ঐতিহাসিক ঘটনা – রোমীয় শাসনকর্তা একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তি যিনি ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁকের (যীশু খ্রীষ্টের) মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছিলেন। পবিএ বাইবেল বলে, তিনি কোন দোষ পান নি তাই হাত ধুয়ে, ‘এই মৃত্যুর জন্য তিনি দায়ী নন’ বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। রাজা হেরোদ এবং আগ্রিপাস ছিলেন ঐতিহাসিক ব্যক্তিবর্গ। তারা একই সময়ে বাস করতেন এবং ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁকের (যীশু খ্রীষ্টের) মৃত্যুর ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক (যীশু খ্রীষ্ট) মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে ওঠার ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন বলে রোমীয় কর্তৃপক্ষ ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক (যীশু খ্রীষ্ট) কবর পাথর দিয়ে সীলমোহর করে দিয়েছিলেন। ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁকের (যীশু খ্রীষ্টের) মৃত্যুর বিষয়টি ইহুদি ও ফরিশীদের বিশ্বাসের পরিপন্থি বলে, তারা গোপনে পাহারা দিয়েছিলেন। এই মৃত্যু যদি সত্য না হতো তবে এতো ব্যবস্থার কী প্রয়োজন ছিল?
কাদিয়ানিদের দাবি অনুযায়ী, ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক ১২০ বছর পর মৃত্যু বরণ করলে, তাঁর পুনরুত্থানের বিষয়টি কীভাবে ব্যাখ্য করা যাবে। নবীরা সহ ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক (যীশু খ্রীষ্ট) কেবল তাঁর মৃত্যুর ভবিষ্যত বাণীই করেননি, পুনরুত্থানের ভবিষ্যতবাণীও করেছিলেন। এছাড়া মসলা নিয়ে কবরের কাছে মহিলাদের যাওয়া, মসীহের দেখা পাওয়া, শিষ্যদের খবর দেওয়া, পবিএ আত্মার জন্য অপেক্ষা করার কথা বলা এবং শিষ্যদের সামনে তাঁর স্বর্গে চলে যাওয়া ইত্যাদি সব ঘটনাই ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক (যীশু খ্রীষ্ট) ৩৩ বছর বয়সেই সংঘটিত হয়েছে এবং অনেক সাক্ষীর সামনেই হয়েছে। ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক (যীশু খ্রীষ্ট) যদি সেই সময় মৃত্যু বরণ না করতেন, তবে তিনি নিশ্চয় পরবর্তিতে তাঁর মৃত্যু ও পুনরুত্থানের কথা বলতেন না। অতএব, ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক (যীশু খ্রীষ্ট) ১২০ বছর বেঁচে থাকবার কাহিনী একটি কাল্পনিক গল্পমাত্র যা সত্যের ধারে কাছে নেই।
0 coment rios: