খ্রিস্টানদের জন্য বড়দিন (ক্রিসমাস) যিশু খ্রিস্টের জন্ম উদ্যাপনের দিন। ২৫ ডিসেম্বর দিনটিকে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়, যদিও বাইবেলে তার জন্মের নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ নেই। খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করেন যে, ঈশ্বর মানবজাতির পাপ থেকে মুক্তি দিতে যিশুকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন, আর তার জন্ম পৃথিবীতে শান্তি, প্রেম ও ত্রাণের বার্তা নিয়ে আসে।
বড়দিন উদ্যাপনের কারণ
খ্রিস্টানদের জন্য যিশু খ্রিস্ট ঈশ্বরের পুত্র এবং ত্রাণকর্তা, যিনি মানুষের পাপ থেকে মুক্তির জন্য পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই বড়দিন যিশুর জন্মের স্মরণে এবং ঈশ্বরের ভালোবাসার প্রকাশ হিসেবে পালিত হয়। এটি খ্রিস্টানদের কাছে আশার প্রতীক, যেহেতু যিশু পৃথিবীতে এসেছেন যাতে সবাই নতুন জীবন এবং অনন্তকালের প্রতিশ্রুতি পায়।
কেন বড়দিন পালন করতে হয়
খ্রিস্টান ধর্মমতে, যিশুর জন্ম মানবজাতির জন্য একটি বিশেষ উপহার, কারণ তিনি ঈশ্বরের কাছ থেকে আসা ত্রাণকর্তা। বড়দিন পালনের মূল কারণগুলো হলো:
1. ঈশ্বরের ভালোবাসার উদ্যাপন: যিশুর জন্ম ঈশ্বরের নিঃস্বার্থ ভালোবাসার একটি চিহ্ন, যা বিশ্বাসীদের মধ্যে ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি উপায়।
2. শান্তি ও আশা প্রদান: বড়দিন খ্রিস্টানদের মধ্যে বিশ্বাস, আনন্দ, শান্তি, এবং আশা নিয়ে আসে। এই দিনটি মনে করিয়ে দেয় যে, ঈশ্বর মানুষকে ভালোবাসেন এবং তাদের জন্য অনন্তকালের পরিকল্পনা করেছেন।
3. মানবতার প্রতি সহানুভূতি ও দানশীলতা: বড়দিনে খ্রিস্টানরা দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এই দিনে দান ও উপহার দেওয়ার মাধ্যমে যিশুর ভালোবাসার বার্তাকে জীবনে কার্যকর করে তোলে।
বড়দিন উদ্যাপনের প্রথা
বড়দিনে খ্রিস্টানরা বিশেষ প্রার্থনা, গান, ও আরাধনা করে। চার্চে গিয়ে যিশুর জন্মগল্প শোনা, ক্রিসমাস ট্রি সাজানো, উপহার বিনিময়, এবং পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো—এই সবগুলো বড়দিন উদ্যাপনের একটি অংশ।
এই সবকিছুর মূল উদ্দেশ্য যিশুর জন্ম এবং ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাসের প্রকাশ, যা খ্রিস্টানদের উৎসাহিত করে যিশুর শিক্ষা অনুসারে প্রেম, শান্তি, এবং করুণার জীবন যাপন করতে।
0 coment rios: