জন্মের আগে যখন তারা ভাল বা মন্দ কিছুই করে নি ঈশ্বর তখনই রিবিকাকে বলেছিলেন, “বড়টি ছোটটির দাস হবে।” এতে ঈশ্বর দেখিয়েছিলেন যে, নিজের উদ্দেশ্য পূর্ণ করবার জন্য তিনিই বেছে নেন; কোন কাজের ফলে তিনি তা করেন না বরং তাঁর ইচ্ছামতই তিনি মানুষকে ডাকেন। আর তাই পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “যাকোবকে আমি ভালবেসেছি, কিন্তু এষৌকে অগ্রাহ্য করেছি।” রোমীয় ৯:১১-১৩পদ বাংলা বাইবেল (সাধারণ ভাষা সংস্করণ)
রূবেন জ্যেষ্ঠাধিকার বাজেয়াপ্ত করেন, ইস্রায়েলের বড় ছেলে রূবেণ তার বাবার বিছানা অপবিত্র করেছিল বলে বড় ছেলের অধিকার হারিয়েছিল। সেই অধিকার ইস্রায়েলের অন্য ছেলে যোষেফের ছেলেদের দেওয়া হয়েছিল। তাই বংশ-তালিকায় তার স্থান বড় ছেলে হিসাবে লেখা হয় নি। আবার যদিও ভাইদের গোষ্ঠীর মধ্যে যিহূদা-গোষ্ঠী সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল এবং তাঁর গোষ্ঠী থেকেই নেতা বেছে নেওয়া হয়েছিল তবুও বড় ছেলের অধিকার যোষেফই পেয়েছিলেন। ১ বংশাবলি ৫:১-২ পদ। বাংলা বাইবেল (সাধারণ ভাষা সংস্করণ)
অধিকার স্থগিত রাখা : মনঃশির, তারপর তিনি যোষেফকে আশীর্বাদ করে বললেন,
“সেই ঈশ্বর, যাঁর ইচ্ছামত আমার পূর্বপুরুষ অব্রাহাম আর ইস্হাক চলতেন,
আমার জীবনের প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত
যিনি আমাকে রাখালের মত পালন করে আসছেন,
সেই স্বর্গদূত, যিনি আমাকে সমস্ত বিপদের হাত থেকে উদ্ধার করেছেন,
তিনি এই ছেলেদের আশীর্বাদ করুন।
এদের মধ্য দিয়েই আমার ও আমার পূর্বপুরুষ
অব্রাহাম ও ইস্হাকের নাম বেঁচে থাকুক।
আমাদের দেশের মধ্যে তাদের বংশের লোকেরা
সংখ্যায় অনেক বেড়ে উঠুক।”
বাবা তাঁর ডান হাতখানা ইফ্রয়িমের মাথার উপর রেখেছেন দেখে যোষেফ খুশী হলেন না। তিনি তা ইফ্রয়িমের মাথার উপর থেকে সরিয়ে মনঃশির মাথার উপর রাখবার উদ্দেশ্যে তাঁর বাবার হাত ধরে বললেন, “বাবা, এইভাবে নয়। এই যে আমার বড় ছেলে। তোমার ডান হাত এর মাথার উপরে রাখ।”
কিন্তু তাঁর বাবা তাতে আপত্তি জানিয়ে বললেন, “আমি তা জানি বাবা, আমি তা জানি। সেও মহান হবে এবং তার বংশের লোকেরা একটা জাতি হয়ে গড়ে উঠবে। কিন্তু তার ছোট ভাই তার চেয়েও মহান হবে এবং তার বংশের লোকদের মধ্য থেকে অনেকগুলো জাতি গড়ে উঠবে।”
ইস্রায়েল তারপর ছেলে দু’টিকে আশীর্বাদ করলেন এবং বললেন, “ইস্রায়েলীয়েরা কাউকে আশীর্বাদ করবার সময় তোমাদের নাম করে বলবে, ‘ঈশ্বর তোমাকে ইফ্রয়িম ও মনঃশির মত করুন।’ ” এই বলে তিনি মনঃশির চেয়ে ইফ্রয়িমকে বড় স্থান দিলেন। আদিপুস্তক ৪৮:১৫-২০ বাংলা বাইবেল (সাধারণ ভাষা সংস্করণ)
আদোনিয়ের, ' সে কহিল, আপনি জানেন, রাজ্য আমারই ছিল, এবং আমি রাজা হইব বলিয়া সমস্ত ইস্রায়েল আমার প্রতি উম্মুখ হইয়াছিল; কিন্তু রাজত্ব ঘুরিয়া গেল, আমার ভ্রাতার হইল; কেননা তাহা সদাপ্রভু হইতেই তাহার হইল। '১ রাজাবলি ২: ১৫ বিবিএস: পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন)
হোষার পুত্রের, ' আর মরারি-বংশজাত হোষার পুত্রগণের মধ্যে শিম্রি প্রধান ছিল; সে জ্যেষ্ঠ ছিল না, কিন্তু তাহার পিতা তাহাকে প্রধান করিয়াছিল; ' ১ বংশাবলি ২৬:১০ পদ। বিবিএস: পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন)
বাইবেলের শিক্ষা অনুযায়ী, জন্মগত অধিকার যেমন পারিবারিক সম্পদের বিষয়ে প্রযোজ্য, তেমন এটি আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ পিতৃপরম্পরার আশীর্বাদ ও ঈশ্বরের পরিকল্পনার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখা হত।
সারমর্ম,,এই ঘটনা থেকে আমরা শিখতে পারি যে, আমাদের সিদ্ধান্তগুলি ভালভাবে নিতে হবে এবং ক্ষণস্থায়ী সুখের জন্য চিরস্থায়ী মূল্য চুকানো উচিত নয়। আমাদের ভাইচারাকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং ঈশ্বরের পরিকল্পনার প্রতি বিশ্বাসী হতে হবে।
উপসংহার, আদিপুস্তকের এই অংশে যাকোব ও এষৌর মধ্যকার একটি বিশেষ ঘটনাকে তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে এষৌ তাঁর বড় ছেলে হওয়ার অধিকারকে হালকাভাবে গ্রহণ করেন এবং অস্থায়ী ক্ষুধা মেটাতে তিনি এটি যাকোবের কাছে বিক্রি করে দেন। এই ঘটনা ভবিষ্যতে যাকোব এবং এষৌর জীবনে অনেক বড় প্রভাব ফেলেছিল এবং তাদের সম্পর্কেও টানাপোড়েন তৈরি করেছিল।
এখানে মূলত দেখানো হয়েছে যে এষৌ সাময়িক শারীরিক প্রয়োজনকে এত গুরুত্ব দিলেন যে, তিনি তাঁর পারিবারিক উত্তরাধিকারের অধিকার ত্যাগ করতে পিছপা হলেন না। যাকোব সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে বড় ছেলে হিসেবে পরিবারের আশীর্বাদ এবং অধিকারের মালিক হয়ে উঠেন, যা পরবর্তীতে ইসরায়েল জাতির পূর্বপুরুষ হিসেবে তার পরিচিতি নিশ্চিত করে।
ইস্রায়েলীয় আইন এই বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে। যদি কোনো ব্যক্তির একাধিক স্ত্রী থাকে এবং তাদের মধ্যে একজনকে সে বেশি ভালবাসে এবং অন্যজনকে নয়, তবে পিতার পক্ষপাতিত্বের সুযোগ নেই। যেই স্ত্রীকে সে কম ভালবাসুক না কেন, তার প্রথম ছেলেকে অবশ্যই প্রথম সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং উত্তরাধিকারের প্রাপ্য অধিকার দিতে হবে।
এই নিয়মটি পারিবারিক উত্তরাধিকারে ন্যায্যতার সংরক্ষণে সহায়ক। এটি নির্দেশ করে যে পিতার ব্যক্তিগত পছন্দের কারণে প্রকৃত প্রথম সন্তানের অধিকার গর্ব করা উচিত নয়। বিধানটি নিশ্চিত করে যে প্রথম সন্তানের জন্মের ভিত্তিতে অধিকার নির্ধারণ হবে,
0 coment rios: