সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Sunday, March 2, 2025

ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক (যীশু খ্রীষ্ট) কি ১২০ বছর বেঁচেছিলেন?

বর্তমানে মুসলিমরা আবার খুব জোরের সাথে বলার চেষ্টা করছে, কিছু ইসলামী ইতিহাসবিদ বা ব্যাখ্যাকারগণ বলেছেন যে, ইবনে আব্বাস (রা.)-এর বর্ণনায় এসেছে, ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক (যীশু খ্রীষ্ট)১২০ বছর বেঁচেছিলেন।

আসল সত্য না, ১২০ বছর নয়, ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক (যীশু খ্রীষ্ট) মাত্র ৩৩ বছর পৃথিবীতে বেঁচেছিলেন।

আহমদিয়া মতবাদ অনুসারে ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক (যীশু খ্রীষ্ট) ১২০ বছর বেঁচেছিলেন এবং ভারতে গিয়ে স্বাভাবিক মৃত্যু বরণ করেছেন। সুতরাং তাদের মতে তাঁর ৩৩ বছর বয়সের ক্রুশীয় মৃত্যু কাল্পনিক গল্পমাত্র। আহমদিয়া বা কাদিয়ানি মতবাদীদের প্রধান লক্ষ্য ক্রুশধ্বংস। পবিত্র গ্রন্হের সত্য অনুযায়ী, আসলে এটা শয়তানের ইচ্ছা ছিল যেন ক্রুশের সত্যকে ধবংস করা যায়। কিন্তু যে সত্যের উপর ভিত্তি করে খ্রীস্ট বিশ্বাস ও সত্য কাজের ওপরে প্রতিষ্ঠিত, সেই চিরস্থায়ী সত্যকে খোঁড়া যুক্তি দিয়ে বিযুক্ত করা যায় না। ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক (যীশু খ্রীষ্ট) পৃথিবীতে আগমনের উদ্দেশ্যই ছিল মৃত্যুবরণ। তিনি বেঁচে থাকতে সরাসরি তিনবার উদাহরণ হিসাবে, আরো চারবার নানা দৃষ্টান্তের মধ্যদিয়ে তাঁর মৃত্যুর বিষয়ে সরাসরি বলেছেন। প্রাচীনকালের নবীরা তাঁর যন্ত্রণাদায়ী মৃত্যুর বিষয়ে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন। জন্মের ছয়মাস আগে বাপ্তিস্মদাতা যোহন এসে তাঁর মৃত্যুদায়ী মৃত্যুর কথা ঘোষণা করেছিলেন। অতএব, তাঁর মৃত্যু যে অবধারিত সত্য এতে কোন সংশয় থাকার অবকাশ নেই।

ঐতিহাসিক ঘটনা – রোমীয় শাসনকর্তা একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তি যিনি ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁকের (যীশু খ্রীষ্টের) মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছিলেন। পবিএ বাইবেল বলে, তিনি কোন দোষ পান নি তাই হাত ধুয়ে, ‘এই মৃত্যুর জন্য তিনি দায়ী নন’ বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। রাজা হেরোদ এবং আগ্রিপাস ছিলেন ঐতিহাসিক ব্যক্তিবর্গ। তারা একই সময়ে বাস করতেন এবং ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁকের (যীশু খ্রীষ্টের) মৃত্যুর ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক (যীশু খ্রীষ্ট) মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে ওঠার ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন বলে রোমীয় কর্তৃপক্ষ ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক (যীশু খ্রীষ্ট) কবর পাথর দিয়ে সীলমোহর করে দিয়েছিলেন। ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁকের (যীশু খ্রীষ্টের) মৃত্যুর বিষয়টি ইহুদি ও ফরিশীদের বিশ্বাসের পরিপন্থি বলে, তারা গোপনে পাহারা দিয়েছিলেন। এই মৃত্যু যদি সত্য না হতো তবে এতো ব্যবস্থার কী প্রয়োজন ছিল?

কাদিয়ানিদের দাবি অনুযায়ী, ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক ১২০ বছর পর মৃত্যু বরণ করলে, তাঁর পুনরুত্থানের বিষয়টি কীভাবে ব্যাখ্য করা যাবে। নবীরা সহ ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক (যীশু খ্রীষ্ট) কেবল তাঁর মৃত্যুর ভবিষ্যত বাণীই করেননি, পুনরুত্থানের ভবিষ্যতবাণীও করেছিলেন। এছাড়া মসলা নিয়ে কবরের কাছে মহিলাদের যাওয়া, মসীহের দেখা পাওয়া, শিষ্যদের খবর দেওয়া, পবিএ আত্মার জন্য অপেক্ষা করার কথা বলা এবং শিষ্যদের সামনে তাঁর স্বর্গে চলে যাওয়া ইত্যাদি সব ঘটনাই ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক (যীশু খ্রীষ্ট) ৩৩ বছর বয়সেই সংঘটিত হয়েছে এবং অনেক সাক্ষীর সামনেই হয়েছে। ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক (যীশু খ্রীষ্ট) যদি সেই সময় মৃত্যু বরণ না করতেন, তবে তিনি নিশ্চয় পরবর্তিতে তাঁর মৃত্যু ও পুনরুত্থানের কথা বলতেন না। অতএব, ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক (যীশু খ্রীষ্ট) ১২০ বছর বেঁচে থাকবার কাহিনী একটি কাল্পনিক গল্পমাত্র যা সত্যের ধারে কাছে নেই।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: