আমরা যখন এই পৃথিবীর সৃষ্টির দিকে তাকাই , তখন দেখতে পাই, আমাদের ঈশ্বর প্রভু কতই না মনোরম সুন্দর করে তিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন , সত্যিই অনেক ভালোবেসে প্রেমময় ঈশ্বর এই ভৃমন্ডল সৃষ্টি করেছিলেন। এখানে আমরা প্রভুর প্রকৃতির উপর ভালোবাসার দৃষ্টান্ত দেখতে পাই ,তিনি শুধু সৃষ্টি করে ক্ষান্ত হন নি। সকল সৃষ্টিকে তিনি প্রতিদিন লালনপালন করছেন।
তাই তো চার্চে আমরা এই গান গাই
" ঈশ্বর প্রভু আমি হই আপন হারা দেখি যখন
তব বিশাল ভবন বিদ্যুৎ চাঁদ মেঘ মালা "
ঈশ্বর সমস্ত সৃষ্টির উপর কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা মানুষকে দিয়েছিলেন ।
দেখভাল করতে বলেছেন, যেন কোন ভাবে তাঁর সৃষ্টির উপর অযত্ন্র না হয় ।মানুষ যেন প্রভুর ঈশ্বরে ইবাদতের পাশাপাশি তার সৃষ্টির দেখভাল করতে পারে ।কিন্তু তার পরেও মানুষ যখন ঈশ্বরের অবাধ্য হল । ঈশ্বর প্রভু থেকে দুরে সরে গেল । তখন ঈশ্বর অনেক কষ্ট পেলেন । তিনি কখনই চায় নি তার সৃষ্টি ধ্বংস হয়ে যাক ।যুগে যুগে সৃষ্টির প্রতি প্রভুর ভালোবাসার দৃষ্টান্ত্ দেখিয়েছেন । তাই তো তিনি নবী ইউনুসকে বলেছিলেন “ইউনুস তুমি এই গাছটি সৃষ্টি করো নি । তার জন্য তোমার এত দরদ । কিন্তু আমি কিভাবে নিনবীর ভার লোকদের ধ্বংস করি( ইউনুস ৪:১-১১)“ প্রভু ইশ্বর কখনই চান না তার সৃষ্টি মানুষ কখনই ধ্বংস হয়ে যাক । যখন ঈশ্বরের প্রিয় মানুষ অবাধ্য হল । মানুষ পাপ করল । তখন ঈশ্বর অনেক কষ্ট পেলেন ।তিনি মানুষকে উদ্ধারের জন্য পরিকল্পনা করলেন । তা আমরা আদি পুস্তক হতে মালাখী পুস্তককে দেখতে পাই , তাঁর প্রিয় মানুষ গুলোকে উদ্ধারের পরিকল্পনা ।যুগে যুগে তিনি তা নবী ও ভাববাদীদের মধ্যে প্রকাশ করেছিলেন।
ঈশ্বরের প্রতিঙ্গা স্বরুপ তাঁর প্রিয় একজাত পুত্রকে পাঠালেন । ঈশ্বর জানতেন মানুষ যে পাপ করেছিল মানুষের পক্ষে পাপের সে গর্ত থেকে উঠে আসা কখনই সম্ভব না ।
যোহন ৩:১৫-১৮ যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন পায়। কারণ ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার একজাত পুত্রকে দান করিলেন, যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়। কেননা ঈশ্বর জগতের বিচার করিতে পুত্রকে জগতে প্রেরণ করেন নাই, কিন্তু জগৎ যেন তাঁহার দ্বারা পরিত্রাণ পায়। যে তাঁহাতে বিশ্বাস করে, তাহার বিচার করা যায় না; যে বিশ্বাস না করে, তাহার বিচার হইয়া গিয়াছে, যেহেতুক সে ঈশ্বরের একজাত পুত্রের নামে বিশ্বাস করে নাই।
এখানে আমরা প্রেমপূর্ণ ঈশ্বরকে দেখতে পাই ।
আপনি কখনো ভাবতে পারেন ? মানুষের পক্ষে কখনই সম্ভব । একমাত্র পুত্রকে দান করা। ইবরাহিম বিশ্বাসে নিজ পুত্রকে কুরবানী করতে নিয়েছিল এর অর্থ ঈশ্বর মানুষের পাপের জন্য তাঁর পুত্রকে কুরবানি করবেন। যেহেতু ঈশ্বর আমাদের ভালোবাসে তাই তার পক্ষে সব কিছু করা সম্ভব । যীশুকে বিশ্বাসের ফলে আমরা ঈশ্বরের সঙ্গে এদন বাগানের মত যোগাযোগ স্থা্পন করতে পারি । এবং বেহেস্তে যাওয়ার অধিকার লাভ করতে পারি । প্রভু যিশুর জম্ম,মৃত্যা ,জীবনিতে প্রায় ১০২টির মত ভবিষ্যতবাণী পূর্ণতা ঘটে । প্রভু যীশু ছিলেন ঈশ্বরের বাধ্য একজন মেষশাবক। তিনি পিতা ঈশ্বরের বাধ্য থেকে তাহাঁর উপর অর্পিত সমস্ত দায়িত্ব সম্পূর্ণ হলে পরে তিনি জৈতুন পাহাড়ের কাছে আসেন ,সাথে শিষ্যরা ছিলেন তিনি শিষ্যদের -
মথি ২৮:১৮-২০ তখন যীশু নিকটে আসিয়া তাঁহাদের সহিত কথা কহিলেন, বলিলেন, স্বর্গে ও পৃথিবীতে সমস্ত কর্ত্তৃত্ব আমাকে দত্ত হইয়াছে। অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর; আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি, সে সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও। আর দেখ, আমিই যুগান্ত পর্য্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।
এখানে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ কথা হল
যে ,স্বর্গ ও পৃথিবীর সমস্ত ক্ষমতার মালিক হচ্ছেন কে? কিন্তু আমাদের প্রভু তিনি নিজেই বলেছেন যে,তাকে সমস্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে,এ ক্ষমতা তাকে আপনা –আপনি দেওয়া হয়নি কতৃর্ত্ব ও ক্ষমতার সহিত ঈশ্বর তাঁকে দিয়েছেন ।
আপনি ভাবুন তো যীশু কি কোন যাদু বিদ্যার ফলে ,মৃত্যকে জীবন দান,প্রকৃতির উপর ক্ষমতা হস্তক্ষেপ,মত অলৈাকিক কাজ করেছেন , চারটি সুসমাচার আমরা দেখতে পারি যে তিনি প্রায় ৪০টির মত আর্শ্চয্য কাজ করেন ।
তাই আমরা সহজে বিশ্বাস করতে পারি যে, প্রভু যে ক্ষমতার কথা বলেছিলেন, পিতা ঈশ্বর সত্যিই যীশুকে ক্ষমতা ও কতৃত্ব দিয়েছিলেন । আর যীশু তার সফল ভাবে প্রকাশ করেছেন । এবং ১৯ পদে আমরা যদি লক্ষ করি তাহলে যীশু এখানে তোমাদের বলতে যা যুঝিয়েছেন, তোমরা মানে আমাদের সবাইকে বুঝিয়েছেন । শুধু পালক-পুরোহিত,ডিকন যাজকদের বলে নাই, সবাইকে বুঝিয়েছেন এবং পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে সুসমাচার প্রচার ও শিষ্য করতে বলেছেন । কিন্তু আজ আমরা কতই না সহজে প্রভুর এই মহান আদেশ ভুলে যাই ,আমরা নিজকে এই বলে শান্তনা দেই এই দায়িত্ব আমাদের না ।শুধু পালক-পুরোহিত ,ডিকন যাজকদের বলে থাকি ।কিন্তু যীশু বলেছেন ,যে আমাকে ভালোবাসে সে আমার আজ্ঞা সকল পালন করুক । সাধু সুন্দর সিং বলতেন ,আমরা যখন স্বর্গে যাব তখন প্রভুর জন্য তাঁর ত্রুুশ বহনের সুয়োগ আমাদের কেউ দিবে না, আজ আমরা ত্রুুশের পথ পরিহার করতে পারি,কিন্তু তা করলে প্রভু যে রক্তমাখা পথে হেঁটেছিলেন ,সে পথে হাঁটার সুয়োগ অনন্তকালে আর পাওয়া যাবে না, প্রিয় প্রভুর সাথে যখন সাক্ষাৎলাভের সৌভাগ্য হবে, তখন দেখতে তার হাতে পেরাকের দাগ,তখন আমাদের মনে পড়বে যে,অবহেলা করে পৃথিবীতে আমরা ত্রুুশের পথ ত্যাগ করেছিলাম ,আমরা মনস্তাপে পড়ব, আর সে দিনের সেই মনস্তাপ থেকে রক্ষাতে আমাদের ত্রুুশের পথ পরিত্যাগ করা উচিত নয়,
এই পৃথিবীতে টাকা রোজগারের চেয়ে প্রসংসা ,ধন্যবাদ ও ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনার গুরুত্ব অনেক বেশি বিখ্যাত উক্তিটি করেছিলেন ,বাংলা ভাষা সাহিত্য নবজাগরণের প্রধান রুপকার ড. উইলিয়াম কেরী যাকে father of the morden missionary নামে আখ্যাত করা হয়েছে । কিন্তু এই পদ আমাদের কি সাক্ষ্য দেয় ?
মার্ক ১৬:১৫-১৬ আর তিনি তাঁহাদিগকে কহিলেন, তোমরা সমুদয় জগতে যাও, সমস্ত সৃষ্টির নিকটে সুসমাচার প্রচার কর। যে বিশ্বাস করে ও বাপ্তাইজিত হয়, সে পরিত্রাণ পাইবে; কিন্তু যে অবিশ্বাস করে, তাহার দণ্ডাজ্ঞা করা যাইবে।
মনে করুন ,আপনি হঠাৎ করে জানতে পারলেন যে ,আপনি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসাবে সরকার ভোটার হালনাগাত বিজ্ঞাপ্তি জারি করেছেন । যারা করবে না তাদের কাছ থেকে নাগরিক্ত কেড়ে নেওয়া হবে । তাহলে আপনি কি করবেন? নিশ্চয় তা করবেন ? সরকারের আদেশ তো মানবেন !! আমার মনে হয় আপনি করবেন এবং আপনার পরিচিত যারা আছে সবাইকে এই সুসংবাদটা দিবেন, প্রথমে আপনার কাছের মানুষকে ,তারপর প্রতিবেশি এবং অন্যকে তাই নয় কি?
ঠিক তেমনিভাবে !
কোন ব্যক্তি যদি যীশুকে না জেনে মারা যায় তাহলে তিনি নিশ্চিত ভাবে স্বর্গ রাজ্য প্রবেশ করতে পারবে না? আপনি কি চাইবেন আপনার প্রিয় মানুষ ,দোজকে যাক ? আপনি হয় তো বা বলবেন না । কিন্তু এ ও বলবেন আমি ব্যস্ত মানুষ ,পরিবার ব্যাবসা /চাকুরি ও পরিবার নিয়ে ব্যা্স্ত থাকতে হয় বড় কথা আমার ধর্মতত্ব জ্ঞান নেই এর চেয়ে বড়ং পালক-পুরোহিত ,ডিকন যাজকদের প্রচার করা এটা ঠিক । একবার ভাবুন তো সারা দেশে জনসংস্যা কত? আর পালক-পুরোহিত,ডিকন যাজক কত জন আছে? তাদেরই কি শুধু দায়িত্ব প্রচার করা আপনার আমার দায়িত্ব নয় কি ? এই সামান্য লোকেরা কি ১৮ কোটি লোকের কাছে যেতে পারবে?
মথি ২৪:১৪ আর সর্ব্বজাতির কাছে সাক্ষ্য দিবার নিমিত্ত রাজ্যের এই সুসমাচার সমুদয় জগতে প্রচার করা যাইবে; আর তখন শেষ উপস্থিত হইবে।
এই বাক্য আমাদের একটি নিদিষ্ট সময় বেধে দেয় । কারণ সুসমাচার প্রচার শেষ হলে । যীশু পুনরায় ফিরে আসবেন। কেয়ামত হবে ।
লুক ২৪:৪৭ -৪৮ আর তাঁহার নামে পাপমোচনার্থক মনপরিবর্ত্তনের কথা সর্ব্বজাতির কাছে প্রচারিত হইবে—যিরূশালেম হইতে আরম্ভ করা হইবে। তোমরাই এ সকলের সাক্ষী।
যোহন ২০:২১ তখন যীশু আবার তাঁহাদিগকে কহিলেন, তোমাদের শান্তি হউক; পিতা যেমন আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন, তদ্রূপ আমিও তোমাদিগকে পাঠাই।
সুতারাং সুসমাচার প্রচার করা শুধু পালক-পুরোহিত,ডিকন যাজকদের কাজ নয় আপনার আমার কাজ, আপনার বাইবেল সর্ম্পকে জ্ঞান কম থাকতে পারে, আপনার অনেক দুবর্লতা থাকতে পারে ! আপনি নিশ্চর্য় প্রেরিত পিতর সম্পর্কে অবগত আছেন,
কিভাবে তিন হাজার লোক তার এক কথায় যীশুকে গ্রহণ করল ?
তিনি কোন বিশ্ববিদ্যালয় পড়েছিলেন?
তিনি তো একজন জেলে ছিলেন ,
তাই প্রেরিত ১:৮ কিন্তু পবিত্র আত্মা তোমাদের উপরে আসিলে তোমরা শক্তি প্রাপ্ত হইবে; আর তোমরা যিরূশালেমে, সমুদয় যিহূদীয়া ও শমরিয়া দেশে, এবং পৃথিবীর প্রান্ত পয়র্ন্ত আমার সাক্ষী হইবে।
তাই আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই , যীশু প্রতিজ্ঞা করেছেন তিনি আমাদের সঙ্গে সঙ্গে থাকবেন , পবিত্র আত্নার উপস্তিতি আমাদের মাঝে আছে। যীশুর মত আর্শ্চায্য কায্য করার ক্ষমতা আমাদের তিনি দিয়েছেন।
তাই প্রভুর মহান আদেশ ও তার পৃথিবীতে দ্বিতীয় বার আসার কারণ হলো পাপ, মৃত্যু ও শয়তানকে পরাজিত করে এ পৃথিবীতে ঈশ্বরের রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করতে। তিনি তাঁর কাজ শুরু করার সাথে সাথে বলেছেন,
মার্ক ১:১৫ সময় হয়েছে, ঈশ্বরের রাজ্য কাছে এসে গেছে। আপনারা অনুতাপ করুন এবং এই সুসমাচারের প্রতি বিশ্বাস করুন-
যীশু ক্রুশীয় মৃত্যু দ্বারা শয়তানকে পরাজিত করেছেন। শয়তানের নিকট থেকে ক্ষমতা নিয়ে নিয়েছেন। তাই তো তিনি স্বর্গে যাওয়ার আগে তিনি শিষ্যদের বলতে পেরেছেন " স্বর্গ ও পৃথিবীর" সকল ক্ষমতা আমাকে দেওয়া হয়েছে।
এই জন্য তোমরা গিয়ে সমস্ত জাতির লোকদের আমার শিষ্য কর।" এ হুকুম দিয়ে তিনি স্বর্গে চলে গেলেন। ঈশ্বর এই পৃথিবী থেকে তাঁকে তুলে নিলেন। ঈশ্বর যীশুকে তাঁর সিংহাসনের পাশে বসালেন। যীশু আবার এই পৃথিবীতে আসবেন। কিন্তু তাঁর চলে যাওয়া ও দ্বিতীয় বার আসার মাঝে তিনি আমাদের হুকুম দিয়েছেন যেন তাঁর সুসমাচার প্রচার করি। তিনি ঈস্রায়েল ও ফিলিস্তিন এলাকায় প্রচার করেছিলেন এবং একটি ছোট প্রচার টিম গঠন করেছেন।
সেই শিষ্যগঠন এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে গিয়েছেন প্রচার করতে। এখন অনেক স্থান রয়েছে, অনেক গোষ্ঠী রয়েছে, সেখানে সুসমাচার পৌছে নি। সেখানে সুসমাচার পৌছানোর দায়িত্ব আমাদের সকলের। তাঁর হুকুম সমস্ত খ্রিস্টানদের উপর বর্তায় তাই আমাদেরকে পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত গিয়ে সমস্ত সৃষ্টির কাছে সুসমাচার প্রচার করতে হবে।
সুসমাচার প্রচার না করলে মানুষ পরিত্রাণের পথে কিভাবে আসবে?
ঈশ্বর মানুষকে পরিত্রাণ দিতে চান। তাই মানুষকে পরিত্রাণের সুসমাচার জানাতে হবে, প্রচার করতে হবে।
রোমীয় ১০:৮-১৭ কিন্তু কি বলে? ‘সেই বার্ত্তা তোমার নিকটবর্ত্তী, তোমার মুখে ও তোমার হৃদয়ে রহিয়াছে,’ অর্থাৎ বিশ্বাসেরই সেই বার্ত্তা, যাহা আমরা প্রচার করি।কারণ তুমি যদি‘মুখে’ যীশুকে প্রভু বলিয়া স্বীকার কর, এবং ‘হৃদয়ে’ বিশ্বাস কর যে, ঈশ্বর তাঁহাকে মৃতগণের মধ্য হইতে উত্থাপন করিয়াছেন, তবে পরিত্রাণ পাইবে। কারণ লোকে হৃদয়ে বিশ্বাস করে, ধার্ম্মিকতার জন্য, এবং মুখে স্বীকার করে, পরিত্রাণের জন্য।
কেননা শাস্ত্র বলে, “যে কেহ তাঁহার উপরে বিশ্বাস করে, সে লজ্জিত হইবে না।”কারণ যিহূদী ও গ্রীকে কিছুই প্রভেদ নাই; কেননা সকলেরই একমাত্র প্রভু; যত লোক তাঁহাকে ডাকে, সেই সকলের পক্ষে তিনি ধনবান্।
কারণ, “যে কেহ প্রভুর নামে ডাকে, সে পরিত্রাণ পাইবে।
”তবে তাহারা যাঁহাতে বিশ্বাস করে নাই,
কেমন করিয়া তাঁহাকে ডাকিবে?
আর যাঁহার কথা শুনে নাই,
কেমন করিয়া তাঁহাতে বিশ্বাস করিবে?
আর প্রচারক না থাকিলে কেমন করিয়া শুনিবে?
আর প্রেরিত না হইলে কেমন করিয়া প্রচার করিবে?
যেমন লিখিত আছে, “যাহারা মঙ্গলের সুসমাচার প্রচার করে, তাহাদের চরণ কেমন শোভা পায়।” কিন্তু সকলে সুসমাচারের আজ্ঞাবহ হয় নাই।
কারণ যিশাইয় কহেন,
“হে প্রভু, আমরা যাহা শুনাইয়াছি, তাহা কে বিশ্বাস করিয়াছে?”অতএব বিশ্বাস শ্রবণ হইতে এবং শ্রবণ খ্রীষ্টের বাক্য দ্বারা হয়।
পরিত্রাণ ছাড়া মানুষ হারানো অবস্থায় আছে।
যীশু খ্রীস্ট বলেছেন যে, তিনি পাপি, অসুস্থ ও হারানোদের খুঁজতে ও অন্বেষণ করতে এসেছেন। পাপিদেরকে পাপের শাস্তি থেকে বাঁচাতে তিনি এসেছেন। আর এই জন্য তিনি পরিশ্রম সহকারে প্রচার করেছেন, যেন তিনি কষ্ট পেলেও মানুষ বাঁচতে পারে। পাপের শাস্তির ভয়াবহতা তিনি জানেন।
আমরা পাপি বলে, পাপ করি বলে আর আমাদের বিবেক কলুষিত বলে আমরা এর মাত্রা বুঝতে পারি না। কিন্তু তিনি ধার্মিক বলে অধার্মিকের কষ্ট বোঝেন। তাই তিনি আমাদের প্রতি করুণা দেখিয়েছেন। তাঁর শিষ্যগনও তাঁর মত অত্যাচারিত হয়েও মানুষকে পরিত্রাণের সুসমাচার দিয়েছেন। কেননা তারা বুঝেছেন যে, নরকের শাস্তি তাদের দৈহিক নির্যাতনের সাময়িকতার চেয়েও ভয়াবহ।
পৌল নিজেও সুসমাচার প্রচার সম্পর্কে বলেনঃ
১ করি ৯:১৬-১৮ কারণ, আমি যদিও সুসমাচার প্রচার করি, তবু আমার শ্লাঘা করিবার কিছুই নাই; কেননা অবশ্য বহনীয় ভার আমার উপরে অর্পিত; ধিক্ আমাকে, যদি আমি সুসমাচার প্রচার না করি।
বস্তুতঃ আমি যদি স্ব-ইচ্ছায় ইহা করি, তবে আমার পুরস্কার আছে; কিন্তু যদি স্ব-ইচ্ছায় না করি, তবু ধনাধ্যক্ষের কার্য্য আমার হস্তে সমর্পিত রহিয়াছে। তবে আমার পুরস্কার কি?
তাহা এই যে, সুসমাচার প্রচার করিতে করিতে আমি সেই সুসমাচারকে ব্যয়-রহিত করি, যেন সুসমাচার সম্বন্ধে যে কর্ত্তৃত্ব আমার আছে, তাহার পূর্ণ ব্যবহার না করি।
অতএব হে ভাইয়েরা আমি আপনাদের ভালবাসি তাই যীশু বিষয়ে পরিত্রাণের সুসমাচার আপনাদের নিকট প্রচার করছি, যেন আপনারা পাপের শাস্তি থেকে রক্ষা প্রাপ্ত হোন।
তাই আসুন আমরা খ্রীষ্টিয় বিশ্বাসী হিসাবে আমাদের উপর মহান দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করি ।
0 coment rios: