সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Tuesday, November 19, 2024

কোরআন শরীফে বাইবেল শব্দ উল্লেখ আছে কি?

“কোরআনে বাইবেলের কথা বলা হয় নি, বরং শুধু তৌরাত, জবুর এবং ইঞ্জিলের কথা বলা হয়েছে” কোরআন শরীফে তাওরাত (ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ), ইনজিল (খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ), এবং জবুরের উল্লেখ আছে, যেগুলো কিতাবুল মুকাদ্দাস বা বাইবেলের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে সম্পর্কিত।

আসলে, ইংরেজী ‘বাইবেল’ শব্দ গ্রীক βιβλία ‘বিব্‌লিয়া’’ শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ “গ্রন্থগুলো” বা ল্যাটিন ভাষায় “গ্রন্থটি”। আরবী ভাষায় তা হয় الْكِتَاب (“আল-কিতাব”) অথবা الكتاب المقدس (“আল-কিতাবুল মোকাদ্দাস”), এবং হযরত মুহাম্মদের (সাঃ)-এর শত বছর আগে ও পরে বাইবেল সবসময়ই এই নামে পরিচিত। তাই যখন কোরআন শরীফে এই একই শব্দ الْكِتَاب ইহুদী-খ্রীষ্টানদের ধর্মগ্রন্থ সম্বন্ধে ব্যবহার করা হয়েছে তখন কোন প্রশ্নই নাই যে সেখানে একই গ্রন্থ বোঝানো হচ্ছে— 

এগুলোকে আল্লাহর নাযিলকৃত কিতাব হিসেবে কোরআনে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ:

ইয়াহূদীরা বলে, ‘খৃষ্টানদের কোন ভিত্তি নাই’ এবং খৃষ্টানরা বলে, ‘ইয়াহূদীদের কোন ভিত্তি নাই; অথচ তাহারা আল-কিতাব (الْكِتَاب) পাঠ করে। (সূরা বাকারা ২:১১৩)

“তোমরা (ইহুদীগণ) আল-কিতাব (الْكِتَاب) শিক্ষা দান কর” (সূরা আলে-‘ইমরান ৩:৭৯)

1. তাওরাত:

"নিশ্চয়ই আমরা তাওরাত নাযিল করেছি, তাতে আছে পথনির্দেশ ও আলো।" (সুরা মায়িদা, ৫:৪৪)

2. ইনজিল:

"আর তাদের পেছনে আমি পাঠিয়েছি ঈসা (আ.)-কে, আর তাকে দিয়েছি ইনজিল।" (সুরা মায়িদা, ৫:৪৬)

3. জবুর:

"আর আমি দাউদকে জবুর প্রদান করেছি।" (সুরা নিসা, ৪:১৬৩)

এগুলো ইঙ্গিত করে যে কোরআনে আগের নবীদের প্রতি নাযিল হওয়া কিতাবগুলোর প্রতি সম্মান দেখানো হয়েছে।

আরবী ভাষায় বাইবেলকে আরও স্পষ্টভাবে বোঝানো সম্ভব না। কোরআন শরীফে যদি অন্য কোন কিছু বোঝানো হত তাহলে অবশ্য তা পরিষ্কারভাবে বলা হত।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: