এই পদটি খ্রিস্টধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উক্তি, যেখানে যিশু তার শিষ্যদের সামনে তার ভূমিকা ও মিশনকে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
১. "আমিই পথ": যিশু বলতে চান যে তিনি সেই পথ যা অনুসরণ করলে মানুষ ঈশ্বরের কাছে পৌঁছাতে পারে। এটি নির্দেশ করে যে যিশুর শিক্ষা, জীবনধারা ও আদর্শের মধ্যেই ঈশ্বরের পথে চলার সঠিক দিশা পাওয়া যায়। খ্রিস্টধর্মের মতে, যিশুর জীবন ও কাজ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে চলাই ঈশ্বরের পথে চলার সঠিক মাধ্যম।
২. "সত্য": যিশু নিজেকে "সত্য" হিসেবে পরিচয় করাচ্ছেন, যা বোঝায় যে তিনি ঈশ্বরের প্রকৃত সত্যের মূর্ত প্রতীক। খ্রিস্টান বিশ্বাসে, যিশুর কথাগুলি ঈশ্বরের প্রকৃত ইচ্ছা ও নির্দেশের প্রতিফলন। এই সত্যই মানুষের অন্ধকার ও বিভ্রান্তি থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম।
৩. "জীবন": "জীবন" বলতে এখানে যিশু বোঝাচ্ছেন সেই চিরন্তন জীবন যা ঈশ্বরের কাছ থেকে আসে এবং যা তাঁর মাধ্যমেই লাভ করা যায়। এটি শুধুমাত্র পার্থিব জীবনের কথা নয় বরং আধ্যাত্মিক এবং চিরস্থায়ী জীবন, যা খ্রিস্টের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে সম্ভব।
৪. "আমার মধ্য দিয়ে না গেলে কেউই পিতার কাছে যেতে পারে না": এই কথাটি নির্দেশ করে যে যিশুর মাধ্যমেই ঈশ্বরের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব। এখানে যিশু নিজেকে ঈশ্বরের এবং মানবজাতির মধ্যে একমাত্র মাধ্যম হিসেবে তুলে ধরছেন।
এই বক্তব্যে খ্রিস্টানদের কাছে যিশুর গুরুত্ব ও কেন্দ্রীয়তার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যিশুকে মেনে চলা এবং তাঁর শিক্ষাগুলি অনুসরণ করাই ঈশ্বরের সাথে ঐক্য স্থাপনের একমাত্র পথ বলে খ্রিস্টধর্মে বিশ্বাস করা হয়।
0 coment rios: