সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Saturday, June 29, 2024

বাইবেলে কি ইসলামের শেষ নবীর কথা বলা আছে ?



ভুমিকাঃ-


১.বর্তমানে মুসলমানরা আবার খুব জোরের সাথে বলার চেষ্টা করছে, বাইবেলে নাকি মুহাম্মদের বিষয় বলা আছে। মুসলমানরা এখন বলতে গেলে, বাইবেলের সব পদ বা আয়াত থেকে দেখানোর চেষ্টা করছে সেখানে মুহাম্মদের বিষয় বলা আছে।


২. মুসলমানরা কিছুদিন পরপর বাইবেল ও বিভিন্ন ধর্ম পুস্তক নিযে হাজির হয়। তারপর খূব জোরের সাথে বলা চেষ্টা করে, দেখেন এখানে মুহাম্মদের বিষয় আগেই বলা ছিল। 


এটা ঠিক মুসলমানরা প্রথমে বলবে বাইবেল বিকৃত।

 তাই বাইবেলের কোন দরকার নাই। আবার তারা সেই বিকৃত বাইবেল নিয়ে আপনাকে দেখাবে যে ওখানে মুহাম্মদের বিষয় বলা আছে। এটাই হচ্ছে মুসলমানদের শয়তানি।


 মুহাম্মদ যেভাবে মানুষকে ধোকা দিত, মিথ্যা বলত, ঠিক সেভাবেই মুসলমানরাও করে থাকে। 



৩. আপনাদের দেখানোর চেষ্টা করব, মুসলমানরা বর্তমানে বাইবেলের কোন কোন পদ ব্যবহার করছে। মুসলমানরা বাইবেল ব্যবহার করে, কিকি নতুন মিথ্যা ও প্রতারনামুলক যুক্তি ব্যবহার করছে, সেই সব আমি আপনাদেরকে দেখাব। 


৪. এই ভিডিওতে আপনারা জানবেন, সত্যিই বাইবেলে মুহাম্মদের বিষয় বলা আছে কিনা। অথবা বাইবেল কি সত্যি বলে, ইশমাইল থেকে মুহাম্মদ আসবে ?এরকম অনেক গুরুত্বপর্ন বিষয় আপনারা জানতে পারবেন।



৫. আমি এর আগের কিছু ভিডিওতে এরকম কিছু বিষয় দেখিয়েছিলাম। ইসলামি ব্যক্তিরা নানা রকম ওয়েবসাইট ও ভিডিও তৈরি করে, বিভিন্ন রকম মিথ্যা, ভুল ও প্রতারনামুলক যুক্তির মাধ্যমে, মানুষকে বিভ্রান্ত ও বোকা বানাচ্ছে। 


প্রায়ই মুসলমানরা বাইবেলের বিভিন্ন আয়াতকে, খুব সুক্ষভাবে মিথ্যার মাধ্যমে, এমনভাবে আপনার সামনে উপস্থাপন করবে যে, আপনি হয়ত সেটাকে সত্যি ভাববেন। কিন্তু পরবর্তীতে যদি আপনি বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করেন ও পড়াশুনা শুরু করেন, তখন দেখবেন মুসলমানদের সেই যুক্তি বা দাবি সম্পুর্ন মিথ্যা ও প্রতারনামুলক।


৬. সবচেয়ে মজার ও অবাক করা বিষয কি জানেন ?

 উতমানের লেখা পরিপুর্ন কুউরান দিয়ে মুহাম্মদকে বোঝা বা প্রমান করা সম্ভব না। কারন কুউরানে মুহাম্মদের নাম আছে মাত্র ৪ বার কিন্তু ইসা নামটা আছে বাহাত্তর বারের বেশি। 


আর গবেষকরা বলেন, মুহাম্মদ কোন নাম নাএটা শুধু একটা উপাধি। 


৭. এই গুরুতর সমস্যা সমাধানের জন্য, মুসলমানরা পুথিবীর সব ধর্ম গ্রন্থকে বা আর যত বই পুস্তক আছে, সেগুলো ব্যবহার করে, যেখানে যেমন ইচ্ছা সেভাবে ব্যাখ্যা করা শুরু করে। মুসলমানরা মুহাম্মদকে প্রমান করার জন্য পাগলের মতো রাত দিন কাজ করে যাচ্ছে। 



৯ মুসলমানরা বাইবেল থেকে তাদের পছন্দমত একটা পদ নিয়ে, সেটাকে নিজের মতো একটা ব্যাখ্যা দাড় করার। তারপর মুসলমানরা বলে, এই দেখুন, এখানে ইশমাইলের বিষয় বলা আছে। যদি ইশমাইল না হয় তাহলে চেলেনজ দিলাম!


 প্রমান করুন ওটা ইসমাইল না?






৯. এই দেখূন এই বা পদে মুহাম্মদের কথা বলা আছে। প্রমান করুন এখানে মুহাম্মদের কথা বলা নাই। এই ভাবেই বর্তমানে মুসলমানরা, 


তাদের নবী মুহাম্মদকে প্রমান করার ব্যর্থ চেষ্টা করছে। কিন্তু সফল হতে পারে নাই। আর পারবেও না।



১০. মুসলমানদের মিথ্যা কথা ও মিথ্যা যুক্তির উত্তর দিব। এই ভিডিওটা ভাল লাগলে আপনারা এটা শেয়ার করবেন। দরকার হলে এই ভিডিও ডাইনলোড করে, পুনরায় আপলোড করে পোষ্ট দিবেন। কারন ইসলামি মুমিনরা এই ধরনের ভিডিও পছন্দ করে না। 



১১. আর সব সময় মনে রাখবেন, ভিন্ন ধর্মের বা মতের চেনেল ও ভিডিও বা কোন পোষ্ট, এগুলি যে কোন ভাবে নষ্ট করা হচ্ছে, মুসলমানদের জিহাদের অংশ। কারন শেষ মুহাম্মদের মতই মুসলমানরাও আরও বেশি পাগল।







 পরবর্তী অংশ


বাইবেলে, ইসলামের শেষ নবীর নাম বা তার বিষয় আছে কিনা, তা বূঝতে হলে আপনাদের কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে।






বাইবেলের ঈশ্বরের নাম হচ্ছে যিহোবা। এই যিহোবা বা Yeho·wah ইয়েহূওয়া নামটা বাইবেল গবেষকার হিসাব করে দেখেছেন এটা বাইবেলের প্রাচীন পান্ডুলিপিতে প্রায় ৭ হাজার বার আছে। তাই যিহোবা আর মক্কার কুরাইশ বংশের পৌত্তলিক বা পেগান আল্লা হূবাল এক না। 


এটা কিন্তু খুব গুরুত্বপুর্ন একটা বিষয়। কারন আমরা ইতিহাস থেকে খুব সহজে জানতে পারি মক্কার কুরাইশ বংশ মুর্তিপুজা করত আর তাদের দেবতাদের ভিতর একজন প্রধান দেবতা ছিল যার নাম আল্লা হূবাল।





অব্রাহাম কখনই মক্কার দেব-দেবী বা মক্কার আল্লাকে উপাসনা করত না। অব্রাহাম কখনই মক্কায় জাননি। অব্রাহাম পৃথিবীর যে সব স্থান দিযে ভ্রমন করেছিলেন, তার বিবরণ আপনার বাইবেলে পাবেন। 


কিন্তু উন্নতমানের লেখা কুরাআনে বা হাফস কুরআন বা ওয়াস কুরআনে তেমন কিছু পাবেন না। কারন মুহাম্মদ বিষ খেয়ে পটল তোলার শতবছর পর কিছূ মানুষ কুরআন লিখে। আর আগের যত কুরআন ছিল সব আগুনে পুড়িয়ে দেয়। 


একই কথা ইশমাইলের ব্যপারও ঘটে। বাইবেল অুনসারে ইশমাইল কখনই মক্কায় জাননি। মুহাম্মদ বিষ খেয়ে পটল তোলার বহু বছর পর মুসলমান খলিফারা নতুন করে কুরআন লেখা শুরু করে। 


খলিফা উতমান তার নিজের মত কুউরান লেখে। যেহেতু মুসলমান খলিফারা বাইবেলের তেমন কিছুই জানত না, তাই কুরআন লেখার সময় তারা সব কিছু উল্টা-পাল্টা করে ফেলে। কুউরান পড়লে দেখবেন, অব্রাহাম বা ইশমাইল আসলে কোথায় ছিল বা কোথায় ভ্রমন করত, তার কোন সঠিক বিবরণ নাই। সব উল্টা-পাল্টা কাহিনি।





ঠিক একই ভাবে মোশি ছিলেন যিহোবার নিযুক্ত ভাববাদী। মোশি জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যিহোবার উপাসনা করে গেছেন। মোশি কখনই মক্কার পৌত্তলিক আল্লাকে চিনতও না। আর উপাসনা করত না। মোশি কখনই মক্কায় জাননি। মোশি বলেননি যে তার নাম মূসা (আঃ)। এই সব আঃ উঃ সাঃ এগুলি হচ্ছে যৌনতার শব্দ। এগুলো ইসলামের নিজের তৈরি করা কাহিনি।







মোশিকে বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা যা বলতে বলেছিলেন বা করতে বলেছিলেন মোশি তাই বলেছিলেন ও করেছিলেন। মোশি মক্কার কোন আল্লাকে চিনতও না বা জানতও না। মোশি বলেননি যে সে ইসলামের নবী।


মোশি যে নিয়ম দেন তা শুধু ইসরায়েল জাতির জন্য ছিল। এই নিয়ম যিহোবা মোশির মাধ্যমে শুধু ইসরায়েল জাতিকে দেন। অন্য জাতির জন্য এগুলোর দরকার ছিল না।















ঠিক একই ভাবে যিশু ছিলেন একজন যিহুদী ও যিহোবার উপাসক। যিশু কোন সময়ই ইসলামের কোন নবী ছিলেন না। যিশু বলেননি আমার নাম ইসা আঃ । এগুলি ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মদের মিথ্যা দাবি। আর যিশুর নাম ইসা না। যিশু জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব সময় যিহুদীদের মন্দিরে যেতেন। আর অবশ্যই যিশু যিহোবার পুত্র।



আমাদের আরও কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে।


মুহাম্মদ কখনই বাইবেল থেকে দেখাতে পারেনি যে, বাইবেলের কোন কোন পদে তার বিষয় বলা আছে। প্রমান করা ত আরও দুরের বিষয়। যদি মুসলমানগন পারে ত দেখাক মুহাম্মদ বাইবেলের কোন পদের বিষয় বলছিলেন ? 


সত্যি বলতে মুহাম্মদের বাইবেলের বিষয় কোন ধারনাই ছিল না।


কুউরানের কিছু জায়গায় মুহাম্মদ দাবি করে বাইবেলে নাকি তার বিষয় আগেই বলা ছিল। এর বেশি সে আর কোন ব্যখ্যা দিতে পারে নাই। বাইবেলের কোন পুস্তকে কি বলা আছে সে বিষয় মুহাম্মদের কোন ধারনাই ছিল না।







অন্যদিকে মুহাম্মদ বিষ খেয়ে অক্কা পাবার বহু বছর পরে কোন কোন ক্ষেত্রে প্রায় তিনশত বছর পর কিছু হাদিস লেখকগন নতুন গল্প রচনা করে!!!!


 যে মুহাম্মদের পরিবারে লোকেরা নাকি জানত মুহাম্মদ নবী হবেন।এই ভাবে যে যেভাবে পারছে কুরান ও হাদিস লিখছে। তাই এগুলি পড়লে বোঝা যায় একটা ঘটনা সাথে আরেকটা ঠিক মত মিলে না। 





এই তথাকথিত স্ব-জ্ঞানি ব্যক্তিরা তাদের মুহাম্মদকে রক্ষা করার জন্য বাইবেল সহ, পৃথিবীর সব ধর্মগ্রন্থে নবীকে আবিষ্কারের ও প্রমানের জন্য কঠোর প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে।










অন্যদিকে বর্তমানের কিছূ তথাকথিত স্ব-জ্ঞানি ব্যক্তিরা যখন এই সমস্যা বুঝতে পারল যে, তাদের মুহাম্মদ অনেক কিছূ জানত না বুঝত না, তখন এই ধরনের বহু স্ব-জ্ঞানি ব্যক্তিরা, বাইবেল সহ সব ধর্মগ্রন্থের কিছু অংশ থেকে দেখানোর চেষ্টা করে যে, সেখানে মুহাম্মদের কথা নাকি আগেই বলা ছিল। 


এর জন্য যতরকম মিথ্যা কথা, ও মিথ্যা যুক্তি বলার দরকার হোক না কেন, মুসলমানগন তা করে যাচ্ছে। আর তাতেই প্রমান হয়, কুউরান পরিপুর্ন বই না। এটা কিছু মানুষের লেখা একটা অতি সাধারন মানের ভুলে ভরা একটা বই। কারন কুউরান পরিপুর্ন হলে, মুহাম্মদকে প্রমানের জন্য বাইবেল বা অন্য কোন ধর্মিয় বই দরকার হতই না।


মুহাম্মদ যা করতে পারে নাই, সেই কাজগুলিই বর্তমানে নবীরা দিনরাত সেই কাজ করে যাচ্ছে। আর এতেই প্রমান হয় মুহাম্মদ কোন শেষ নবী না। কারন শেষ নবী মুহাম্মদ হলে বর্তমানের কেউ আর নতুন করে কুউরানের ব্যাখ্যা দিত না। আর তাতেই প্রমান হয় কুউরান পরিপুর্ন কোন আসমানি কিতাব না। 


কারন কুরআন পরিপুর্ন হলে ত আর বাইবেলের দরকার হত না। অন্য ধর্মিয় বই থেকে এটা দেখানোর দরকার পরত না যে মুহাম্মদের বিষয় বহু আগেই বলা ছিল। মুহাম্মদ যা করতে পারে নাই বা বলতে বা বুঝতে বা বুঝাতে পারে নাই, বর্তমানের শেষ নবীগন তাই করছেন। 




https://www.bible.com/bible/1681/GEN.1.BENGALI-BSI 


https://mechon-mamre.org/p/pt/pt0.htm 


আমরা এক এক করে দেখবো মুসলমানরা কি দাবি করে। মনে রাখবেন মুসলমানদের দাবি সময় সময় পাল্টায়। এখন যেটা দাবি করবে কিছুক্ষন পর তা পাল্টে ফেলবে।


বর্তমান সময়ের স্ব-জ্ঞানি নবীরা দাবি করে মুহাম্মদ আসবেন মহান জাতি থেকে। যখন পরিপুর্ন কুরআন দিয়ে এটা প্রমান করা অসম্ভব যে এই মহান জাতি কে হবে, তখন মুসলমানরা বাইবেল থেকে কিছূ বিষয় দেখানোর চেষ্টা করে। 


 কারন মুহাম্মদ কুরআনে প্রথমদিকে দাবি করে প্রতিজ্ঞাত সন্তান হবে ইসহাক আবার পরে দাবি করে সেটা হবে ইসমাইল। এই সমস্যার সমাধানের জন্য মুসলমানরা বাইবেলের সাহায্য নেয়। মুসলমানরা আদিপুস্তক ১৭: ৭-১০ পদ দেখায়। 


10 তোমাদের সহিত ও তোমার ভাবী বংশের সহিত কৃত আমার যে নিয়ম তোমরা পালন করিবে, তাহা এই, তোমাদের প্রত্যেক পুরুষের ত্বক্‌ছেদ করিতে হইবে। 



 বাইবেলের এই অংশ দেখিয়ে মুসলমানরা দাবি করে, এখানে আল্লা বলছেন অব্রাহামের সাথে আল্লা এক নিয়ম করেছেন। তারপর তারা ভারস দেখায়। মুসলমানরা দাবি করে থাকে যারা খতনা করে থাকে তারাই হবে মহান জাতি। এই খতনা করা হচ্ছে মহানজাতির চিহৃ। 


বাইবেলের এই অংশ দেখিয়ে মুসলমানরা বলে,  যিহুদীরা কিছূটা খতনা করে আর খৃষ্টানরা একদমই করে না। অন্যদিকে মুসলমানরা খতনা করে। যেহেতু ইসমাইল থেকে মুহাম্মদ এসেছেন তাই প্রতিজ্ঞাত বংশ বা মহান জাতি হচ্ছে ইসমাইল। কারন এরা খতনা করে থাকে। আর তাই মুহাম্মদের বিষয় বাইবেলে বহু আগেই বলা ছিল। আর যারা খতনা না করবে ঈশ্বর তাদের শাস্তি দিবেন।



 এবার আসুন আমরা দেখি, মুসলমানদের এই পদ নিযে যে দাবি করে থাকে, তা কিভাবে ভুল?


আমরা ১৭ অধ্যায়ের শুরুতে ১ পদ সেটা প্রথমে দেখি কি বলা আছে। এখানে বলা আছে, সদাপ্রভু তাঁহাকে দর্শন দিলেন। এই সদাপ্রভু কে ? আমি আগেই বলেছি বাইবেলের ঈশ্বরের নাম যিহোবা। তাহলে বুঝা গেল এখানে যে সদাপ্রভু তা আসলে বাইবেলের মুল পান্ডুলিপি অনুসারে হবে যিহোবা


অনেক বাইবেল অনুবাদে সরাসরি এই যিহোবা নামটা ব্যবহার করা হয় না। সেখানে যিহোবার পরিবর্তে সদাপ্রভু বা GOD এরকম বলা থাকে। তবে তাতে কোন সমস্যা হয় না। কারন আমরা জানি এই সদাপ্রভু বা god বলতে কাকে বুঝানো হয়। 






১১ ছবিটা দেখুন। এটাই বাইবেলের ঈশ্বরের নাম। এরপর আরও কিছু দেখাব আপনাদের। এগুলি না দেখালে অনেকে সন্দেহ করবে। এবার আমরা একটা আর্ন্তজাতিক মানের ইংরেজি বাইবেল দেখব।



Genesis 17 : 1 (New World Translation of the Holy Scriptures (Study Edition) 


 When Aʹbram was 99 years old, Jehovah appeared to Aʹbram and said to him: “I am God Almighty. Walk before me and prove yourself faultless.


দেখুন বলা আছে যিহোবা অব্রাহামের সাথে একটা চুক্তি করছেন। 





১২ এবার দেখব একটা Hebrew - English Bible . 

এটা হচ্ছে A Hebrew - English Bible . According to the Masoretic Text and the JPS nineteen seventeen Edition . এখানে দেখূন কি বলা আছে। আমাদের যিহোবা শব্দটা খুজতে হবে। যা আমি দেখিয়ে দিলাম। 



আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য আমি গুগল ট্রানসলেটোর দিযে দেখিয়ে দিলাম এই শব্দটার অুনবাদ কি হবে। ভাল করে দেখে রাখুন বিশেষ করে যারা জানেন না।











১৪ এতকিছু দেখালাম যাতে আপনাদের কোন সন্দেহ না থাকে।এখন নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পারছেন বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা অব্রাহামের সাথে একটা চুক্তি করেছিলেন। তারমানে অব্রাহাম যিহোবার উপাসনা করত কিন্তু অব্রাহাম, মক্কার দেবতা আল্লা হূ বা হূবাল দেবতার উপাসনা করত না। আর এটাই গুরুত্বপুর্ন বিষয় যে, যিহোবা মক্কার মুর্তিপুজারি মুহাম্মদের সাথে কোন চুক্তি বা নিয়ম কোনটাই করেননি।


১৫ চলুন আরও কাহিনি আছে যা বুঝিয়ে বলছি। আদিপুস্তক ১৭ অধ্যায় ১০ পদে বলা আছে অব্রাহামের ভাবি বা ভাবিষৎ বংশ এই খতনা নিয়ম পালন করবে। তাহলে কোন সেই বংশ যাকে যিহোবা এই খতনা নিয়ম দেন পালন করার জন্য ? এই বংশ কি অব্রাহাম বেছে নিয়েছিল নাকি যিহোবা বেছে নেন ? 


এর উত্তর আমরা দেখব লেবীয় পুস্তক বারো অধ্যায় ১ ও ২ পদ

1 আর সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন, 2 তুমি ইস্রায়েল-সন্তানগণকে বল, যে স্ত্রী গর্ভধারণ করিয়া পুত্র প্রসব করে, সে সাত দিন অশুচি থাকিবে, যেমন মাসিকের অশৌচকালে, তেমনি সে অশুচি থাকিবে। 


১৬ দেখুন পরিস্কার বলা আছে যিহোবা ইস্রায়েল সন্তানগণকে এই নিয়ম দেন। এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এই খতনা বা ত্বক্‌ছেদ নিয়ম বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা শুধুমাত্র ইস্রায়েল সন্তানগণকে দেন। অব্রাহামের দুই ছেলে ইশ্মাইল ও ইসহাকের ভিতর যিহোবা ইসহাকের বংশকে বেছে নেন। যিহোবা ইশ্মাইলের বংশের কারও সাথে এই খতনা নিয়ম করেন নি। 


১৭ এই খতনা মুসলমানরা করবে এটা যিহোবা বলেননি। এই খতনা মুর্তিপুজারি ইশ্মাইল করবে কিনা বা মুর্তিপুজারি মুহাম্মদ করবে কিনা তা যিহোবা বলেননি। এখন মুসলমানরা খতনা করবে কি করবে না তা তাদের নিজেদের ব্যপার।





১৮  আমরা Hebrew English Bible দেখি কি বলা আছে। লেবিয় পুস্তকে কার নাম আছে। দেখুন এখানেও যিহোবার নামটা আছে। তাহলে বোঝা গেল এই নিয়ম বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা ইস্রায়েল সন্তানদের দেন।



তাহলে খৃষ্টানরা কি খতনা বা ত্বকছেদ করবে ?


  যিহোবা খৃষ্টানদের নিষেধ করে নাই যে তোমরা খতনা করবে না। তবে এটা করতেই হবে খৃষ্টানদের এমন কোন নিয়ম দেনন। খৃষ্টানরা স্বাধীন। তাই খৃষ্টানরা খতনা করতে পারে, আবারও নাও করতে পারে। 


আর মুসলমানদের এটাও মনে রাখা খুব দরকার যে বহু খৃস্টান খতনা বা Circumcision করছে। মুসলমানদের আরও মনে রাখতে হবে মুসলমানরা হচ্ছে ধর্মীয় ও মানসিকভাবে পরাধীন জাতি। আর খৃষ্টানরা হচ্ছে সবদিক দিয়ে স্বাধীন জাতি। তাই মুসলমানদের উচিত হবে না, তাদের উতমানের কুরআন দিয়ে বা হাফস বা ওয়াস কুরআন দিয়ে অন্য ধর্মের লোকদের বিচার করা।


চলুন বাইবেল থেকেই দেখি খৃস্টানরা খতনা করবে কিনা। আমরা পড়ি প্ররিত ১৬ অধ্যায় ৩ পদটা। অনেক মুসলমান অভিযোগ করে যে পৌল ভাল ব্যক্তি না। পৌল খতনা করতে নিষেধ করেন। কিন্তু এখানে দেখুন কি বলা আছে। 

-----------

3 পৌলের ইচ্ছা হইল, যেন সেই ব্যক্তি তাঁহার সঙ্গে গমন করেন; আর তিনি ঐ সকল স্থানের যিহূদীদের নিমিত্ত তাঁহাকে লইয়া তাঁহার ত্বক্‌ছেদ করিলেন; কেননা তাঁহার পিতা যে গ্রীক, ইহা সকলে জানিত। 

---------------

২২ আপনারা যদি একটু আগে থেকে দেখেন তাহলে বুঝবেন এখানে পৌল তীমথিয় নামে এক ব্যক্তি খতনা করান। পৌল খৃষ্টানদের খতনা করতে মানা করেননি, তবে এই খতনার দরকার আছে কিনা বা প্রয়োজন আছে কিনা তা বুঝতে সাহায্য করেন। কারন তখনও বহু খৃষ্টানরা মনে করত তাদের মোশির নিয়ম পালন করা উচিত। 


পৌল সেই খৃষ্টানদের বলেন, এখন আর তাদের কষ্ট করে, মোশির নিয়ম আর পালন করার কোন দরকার নাই। কারন যীশুর বলিদানমুলক মুত্যূর দ্বারা, আগের যে মোশির ব্যবস্থা ছিল, তা যিহোবা বাতিল করে দেন। আর যিহোবা যীশুর মাধ্যমে এক নতুন স্বাধীন ব্যবস্থা দান করেন।



২৩ কিন্তু যখন নতুন খীষ্টিয় মন্ডলী বা দল গঠিত হয় তখন থেকেই যিহোবা তার পবিত্র আত্মা দ্বারা এটা পরিস্কার করে দেন, আর ত্বকছেন করতে হবে এমন কোন নিয়ম নাই। এটা যার যার ইচ্ছা।


--------

28 কারণ পবিত্র আত্মার এবং আমাদের ইহা বিহিত বোধ হইল, যেন এই কয়েকটি প্রয়োজনীয় বিষয় ছাড়া তোমাদের উপরে আর কোন ভার না দিই। 

29 ফলে প্রতিমার প্রসাদ এবং রক্ত ও গলা টিপিয়া মারা প্রাণীর মাংস ও ব্যভিচার হইতে পৃথক থাকা তোমাদের উচিত; এই সকল হইতে আপনাদিগকে সযত্নে রক্ষা করিলে তোমাদের কুশল হইবে। তোমাদের মঙ্গল হউক।’ 

--------------------

আপনার প্ররিত পনেরো অধ্যায় ৬ থেকে উনোত্রিশ পদ পর্যন্ত পড়তে পারেন। আমি শুধু ২৮ ও ২৯ পদটা দেখাচ্ছি। দেখেন আমি মুল অংশগুলো রং করে দেখিয়ে দিতাছি।


দেখুন বলা আছে পবিত্র আত্মা আর তখনকার ভাইদের এটা মনে হয় আর কোন ভার থাকবে না। এটা পৌল সহ যীশুর সব শিষ্যরা জানত। শুধু দরকারি কিছূ নিয়ম ছিল। 


তাহলে আমরা পরিস্কার বুঝলাম যে খৃষ্টানদের খতনা করার কোন বাধ্যবাধকতা নাই। খৃষ্টনরা খতনা বা ত্বকছেদ করতেও পারে আবারও নাও করতে পারে। এটা যারা যার ব্যক্তিগত বিষয়।













যেহেতু ইসমাইল যখন ছোট ছিল তখন সে অব্রাহামের সাথেই থাকত। তাই অব্রাহাম ইশ্মাইলকে খতনা করান। এটা আপনারা পাবেন আদিপুস্তক সতেরো অধ্যায় পচিশ পদে। 



কারন তখন পর্যন্ত ইসমাইল বিয়ে করে আলাদা হয়ে যাননি।





 কিন্তু পরবর্তিতে ইশ্মাইল যখন বিয়ে করেন তখন তিনি তার ছেলেদের খতনা করেছেন কিনা, বা তার বংশের লোকদের খতনা করার আদেশ দিয়েছিলেন কিনা তার কোন বিবরণ কোথাও নাই। 


এমনিক মুসলমানদের সবচেয়ে প্রিয় পরিপুর্ন কুউরানে মানে উতমানের কুরানেও এই বিষয কিছুই পাওয়া যায় না। এটা খূব ভাল। আমরা এরজন্য খুব খুশি। আমরা বুঝতে পারি যে কুউরান পরিপুর্ন কোন বই না। কুউরান মানুষের লেখা একটা অতি সাধারন মানের সস্তা বই। আর সবচেয়ে বড় বিষয় যিহোবা ত ইশ্মাইলের সাথে কোন চুক্তি বা নিয়ম করেননি। তাহলে বোঝা গেল মুসলমানদের যে দাবি তা সম্পুর্ন মিথ্যা। 







 মুহাম্মদ কি খতনা করেছিলেন যখন মুহাম্মদের বয়স ৮ বছর ছিল ?  কারন আমরা দেখেছি, যিহোবা ইস্রায়েল জাতির জন্য পরিস্কার নিয়ম দেন লেবিয় পুস্তকে,  পুরুষানুক্রমে তোমাদের প্রত্যেক পুত্রসন্তানের আট দিন বয়সে ত্বক্‌ছেদ বা খতনা হইবে, 


মুসলমানরা দাবি করে মুহাম্মদ খতনা করেছিলেন। তবে উতমানের পরিপুর্ন কুউরানে এত গুরুত্বপুর্ন একটা বিষয় নাই। কেন নাই ? কারন মুহাম্মদকে না জানিয়ে উতমান যখন পরিপুর্ন কুরআন লেখে, তখন মক্কার আল্লাও জানত না উতমান কুউরানে কি লিখতাছে। 


এটা কুউরান লেখকদের মাথায় আসে নাই যে খতনার বিষয়টা কুউরানে ঢুকাতে হবে। আর সম্ভবত উতমান বা তখনকার কুউরান লেখকরা বাইবেল সম্পর্কে খুব কম জানত বা কোন ধারনাই ছিল না। 



২৬ তাই মুহাম্মদ খতনা করেছিলেন কিনা, তা উতমান ও তার কুউরান লেখকদের এত দরকারি বিষয় বলে মনে হয়নি। উতমান ও তার কুউরান লেখকরা যত তারাতাড়ি পারছে একটা পরিপুর্ন কুউরান লিখে ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠা করছে।


সমস্যা শুরু হয় পরে, যখন এটা নিয়ে যিহুদী খৃষ্টানরা প্রশ্ন করা শুরু করে। তখন কিছু মুসলমান কিছু হাদিস লেখা শুরু করে। এক নতুন গল্প রচনা করে। সেই হাদিসে তারা বলে মুহাম্মদ নাকি খতনা অবস্থাতেই জন্ম নেন। আবার অন্য হাদিসে বলা আছে আবু-মুত্তালিব মুহাম্মদকে খতনা করান। কারন এই সব হাদিস সব যে ঠিক এমন না। মুসলমানদের নিজেদের বানানো হাদিসও আছে যেমন এই মুহাম্মদের খতনা বিষয়টা তার ভিতর একটা। 


২৭

মুসলমানরা জোরালো ভাবে দাবি করে, 


ইসলামের নবি মুহাম্মদ এর সময়ে পৌত্তলিক আরব গোত্রের বেশিরভাগ পুরুষদের এবং কিছু মহিলাদের খৎনা করা হতো এবং ধর্মীয় কারণে ইহুদী পুরুষরা খৎনা করত। এটি আল-জাহিজ, পাশাপাশি জোসেফাস দ্বারাও প্রমাণিত হয়েছে। 


এখানে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, হাদিসের অনেক কাহিনি যে মানুষের বানানো কাহিনি তা পড়লে বোঝা যায়। কারন আবু-মুত্তালিব বা মুহাম্মদের বাবা আবদুল্লা অথবা কুরাইশ বংশ কেন খতনা করত, বা কিভাবে বা কোথা থেকে তারা খতনা করা শিক্ষা লাভ করল তার বিবরণ পাওয়া যায় না। 


আর এটাও জানান দরকারি মক্কার আল্লা কুরাইশ বংশকে খতনা করতে বলেননি বা খতনা করা শিক্ষাও দেননি।


আবার এক হাদিসে এক রকম বিবরণ ত আরেক হাদিসে আরেক রকম বিবরণ। আবার এটাও মনে রাখা দরকার হাদিস কিন্তু মুহাম্মদের আল্লা নাজিল করে নাই বা লেখতেও বলে নাই। অধিকাংশ তথাকথিত সহি হাদিস মুহাম্মদের বিষ খেয়ে অক্কা পাবার প্রায় তিনশত বছর পর লেখা। 

২৮

তারপরও আমরা ধরে নিলাম আরবে কেউ কেউ খতনা করত। তাতে কোন সমস্যা নাই। করতেই পারে। কারন বাইবেলেও আছে ইস্রায়েল জাতির আশেপাশে কিছু জাতিরা খতনা করত। কারন সেই জাতিরা ইস্রায়েল জাতির কাছ থেকে খতনা করাটা শিক্ষা লাভ করেছিল বলে যুক্তিসঙ্গতভাবে ধরে নেওয়া যায়। 


আর আরবরা বা কুরাইশ বংশ যদি খতনা করে থাকে, হয়ত তারা অন্য জাতির কাছ থেকে বিষয়টা শিক্ষা লাভ করেছিল। মনে রাখবেন মক্কার আল্লা কুরাইশদের খতনা করা শিক্ষা দেয় নাই। তবে মুল বিষয়টা হচ্ছে এই খতনা শুধু যিহোবা ইস্রায়েল জাতিকে দেন। অন্যরা খতনা করল কি করল না তাতে যিহোবার কিছু আসে যায় না। কারন বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা মুর্তিপুজারি কুরাইশ বংশ ও ময়লা পচা কাল পাথর পুজারি মুহাম্মদের সাথে কোন নিয়ম বা চুক্তি কোনটাই করেননি।

















2/ Genesis 17:2-3 মহান/ প্রভাবশালী গোষ্ঠী Abraham/ইব্রাহিম এর জন্য দোয়া করবে দাবী: একমাত্র তারাই ইব্রাহিম এর উপর দুরুদ পাঠ করে, Christian/Jew করে না



এবার আসুন আমরা মুসলমানদের আরেক হাস্যকর দাবি নিয়ে আলোচনা করি। তারা আদিপুস্তক সতেরো অধ্যায় ২ ও ৩ পদটা দেখিয়ে বলে মহান প্রভাবশালী গোষ্ঠি ইব্রাহিমের জন্য দোয়া করবে। খৃষ্টান ও যিহুদীরা করে না। একমাত্র মুসলমানরাই ইব্রাহিমের জন্য দোয়া পাঠ করে।


কিন্তু আদিপুস্তক 17 অধ্যায় ২ ও ৩ পদে বলা আছে অব্রাহাম উবুর হয়ে পড়লেন আর যিহোবা তার সাথে কথা বলতে থাকলেন। এর বেশি কিছূ আর বলা নাই।


মুসলমানগন বুঝাতে চায় তারাও আল্লার প্রতি সেজদা করে। আবার ইব্রাহিমের জন্য দোয়াও করে। কিন্তু ভাই এখানে ত সে কথা বলা নাই। অব্রাহাম উবুর হযে পড়ছে তাই পৃথিবীর সবাইকে সেভাবে করতে হবে তা ত ভাই বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা বলেননি। 

2

সমস্যা হচ্ছে মুসলমানরা সব কিছু তাদের নিজেদের নিয়ম বা তাদের কুরান হাদিসে যা আছে সেই ভাবে সবাইকে করাতে চায়। বাইবেলে এরকম কিছু ঘটনা আছে যেখানে ব্যক্তিরা যিহোবার কাছে তার উপাসকরা উবুর হয়ে প্রনিপাত বা সেজদা করছে। সবাই করছে এমন না। তবে এই প্রনিপাত বা সেজদা করতেই হবে এমন কথা বাইবেলে নাই। আর সবাইকে এভাবে করত হবে তাও বাইবেলে বলা নাই।


যেমন অব্রাহামের মতো যোষেফ তার বাবাকে প্রনিপাত করেছিলেন। কারন এটা তখনকার একটা সামাজিক রীতি নীতি ছিল। অন্যদিকে ভাববাদী এলিয় যিহোবাকে প্রনিপাত করেছিলেন। আবার রাজা শলোমন হাটুপেতে যিহোবার কাছে প্রার্থনা করেছিলেন যিহোবাকে সন্মান জানাবার জন্য। অন্যদিকে ভাববাদী দানিয়েল দিনে তিনবার যিহোবার কাছে হাটুপেতে প্রার্থনা করতেন। যিশুও যিহোবার কাছে হাটুপেতে প্রার্থনা করতেন। 

তাহলে আমরা বুঝতে পারছি এই ব্যক্তিরা কোন নির্দিষ্ট অঙ্গভঙি করেনি। ব্যপারটা এমন না যে, বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা তাদের এভাবে করতে বলছেন তাই তারা এমন করছে, তা কিন্তু না। ভাববাদী এলিয় ও রাজা শলোমন অথবা যীশু যে যার মতো করে যিহোবার নিকট প্রার্থনা করেছিলেন। প্রত্যেকেই স্বাধিনভাবে নিজেরমতো করেই প্রার্থনা ও সন্মান জানাতেন। বাইবেলের ঈশ্বর এরজন্য কাউকে অভিযোগ করেননি।  


তবে এটা মুহাম্মদের মতো মক্কার দিকে এমন না। তবে অতি প্রাচীনকাল থেকে যারা মুর্তিপুজা করত তারাই সব সময় তাদের মুর্তির সামনে সেজদা করত। মুহাম্মদ তার আগের মুর্তিপুজারি ধর্মের যে নিয়ম ছিল সেই একই নিয়ম, মুহাম্মদ তার নতুন ধর্ম ইসলামে স্থানান্তর বা ট্রানস্ফার করে। অর্থাৎ মুহাম্মদের ছোটবেলা থেকে যে মুর্তিপুজারি ধর্ম পালন করত, সেই ধর্মের কায়দা কানুন মুহাম্মদ নতুন করে ইসলামে ঢুকিয়ে দেয়।


তাহলে আপনার বুঝতে পারলেন মুসলমানরা সার্থের কারনে অব্রাহামকে পছন্দ করে। শুধুমাত্র ইসলাম অব্রাহামিক ধর্ম এটা প্রমান করার জন্য মুসলমানগন অব্রাহামের জন্য দোয়া করে। মুলত মুসলমানরা মুহাম্মদকে ও একটা কালা পচা ময়লা পাথরকে উপাসনা করে।

















3/ Genesis 17:20 Genesis 21:28 ইসমাইল থেকে বৃহৎ গোষ্ঠী বের হবে যাদের মহান জাতি বলা হয়েছে যাকে সমুদ্রের বালুর মতো গুণে শেষ করা যাবে না। দাবী: মুসলিমরাই সেই জাতি

এবার আমরা মুসলমানদের আরেকটা দাবি দেখব। আদিপুস্তক ১৭ : ২০ ও ২১: ১৩-২০ পদ, দেখিয়ে মুসলমানরা দাবি করে, এখানে বলা আছে ইসমাইল এক বড় জাতি হবে। হাজেরাকে স্বর্গদুত বলছে আমি ইশমাইলকে মহান জাতি করব। সমুদ্রের বালির মত গুনে শেষ করা যাবে না। মুহাম্মদ ও মুসলমানজাতিকে যদি বাদ দেওয়া হয় তাহলে এই ভবিষৎবানি মিথ্যা হবে।

2

মুসলমানরা আরও দাবি করে, খৃষ্টানরা বলে মুহাম্মদ মিথ্যা নবী তিনি অব্রাহাম থেকে আসেননি। তাহলে এই ভাববানি মিথ্যা হবে। কারন আপনারা মুহাম্মদের অনুসারি বাদ দিয়ে একজন মুসলমানও পাবেন না যিনি ইসমাইল থেকে আসেননি।

3

এই হচ্ছে মুসলমানদের দাবি। এবার আসুন আমি এর উত্তর দিচ্ছি। কিভাবে মুসলমানদের এই দাবিটাও ভুল ও মিথ্যা তা আমরা দেখব। বাইবেলের এই অংশ বুঝতে হলে একটু আগে থেকে আপনাদের পড়তে হবে। মুসলমানরাও পড়ে, তবে যেহেতু তারা মিথ্যা দাবি ও ব্যখ্যা করে, তাই এই সতেরো অধ্যায়ে আসলে কি বলা আছে, মুসলমানরা সেই বিষয়টা এড়িয়ে যায়।













আমরা প্রথমে এটা দেখব সতেরো অধ্যায় কোন ঈশ্বর কথা বলছেন। দেখুন ছবিটা। এখানে যিহোবা নামটা আছে। তারমানে অব্রাহামের সাথে বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা কথা বলছিলেন। মক্কার আলা না।

আমরা প্রথমে আদিপুস্তক ১৭ অধ্যায় ১৭ ও ১৮ পদ বা ভারসটা দেখি। দেখুন এখানে বলা আছে, প্রথমে অব্রাহাম মনে মনে বলছেন তার ও সারার এত বয়স হয়ে গেছে এখন কি তাদের আর সন্তান হবে ? এরপর অব্রাহাম বলছেন যিহোবাকে, যে তার দৃষ্টিতে ইশ্মায়েল বেচে থাকুক। হ্যা এই অনুরোধ অব্রাহাম যিহোবাকে করেন। তাই যিহোবা ইশমাইলের জন্য কিছু করতে রাজি হোন। বিষয়টা এমন না যে বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা নিজে অব্রাহামকে বলছেন, ইশমাইল থেকে তিনি নবী আনবেন। না এমন না।


5b সত্যি বলতে তখন অব্রাহামের এটা বিশ্বাস করা কষ্টকর ছিল তার প্রথম স্ত্রী সারা এক সন্তান দিবে। অব্রাহাম চিন্তা করছিলেন, কিভাবে সারা সন্তান জন্ম দিবে ? কারন সারার বয়স তখন ছিল নব্বই বছর।





 ৬

এরপর আসুন আমরা আসল গুরুত্বপুর্ন অংশটা দেখি। যেটা মুসলমানরা এড়িয়ে যায়। ১৯ পদে যিহোবা বলছেন, সারা অবশ্যই এক পুত্র সন্তান জন্ম দিবে ও তার নাম ইসহাক হবে। আর বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা সেই ইসহাক ও তার ভাবিষৎ বংশের সাথেই চিরস্থাযী নিয়ম স্থাপন করবেন।


এখানে আমরা পরিস্কার বুঝতে পারি, যিহোবা ঠিক কি করবেন তা তিনি অব্রাহামকে বলে দেন। শুধুমাত্র ইসহাকের সাথেই বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা চিরস্থায়ী নিয়ম করবেন।


 

অব্রাহামের প্রতি যিহোবা এই প্রতিজ্ঞা করার পর ২০ পদে যিহোবা অব্রাহামকে ইসমাইলের বিষয় নিশ্চয়তা দেন যে, ইসমাইলের বংশও বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা বড় করবেন। ইসমাইল থেকে বারো জন রাজা হবে আর ইসমাইল জাতি অনেক বড় হবে। 


7b কিন্তু দেখুন বলা আছে মাত্র বারো জন রাজা তার বংশ থেকে তৈরি হবে। এর বেশি না। যত বড় জাতি ইশমাইল হোক না কেন, বারো জন রাজার বেশি যিহোবা দিবেন না। তার মানে ইশমাইলের বংশের একটা সীমাদ্ধতা থাকবে।


(তুমি ভারস গুলি দিয়ে দিও।) আমি সব দিতে পারছি না।


7 c কিন্তু এর পরের ২১ পদ বা ভারসটা মুসলমানরা এড়িয়ে যায়। দেখুন একুশ পদে কি বলা আছে। আমি বেশি করে রং দিয়ে দেখিয়ে দিলাম। এখানে বলা আছে, ফাইনালি বা সর্বশেষে যিহোবা ইসহাকের সাথেই নিয়ম স্থাপন করবেন। ইশমাইল যত বড় হোক না কেন তাতে কিছুই হবে না। যিহোবা ইসহাকের  সাথেও নিয়ম করবেন। এটা সর্বশেষ বা ফাইনাল সিদ্ধান্ত ।


তাহলে ব্যপারটা আমরা পরিস্কার বুঝতে পারলাম। যদিও যিহোবা ইসমাইলকে এক বড় জাতি করবেন, তবে এর অর্থ এই না যে, সেখান থেকে যিহোবা কোন মক্কার নবী আনবেন। এই কথা বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা কোথাও বলেন নাই যে, তিনি ইসমাইলের বংশকে ব্যবহার করে, মক্কার মুর্তপুজারি কুরাইশ বংশ থেকে, একজন আর্ন্তজাতিক মানের কালা পচা ময়লা পাথর উপাসনাকরি মুহাম্মদকে, নবী হিসাবে নির্বাচিত করবেন। না যিহোবা তা বলেননি।

আরও লক্ষ্য করুন যিহোবা ইসমাইলকে মাত্র বারো জন রাজা দিয়ে আর্শিবাদ করেন। তা সেই বারো জন রাজারা কি চিরকাল জীবিত ছিল ? বাইবেল অুনসারে ইসমাইল বেচে ছিলেন, একশত শাইত্রিশ বছর। আদিপুস্তক ২৫: ১৭

আর তার বারো সন্তান ধরি ইসমাইল মারা যাবার আরও একশত বছর জীবিত ছিল। তাহলে সব মিলিয়ে প্রায় দুইশত বছরের মধ্যে ইসমাইল ও তার বারো ছেলে মরে ভুত হয়ে, পটল ডাংগায় সাতার কাটতে চলে যায়। দেখুন আমি সব ছবি দিয়ে দেখিয়ে দিতাছি।


১০

তাহলে ইসমাইলের কোন ছেলে থেকে মুহাম্মদ আসল ? কারন তারা বহু আগে মরে যায়। আর ইস্রায়েল জাতির বংশ তালিকা রাখত তবে ইসমাইল জাতি কোন বংশ তালিকা রাখত না। ঠিক যেমন কুরাইশ বংশও কোন বংশ তালিকা রাখত না। এই সব জাতির লোকেরা তাদের কয়েক প্রজন্ম আগের পূর্বপুরুষদের নাম হয়ত মনে রাখতে চাইলে মনে রাখত পারত। তবে সেটা যার যার ইচ্ছা অনুসারে রাখত। একটা জাতি হিসাবে ইসমাইল জাতির কোন ধরনের বর্ননা পাওয়া যায় না।

১১

এরজন্য দেখবেন উতমানের পরিপুর্ন কুউরানে বা আর যত হাফস বা ওয়াস কউরান আছে সেগুলোতে কারও বংশ তালিকা নাই। এমনকি ইসমাইল কোন এলাকা ভ্রমন করছিল তার সঠিক কোন বিবরণ নাই। কুউরানে ইসমাইলের বারো ছেলের বিস্তারিত কোন বর্ননা নাই। কুউরানে সেই বারো ছেলে কিভাবে বা কোখায় রাজত্ব করত বা কিছুই নাই। 


সেই বারো ছেলে কিভাবে ব্যবসা বানিজ্য করত বা কিভাবে কাকে বিবাহ করেছিল কোন ধরনের বর্ননা পরিপুর্ন কুউরানে পাবেন না। এমনকি প্রচলিত ইতিহাসেও ইসমাইল জাতির বিষয় খুব সামান্য বা তেমন কিছু জানা যায় না। 

১২

কারন কুরাইশ বংশের লোকেরা ও খলিফারা যখন পরিপুর্ন কুউরান লিখছিল তখন তাদের মাথায় এতকিছু আসে নাই। তারা ভাবছিল বাইবেল থেকে কিছু গল্প চুরি করে একটা কুউরান রচনা করবে। তারপর সেটা দিয়েই নতুন ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে। কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু বিষয়টা সেরকম হয় নাই।

১৩

অন্যদিকে যদি চিন্তা করুন, ইসলামের আল্লাও জানত না যে ইসমাইল থেকে মুহাম্মদ আসবেন। যেহেতু আল্লা জানত না তাই পরিপুর্ন কুউরানে ইসমাইলের বংশ তালিকা আল্লা দিতে পারে নাই। তাহলে বোঝা গেল যে আল্লা একটা কালা পচা পাথর। তাই আল্লা কিছুই জানত না।





১4

সমস্যা দেখা দেয় মুহাম্মদ বিষ খেয়ে অক্কা পাবার বহু বছর পর। যখন যিহুদী খৃষ্টানরা বংশ তালিকা নিয়ে প্রশ্ন করা শুরু করে। তখন মুসলমান হাদিস লেখকরা এই সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু হাবিজাবি হাদিস লেখে। 

15

সেই সব হাদিসে তারা বর্ননা করে ইসমাইল পরবর্তিতে একজন দ্বিতীয় স্ত্রী বিবাহ করে। সেই স্ত্রী ছিল আরবের বনু জুরহুম গোত্রে এক কন্যা। Banu Jurhum or The second Jurhum তবে সেই স্ত্রীর সঠিক কোন নাম পাওয়া যায় না। কেউ বলে সে আয়সা আবার অন্যরা বলে সেটা হবে ফাতেমা।


হাদিস

https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=66455 















১৬

আমি আপনাদের হাদিস দেখাচ্ছি এই সব হাবজাবি হাদিসে অনেক পারস্পর বিরোধি বর্ননা আছে। এটা আম্বিয়া থেকে। গুগলে খুজলে এগুলি পাবেন। বুখারী দাদুর হাদিসও আছে। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় এগুলি যে মানুষের নিজের বানান গল্প তা পড়লে বোঝা যায়। কারন বুখারী মুহাম্মদের মরার প্রায় তিনশত বছর পর হাদিস লেখে। বুখারী দাদু এই সব হাদিস পেল কোখা থেকে ? এই সব হাদিসে বলা আছে, ইসমাইল তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন ও তারপর আরবের জুরহুম গোত্রের এক কন্যা বিবাহ করেন।

১৭

এছাড়াও মুসলমানরা দাবি করে ইসমাইল আরব ভাষা শিক্ষা লাভ করেন। আর ইসমাইলের দ্বিতীয় স্ত্রী থেকে আরবজাতির সৃষ্টি হয়। তবে এতেও সমস্যা আছে। ইসমাইল যদি আরব কন্যা বিবাহ করে তাহলে ত আরবজাতি বহু আগে থেকেই ছিল এটাই প্রমান হয়। নতুবা ইসমাইল আরব কন্যা পেল কোথা থেকে ?





১৮

অন্যদিকে ইসমাইলের পিতা ছিল ইব্রীয় জাতির লোক। আর মাতা ছিল মিশরিয়। তাহলে ইসমাইল কোন জাতির সন্তান হবে ? অথবা ইসমাইলকে কি দুইজাতির সন্তান বলা যাবে ? আবার ইসমাইল যদি ইব্রীয় হয় পিতার কারনে, তাহলে তার আরব জুরহুম গোত্রের দ্বিতীয় স্ত্রী থেকে যে সন্তান হবে সে কোন জাতির সন্তান হবে ? সেটা কি ইব্রীয় না আরব জাতি হবে ?


১৯

বাইবেল ও প্রচলিত ইতিহাস অনুসারে ইসমাইলের বংশ, আশেপাশের বিভিন্ন জাতির সাথে মিশে এক হয়ে যায়। তাই বাইবেলে দেখবেন, কিছু বিবরণে এরকম বর্ননা বলা আছে,  যেখানে মিদিয়নীয় ও ইশ্মায়েলীয় একসাথে আছে। 


২০

যেমন আপনারা যদি বিচারকর্তৃগণ ৮ অধ্যায় ১ থেকে পড়লে দেখবেন মিদিয়নের সাথে ইস্রায়েল জাতির যুদ্ধে কথা বলা আছে। কিন্তু যদি চব্বিশ পদ পড়েন ওখানে বলা আছে শত্রুরা ছিল ইশ্মায়েলীয়। তাহলে বোঝা যায় মিদিয়ন ও ইসমাইল দুই জাতি কোন একসময় এক হয়ে মিশে যায়। আর তারা ছিল ইস্রায়েলের শত্রু।

21

অন্যদিকে যাকোবের বড় ছেলে এষৌ, একজন ইসমাইলিয় কন্যা , নবায়োতের ভগিনী, মহলৎকে বিবাহ করে। আদিপুস্তক ২৮:৯ এভাবে আশেপাশের জাতির সাথে ইসমাইলের বংশ মিলেমিশে এক হয়ে যায়। প্রচলিত ইতিহাসও তাই বলে। 

২২

তাহলে আমরা কি বুঝলাম ? প্রথমত ইসমাইলের বংশ বা জাতি থেকে মুহাম্মদ আসছেন এর কোন সঠিক ভিত্তি নাই। কারন ইসমাইলের কোন নির্দিষ্ট জাতি বা বংশ ছিল না। সব অন্যজাতির সাথে মিশে এক হয়ে যায়। তাই এটা বলা ভুল হবে মুহাম্মদ ইসমাইল থেকে আসছেন। কারন কুরাইশ বংশের উৎপত্তি ঠিক কোথা থেকে তা পরিস্কার জানা যায় না। আর ভাল বিষয় হচ্ছে মক্কার আল্লাও জানে না। 




২৩

আর পরবর্তি গুরুত্বপুর্ন বিষয় হচ্ছে, ইসমাইলের বংশ বা জাতি থেকে বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা কোন নবী বা ভাববাদী আনবেন না। যেটা আমরা বাইবেল থেকেই পরিস্কার বুঝেত পারলাম। এখন মুসলমানরা কি বলবে জানেন ? তারা প্রথমে গালাগালি করবে, তারপর বলবে তোদের বাইবেল বিকৃত হয়ে গেছে। কারন মুসলমানরা ভাল করেই জানে বাইবেলে মুহাম্মদের বিষয কিছু্ই নাই। 

২৪

দেখুন বাইবেল কি বলে। আমি সব দেখিয়ে দিতাছি। মনোযোগ দিযে দেখেন। আপনার আদিপুস্তক পচিশ অধ্যায় পড়লে এগুলি জানতে পারবেন।

প্রথমে অব্রাহাম আরও একজন স্ত্রী বিবাহ করেন। তারপর অব্রহাম ইসহাককে তার সর্বস্ব দিয়ে দেন। আর যত সন্তান ছিল তাদের তিনি ইসহাকের কাছ থেকে দুরে পাঠিয়ে দেন। এরপর এগারো পদ বলে বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা ইসহাককে আর্শিবাদ করেন। যিহোবা তাহলে শেষ পর্যন্ত ইসহাককে বেছে নেন। এটাই প্রধান বিষয়। 


-----------------

আদিপুস্তক ২৫:১ আর অব্রাহাম কটুরা নাম্নী আর এক স্ত্রীকে বিবাহ করেন।

আদিপুস্তক ২৫ : ৫ ও ৬ আর অব্রাহাম ইস্‌হাককে আপনার সর্বস্ব দিলেন। ৬ কিন্তু আপন উপপত্নীদের সন্তানদিগকে অব্রাহাম ভিন্ন ভিন্ন দান দিয়া আপনার জীবদ্দশাতেই আপন পুত্র ইস্‌হাকের নিকট হইতে তাহাদিগকে পূর্বদিকে, পূর্বদেশে প্রেরণ করিলেন। 


১১ অব্রাহামের মৃত্যু হইলে পর ঈশ্বর তাঁহার পুত্র ইস্‌হাককে আশীর্বাদ করিলেন; এবং ইস্‌হাক বের্‌-লহয়্‌-রোয়ীর নিকটে বসতি করিলেন। 

-------------


২৫ আর কিছু গুরুত্বপুর্ন বিষয় বলছি মনোযোগ দিয়ে শুুনন।

এখানে গুরুত্বপুর্ন বিষয় হচ্ছে, মক্কার মুহাম্মদের আল্লা হূবাল কিন্তু অব্রাহামের কাছে, ইসমাইলের জন্য কোন নিশ্চয়তা দিচ্ছেন না। এটা কিন্তু খুব গুরুত্বপুর্ন একটা বিষয। আপনাদের এটা বুঝতে হবে, কোন ঈশ্বর, চুক্তিটা করছেন। মুহাম্মদের আর্ন্তজাতিকমানের কালা পচা ময়লা পাথর আল্লা অব্রাহামের সাথে কোন ধরনের চুক্তি করছেন না বা অব্রাহামকে কোন ধরনের নিশ্চয়তা দিচ্ছেন না। শুধুমাত্র বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা অব্রাহামকে ইসমাইলের বিষয় নিশ্চয়তা দিচ্ছেন। এটাই হচ্ছে প্রধান বিষয়। মুসলমানরা এই বিষযগুলি সুকৌশলে এড়িযে যায়। আপনারা বাইবেলে পদ গুলি ভাল করে দেখবেন। আমি সব দিয়ে দিচ্ছি।


২৬ মনে রাখবেন যিহোবা শুধু মাত্র অব্রাহামকে খুশি করার জন্য ইসমাইলের মত একটা গাধাকে বড় বংশ করবেন বলে রাজি হইছেন। তার কারন ইসমাইলে জন্মের সময়ই যিহোবা বলে দেন ইসমাইল বড় হয়ে গাধা মতো হবে। দেখুন আমি বাইবেল থেকেই দেখিয়ে দিলাম। আদিপুস্তক ষোল অধ্যায় এগারো ও বারো পদ। আর পরবর্তিতে ইসমাইল বড় হয়ে একটা আর্ন্তজাতিক মানের বিখ্যাত্ বনগর্দভ হয়। কোন কোন বাইবেল অনুবাদে (jw) বলা আছে জেব্রার মত হবে।

----------------

11 সদাপ্রভুর দূত তাহাকে আরও কহিলেন, দেখ, তোমার গর্ভ হইয়াছে, তুমি পুত্র প্রসব করিবে, ও তাহার নাম ইশ্মায়েল [ঈশ্বর শুনেন] রাখিবে, কেননা সদাপ্রভু তোমার দুঃখ শ্রবণ করিলেন।


12 আর সে বন্য গর্দভ স্বরূপ মনুষ্য হইবে; তাহার হস্ত সকলের বিরুদ্ধে ও সকলের হস্ত তাহার বিরুদ্ধে হইবে; সে তাহার সকল ভ্রাতার সম্মুখে বসতি করিবে। 

--------------


২৭ আমরা নিশ্চিত হলাম, বাইবেলে ঈশ্বর যিহোবা ইসমাইল, বা তার বংশ বা জাতিকে ব্যবহার করবেন না। এছাড়া ইসমাইল থেকে মুহাম্মদ আসছেন এর কোন সঠিক বা জোরাল ভিত্তি নাই। 


এগুলি কিছু মানুষের অনুমান। সেই সাথে আছে ইসমাইলকে নিয়ে, মুসলমানদের নিজেদের তৈরি মিথ্যা হাদিস। তাহলে আমরা পরিস্কার নিশ্চিত হলাম, মুসলমানদের ইসমাইল নিয়ে যে সকল দাবি তা সম্পুর্ন ভুল ও মিথ্যা। 




































Part 8

4/ Genesis 15:18 তাদের হাতে Nile and Euphrates নদীর মধ্যবর্তী জমি দখলে থাকবে।


সেই দিন সদাপ্রভু অব্রামের সহিত নিয়ম স্থির করিয়া কহিলেন, আমি মিসরের নদী অবধি মহানদী, ফরাৎ নদী পর্যন্ত এই দেশ তোমার বংশকে দিলাম; 


এই লিংক দেখতে পার। কিছু বিষয় পাবে।

https://www.biblicaltraining.org/library/shihor 


https://biblefocus.net/consider/Euphrates-boundary-of-the-promised-land/index.html 

এখন আমরা মুসলমানদের আরেকটা হাস্যকর দাবি দেখব। অবাক করা বিষয় এই মুসলমানরা কিভাবে অন্য ধর্মের কিতাব বিকৃত করতে পারে তা না শুনলে বা তারা কি বলে না জানলে তা বুঝবেনই না। এখন সেটাই বলছি। আমি আগেই বলেছি, মুহাম্মদ বাইবেলের তেমন কিছুই জানত না এমনকি বুঝতোও না। কারন মুহাম্মদ তার সময়ের বাইবেল থেকে দেখাতে পারে না্ যে সে একজন নবী। তবে বর্তমান সময়ের নবীরা আরও জ্ঞানী। এরা এত জ্ঞানী যে মুহাম্মদ না থাকলেও ইসলাম ধর্মের কোন সমস্যা হবে না। বর্তমান সময়ের নবীরা প্রমান করছে, আসলে ইসলাম ধর্মে মুহাম্মদের কোন মুল্য নাই।


মুসলমানরা আদিপুস্তক পনেরো অধ্যায় আঠারো পদটা দেখিয়ে বলে, এখানে বলা আছে, যে মহান জাতি আসবে তার হাতে নীল নদ ও ফোরাত নদী দখলে থাকবে। বর্তমানে মুসলমানরাই এই নদী ও জমির দখলে আছে বা দখল করে রাখছে। ইহুদিরা বা খৃষ্টানরা ফরাত নদী দখল করতে পারে নাই। রাজা দায়ূদ কিছু সময়ের জন্য ফরাত নদী দখল করেছিল, কিন্তু সেটাও পরে অন্যরা দখল করে নেয়। 






৩ এবার আমাদের দেখতে হবে, বাইবেলের এই আয়াত বা পদে কি কথা বলা আছে ?  ভাল করে পড়লে কিন্তু সহজেই বোঝা যায়, বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা অব্রাহামকে ঠিক কি বলছেন। আমরা এই অংশটা লক্ষ্য করি। 


দেখূন এই অংশে ইসমাইল বা মুসলমানজাতির বিষয় কিছুই বলা নাই। আর যে বংশ আসবে, তা আমরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছি সেই বংশ ইসহাক থেকেই আসবে। তবে কোন নদী দখল করতে হবে, এমন কথা বলা নাই।



















৪ এবার আমরা ইব্রীয় বাইবেলটা দেখি। এখানে দেখুন যিহোবার নামটাই আছে। এটা দেখালাম যাতে আপনাদেরও কোন সন্দেহ না থাকে। আপনার কিছু ইংরেজি বাইবেলেও এই ইয়াহুওয়া বা যিহোবা নামটা পাবেন। দেখুন আমি একটা অনুবাদ দিয়ে দিলাম।(JW) এটা আমাদের বুঝতে সাহায্য করবে, অব্রহামের সাথে যিহোবার সম্পর্ক ছিল। অব্রাহাম মক্কার আল্লাকে চিনত না এমনকি জানতও না। তাই মুসলমানজাতির কথা চিন্তা করা সম্পুর্ন ভুল।






৫ তারপরও মুসলমানরা দাবি করতে পারে, না ভাই, অব্রাহামকে আল্লা বলছেন যেন মুসলমানরা নীদ নদ থেকে ফোরাত নদী দখল করে। এরজন্য আমি বাইবেল থেকে যিহোবার আরেকটা আদেশ আপনাদের দেখাচ্ছি। এটা আপনাদের বুঝতে সাহায্য করবে, যিহোবা অব্রাহামের কাছে করা প্রতিজ্ঞা কাদের জন্য দিলেন। 


অর্থাৎ সেই প্রতিজ্ঞাত দেশ কে পাবে। দেখুন বাইবেলে যিহোবা বলে দিয়েছেন। আপনারা গণনা পুস্তক চোউক্রিশ অধ্যায় ১ থেকে বারো পড়তে পারেন। বাইবেলের এই অংশে যিহোবা মোশিকে বলছেন, ইস্রায়েল জাতি কতখানি এলাকা দখল করবে।


------------

৬ এবার ভাল করে দেখুন যিহোবা মোশিকে বলছেন, যেন সে ইস্রায়েল সন্তানগণকে বলে তাদের নতুন দেশের সীমানা কতখানি হবে। আমি বাইবেল থেকেই্ দেখিয়ে দিলাম। 

-------------

আপনারা নিজেরা বাকি আংশটা দেখে নিবেন। অর্থাৎ চোউক্রিশ অধ্যায় তিন থেকে বারো পদ পর্যন্ত যে অংশটা আছে। ওখানে দেখবেন ইস্রায়েল জাতির নতুন দেশের সীমানা ঠিক কতখানি হবে তা বলা আছে।






৭ তা এখানে মোশি কি মক্কার পচা কালা ময়লা পাথরের সামনে দাড়িয়ে ছিল নাকি ? মুসলমানরা কি বলে ? বাইবেলের এই অংশ কি দেখায় মোশি ইসলামের নবী ছিলেন ? অবশ্যই না। মোশি ছিলেন যিহোবার নিযুক্ত ভাববাদী। 


মোশি তার নিজের ইস্রায়েল জাতির ভাইদের সামনে দাড়িয়ে যিহোবা কি কি নিয়ম ও আদেশ করেছেন, তাই বলছিলেন। মোশি মক্কার আন্তজাতিকমানের মুর্তপুজারি মুহাম্মদের বিষয় কোন কথাই বলছিলেন না। মোশির সাথে মক্কার আল্লা হূবাল বালের সম্পর্ক ছিল না। 


৮ এখন আমরা পরিস্কার বুঝতে পারলাম. আদিপুস্তক পনেরো অধ্যায় আঠারো পদে অব্রাহামের কাছে যে প্রতিজ্ঞা যিহোবা করেছিলেন তা পরিপুর্ন হয়ে যায় ইস্রায়েল জাতির মাধ্যমে। এখানে মুসলমানদের কথা চিন্তা করা বোকামি ও মুর্খতার বর্হিপ্রকাশ। 







৯ তাহলে কিভাবে ফোরাত নদী মুসলমানরা দখল করল ? এটার উত্তর খুব সহজ। ইতিহাস অনুসারে মুহাম্মদ বিষ খেয়ে অক্কা পাবার বহু পরে নীল নদ থেকে ইউফ্রেটিস নদী পর্যন্ত এলাকা, মুসলমানরা দখল করে। সেই সময়ে ওখানে বহু জাতি ও অন্য ধর্মের লোকেরা থাকত। 


সবাই কি ইসমাইলের বংশ ছিল নাকি ? একদমই না। মুসলমানরা ওখানকার অধিবাসিদের হত্যা করে, ধর্ষন করে। আর যারা জীবিত ছিল, প্রাণের ভয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে। আর সেই সময় হতে এখন পর্যন্ত তাদের বংশধরেরাই ইসলাম ধর্ম পালন করছে। তাই এই নদীগুলি মুসলমানদের দখলে আছে।


10 আমাদের একটা বিষয বুঝতে হবে, যিহোবা অব্রাহামের ছেলে ইসাহাক অথবা যাকোবকে পৃথিবীর সব এলাকা দখল করতে হবে, এমন কোন দায়িত্ব বা নির্দেশ দেন নাই। মুসলমানরা যেভাবে এলাকা দখল করে যিহোবা যাকোবকে সেভাবে কোন দায়িত্ব বা নির্দেশ দেননি। 


মুসলমারা এখন চেষ্টা করছে, তাদের সন্ত্রাসি ইসলাম ধর্মকে অব্রাহামিক ধর্ম হিসাবে পরিচিত করার জন্য। আর তাই মুসলমানরা বাইবেলের কিছু আয়াত বা শাস্ত্রপদকে ব্যবহার করে সবাইকে বুঝানোর চেষ্টা করতে ইসলাম অব্রাহামিক ধর্ম। কিন্তু এটা মিথ্যা। 

এখন চলুন আরও কিছু বিষয় দেখি। প্রথমে আমরা দেখব যিহোবা ইস্রায়েল জাতিকে ঠিক কতখানি জায়গা দখলের অনুমতি দেন। এটা আপনারা পাবেন গণনা পুস্তক চোউক্রিশ অধ্যায় ১ থেকে বারো পদ পর্যন্ত। আপনারা এটা পড়তে পারেন। 


৯ তাহলে কিভাবে ফোরাত নদী মুসলমানরা দখল করল ? এটার উত্তর খুব সহজ। ইতিহাস অনুসারে মুহাম্মদ বিষ খেয়ে অক্কা পাবার বহু পরে নীল নদ থেকে ইউফ্রেটিস নদী পর্যন্ত এলাকা, মুসলমানরা দখল করে। সেই সময়ে ওখানে বহু জাতি ও অন্য ধর্মের লোকেরা থাকত। 


সবাই কি ইসমাইলের বংশ ছিল নাকি ? একদমই না। মুসলমানরা ওখানকার অধিবাসিদের হত্যা করে, ধর্ষন করে। আর যারা জীবিত ছিল, প্রাণের ভয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে। আর সেই সময় হতে এখন পর্যন্ত তাদের বংশধরেরাই ইসলাম ধর্ম পালন করছে। তাই এই নদীগুলি মুসলমানদের দখলে আছে।




১০ এখন প্রশ্ন আসতে পারে ইস্রায়েল জাতি কি এই সম্পুর্ন জায়গা বা ভুমি দখল করতে অথবা দখল কারার পর তা দখলে রাখতে পেরেছিল ? এটা বুঝতে হলে আমাদের যিহোবার শর্ত, যা তিনি ইস্রায়েল জাতিকে দেন তা দেখতে হবে। আপনার পড়তে পারেন দ্বিতীয় বিবরণ এগারো অধ্যায় ষোল থেকে আঠাশ পদ পর্যন্ত।


দ্বিতীয় বিবরণ ১১ : ১৬-২৮ পদ পর্যন্ত।


১১ দেথুন বাইবেল কি বলে। আমি কিছূ বিষয় দেখিয়ে দিলাম। আমরা বাইবেলের এই অংশটা থেকে জানতে পারছি, যদি ইস্রায়েল জাতি যিহোবার বাধ্য থাকত ও তার সব আজ্ঞাগুলি মন দিয়ে পালন করত, তাহলেই একমাত্র ইস্রায়েল জাতি সেই প্রতিজ্ঞাত দেশ সম্পুর্ন দখল করতে পারত। আর দখলে রাখতেও পারত। 


১২ কিন্তু ইস্রায়েল জাতি যিহোবার প্রতি বাধ্য ছিল না। শুধুমাত্র রাজা দায়ূদ নীল নদী থেকে ফরাত বা ইউফ্রেটিস নদী পর্যন্ত দখল করতে পেরেছিলেন। কারন দায়ুদ ছিলেন যিহোবার বাধ্য। রাজা দায়ূদ মক্কার কালা পচা পাথর উপাসনা করত না। তাই যিহোবার সাহায়্যে রাজা দায়ূদ এই সফলতা অর্জন করতে পেরেছিলেন।


১৩ রাজা দায়ুদের ছেলে শলোমন জীবনের প্রথম দিকে ভাল ছিল। কিন্তু জীবনে শেষ সময় এসে তিনি প্রতিমাপুজা শরু করেন। আর তাই এই প্রতিজ্ঞাত দেশ সে দখলে রাখতে পারে নাই। পরবর্তী ইস্রায়েলের রাজারাও বিভিন্ন এলাকার দখল রাখতে ব্যর্থ হোন। কারন যে সব রাজারা ভাল ছিল না তাদের উপর যিহোবার কোন আর্শিবাদ বা সাহায্য ছিল না। 


১৪ তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম, মুসলমানরা যে সকল দাবি করছে তা সম্পুর্ন ভুল ও মিথ্য। মুলত তাদের ইসলাম ধর্মকে অব্রাহামিক ধর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য, মুসলমানরা বাইবেল থেকে ভূল ও মিথ্যা যুক্তি তুলে ধরে।



































14/ Genesis 16:12 ইসমাইল ইব্রাহিমের 'ehaw' strong number g-251 Genesis 25:18 ইসমাইলের সন্তানরা বনী ইসরাইল এর 'ehaw' strong number g-251 দাবী: তাই দূরসম্পর্কের মানুষ হিব্রু 'আ হে হেম' হতে পারে



১ এবার আমরা মুসলমানদের আরেকটা মিথ্যা দাবি দেখব। এটা আরও হাস্যকর দাবি যা মুসলমানরা ইদানিং করছে। মুসলমানদের ভন্ড মুহাম্মদও এমন দাবি করতে পারে নাই। পারবে কেমনে, মুহাম্মদ ত কোন নবীই না। 


২ মুসলমানরা আদিপুস্তক ষোল অধ্যায় বারো পদটা দেখিয়ে বলে, এখানে ইশমাইলৈ সন্তানরা বনী ইস্রায়েলের ভ্রাতা হবে এটা বলা আছে। যে ভ্রাতা বা ভাই শব্দটা আছে, তার মুল ইব্রীয় শব্দের strong number অনুসারে হবে, আ হ হেম। অর্থাৎ ঈশ্বর ইশমাইল ও ইস্রায়েল মধ্যে ভাইয়েল সম্পর্ক আছে। তাই ইশমাইল থেকে নবী আসবে।


https://bibletruthpublishers.com/genesis-16-12-resources/king-james-version-with-strongs-numbering/lbvr394KJVStrongs-A 


৩ কিন্ত এটা মুসলমানদের একটা চাপা মারা যুক্তি। সারাদিন যদি কেউ গাজা খায় তাহলে সে এরকম যুক্তি দিতে পারে। কেন বলছি এ কথা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। কারন আপনার ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন. বাইবেলে ঈশ্বর পরিস্কার অব্রাহামকে বলে দিয়েছেন, যে তার ছেলে ইসহাক থেকে যে জাতি আসবে, সেটাই হবে যিহোবার মনোনিত জাতি। আর যিহোবা ইসহাক থেকেই নবী আনবেন।


৪ তাহলে এখানে ইশমাইল চূলাতে বা যেখানেই থাকুক না কেন, তা নিয়ে আমাদের চিন্তা করার দরকার নাই। হ্য ইশমাইল অব্রাহামের মাধ্যমে বনী ইস্রায়েলের ভাই হয়। কিন্তু তাতে কোন সমস্যা নাই। যেহেতু অব্রাহাম কটুরা নামে এক মহিলাকে বিয়ে করে, তাই অব্রাহামের আরও সন্তান ছিল। তাহলে সেই সন্তানরাও ত ইশমাইল ও ইসহাকের ভাই-বোন হবে।





৫ দেখুন আমি বাইবেল থেকে দেখিয়ে দিলাম। এটা পাবেন আদিপুস্তক পচিশ অধ্যায় ১ থেকে ৪ পদ পর্যন্ত। দেখুন অব্রাহামের আরও সন্তান ছিল। তাহলে অব্রাহামের এই কাটুরা স্ত্রীর সন্তানরাও, বনী ইস্রায়েলের ভাই-বোন হবে। শুধু অযথা ইশমাইলকে এখানে টানার কোন দরকার নাই। 


৬ কারন অব্রাহামের তিন স্ত্রীর সব সন্তানরা যে এক অন্যের ভাই-বোন হবে, এটা আমরা এমনিতেই বুঝতে পারি। কিন্তু প্রধান বিষয়টা হচ্ছে যেটা আমাদের মনে রাখতে হবে, বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা অব্রাহামকে পরিস্কার বলে দিছেন, ইসহাকের সাথেই চুক্তি হবে। অন্যদিকে ইশমাইল থেকে যে কুরাইশ বংশ আসছে এটার কোন প্রমান নাই। তাই বলা যায় মুসলমানদের সব দাবি মিথ্য।



----------------------------


 Genesis 21:20-21

20 And God continued to be with the boy, and he kept growing and dwelling in the wilderness; and he became an archer.21 And he took up dwelling in the wilderness of Paʹran, and his mother proceeded to take a wife for him from the land of Egypt.

ইসমাইল ও মা হাগার পারাণের/ মক্কার অধিবাসী ছিলেন 


https://en.wikipedia.org/wiki/Desert_of_Paran 


https://nabataea.net/cinema/questionsanswers/q-a-14-where-was-paran/ 

Archaeology and Islam Q&A 14: Where was Paran?

https://www.youtube.com/watch?v=Va9fSaqngN8 


https://bibleatlas.org/paran.htm 


https://www.bible.ca/archeology/bible-archeology-exodus-route-wilderness-of-paran.htm 


https://bible.ca/cgi-bin/texis/webinator/search4/?query=2022&pr=default&order=r&cq=&cmd=links&id=5ed07c75105 


Is Mecca Really the Birthplace of Islam?

https://www.zwemercenter.com/is-mecca-really-the-birthplace-of-islam/ 



১ আচ্ছা এবার আমরা মুসলমানদের আরেকটা মিথ্যা দাবি দেখবো। মুসলমানরা আদিপুস্তক একুশ অধ্যায় বিষ ও একুশ পদটা দেখিয়ে বলে, এখানে বলা আছে ইশমাইল প্রারণ প্রান্তরে বসতি করবে। আর এই পারন প্রান্তর মক্কায় অবস্থিত। 


২ এই দাবিটা করার পিছনে মুসলমানদের কারন হলো, যদি এটা মানুষকে কোন ভাবে বুঝানো যায় যে ইশমাইল যে পারণে থাকত তা মক্কায় অবস্থিত, তাহলে ইসলামের কল্পকাহিনি বা ইসলামের মিথ্যা ইতিহাসের উপর মানুষের সন্দেহ কিছুটা কমে যাবে।


এখন মজার বিষয় উতমানের লেখা পরিপুর্ন কুউরান বা আর যত হাফস বা ওয়াস কুউরান আছে এই পৃথিবীতে, তার ভিতর আপনারা পারন প্রান্তর কি মক্কায়, না অন্য জায়গায়, তার কিছুই পাবেন না। তাহলে বুঝতেই পারছেন এই পরিপুর্ন কুউরান হচ্ছে মানুষের লেখা একটা সস্তা বই।


৩ তাহলে প্রশ্ন এই পারণ প্রান্তর বা পারণ মরুভুমি কোথায় অবস্থিত ? এটা বুঝতে হলে কুউরান আপনাকে কোন সাহায্য করতে পারবে না। আপনাকে বাইবেলের ইতিহাস ও ঘটনা পড়তে হবে।


তোমাকে কিছু বাড়তি ছবি দিলাম। সবগুলি আর ভডিওতে দেই নাই। দারকার নাই। তবে তুমি তোমার সাইটে দিতে পার
















৪ ভাল করে মনে রাখবেন, পারন প্রান্তর বা মরুভমি কোন একটা নির্দিষ্ট জায়গা বা অঞ্চল না। এটা বেশ বড় একটা জায়গা। আর প্রাচীন কালের মানুষেরা, পারণ মরুভুমি বলতে ঠিক কোন জায়গাটা বুঝাত, তা সঠিক ভাবে জানা যায় না। 


কারন তখনকার লোকেরা এখনকার মত, এত আধুনিক মানচিত্র ব্যবহার করত না। সেটা সম্ভব ছিল না। সেই সময় কোন সাইনবোর্ড ছিল না যে, এটা এই এলাকা ও আর ওটা ওই এলাকা এমন লেখা ছিল। 


৫ কিন্তু বাইবেলের বেশ কিছু বর্ননায় এই পারন ও তার আশেপাশের এলাকাটার বিবরণ আমরা খুজে পাই। এই বিবরণ পরিক্ষা করলেই আমরা বুঝতে পারব, পারন এলাকাটা কোথায় থাকতে পারে। আমরা প্রথমে গননা পুস্তক দশ অধ্যায় বারো পদটা দেখি।


গণনা পুস্তক 10

12 তাহাতে ইস্রায়েল-সন্তানগণ আপনাদের যাত্রার নিয়মানুসারে সীনয় প্রান্তর হইতে যাত্রা করিল, পরে সেই মেঘ পারণ প্রান্তরে অবস্থিতি করিল।

গণনা পুস্তক 12

 

16 পরে লোকেরা হৎসেরোৎ হইতে যাত্রা করিয়া পারণ প্রান্তরে শিবির স্থাপন করিল। 


The beginning of Paran is between Hazeroth and Rithmah. Paran begins south of Rithmah, includes Rithmah and continues to Petra. and is two stops after Mt. Sinai. Num 12:16; 33:17 


৬ এখানে দেখুন বলা আছে ইস্রায়েল জাতি যাত্রা করে সীনয় মরুভমি থেকে পারনে চলে যায়। তার মানে সীনয় ও পারন পাশাপাশি অবস্থিত। এবার আমরা গণনা পুস্তক বারো আধ্যায় ষোল পদটা দেখি।


৭ দেখুন বলা আছে ইস্রায়েল জাতি হৎসেরোৎ থেকে পারনে চলে যায়। তাহলে এই জায়গাগুলি একটা আরেকটার পাশে অবস্থিত।আমরা সকলেই জানি ইস্রায়েল জাতি মিশর থেকে যাত্রা করে সীনয় প্রান্তরে উপস্থিত হয়। এই জায়গাটা অনেকটা মরুভুমির মতো। 







৮ এখন ভাল করে মানচিত্র লক্ষ্য করুন। ইস্রায়েল জাতিকে বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা, যে প্রতিজ্ঞাত দেশ দিবেন, সেটা কোনদিকে ? তাহলে ইস্রায়েল জাতি, কোন দিকে যাত্রা করবে বলে আপনারা মনে করেন ? ইস্রায়েল জাতি কি বর্তমান মক্কার দিকে যাবে, নাকি তাদের প্রতিজ্ঞাত দেশ যেখানে সেখানে যাবে ?


৯ ম্যাপটা আবারও দেখুন। মুসলমানরা দাবি করে, মক্কা হচ্ছে পারন, অর্থাৎ বর্তমান মক্কা একসময় পারন নামে ছিল । তাহলে ইস্রায়েল জাতি প্রতিজ্ঞাত দেশে যেতে হলে কোন দিক দিয়ে যাবে ?  


যেহেতু বাইবেলে বলাই আছে ইস্রায়েল জাতি সীনয় থেকে পারনে গেল। তাহলে পারণ যদি মক্কা হয়, তাহলে ত ইস্রায়েল জাতিকে, প্রথমে মক্কায় যেতে হবে। 


১০ আপনার মানচিত্র খেয়াল করুন। এখানে লাল দাড় হচ্ছে বাইবেলের বর্ননা। আর নীল দাগ হচ্ছে মুসলমানদের খোড়া দাবি।


মুসলমানদের দাবি সত্য হলে, ইস্রায়েল জাতিকে হাজার মাইল পথ পাড়ি দিযে মরুভুমির ভিতর দিয়ে প্রথমে মক্কায় উপস্থিত হতে হবে। তারপর আবার মক্কা থেকে তাদের উল্টাদিকে প্রতিজ্ঞাত দেশের দিকে যেতে হবে। 


১১ মুসলমানরা যে দাবি করছে তাতে ত তাই মনে হয়। ইস্রায়েল জাতি মক্কা মানে পারনে গিয়ে, তারপর আবার সেখান থেকে প্রতিজ্ঞাত দেশে যাত্রা করবে। এটা কি মুসলমানদের কোন যুক্তিসংগত দাবি ? 


যেখানে ইস্রায়েল জাতি তারতারি তাদের প্রতিজ্ঞাত দেশে যেতে পারবে, সেখানে কেন তারা উল্টো দিকে মক্কার দিকে যাবে ? কেন বাইবেলের ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতেকে মক্কায় নিয়ে যাবে ? আসলে মুসলমানরা হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পাগল, তাই তারা এই সব হাবিজাবি চিন্তা করে।


১২ তাহলে চলুন আমরা দেখি পারন কোথায় অবস্থিত। আর আসল বা সত্যিকারের মক্কা কোথায় ছিল। মনে রাখবেন বর্তমান সৌদি আরবের মক্কা অনেক পরে প্রতিষ্টিত হয়। এমনকি শপ্তম শতাব্দিতেও সৌদি আরবের মক্কা নামে কিছূই ছিল না।


১৩ আমরা এখন কিছু বাইবেলের ইতিহাস পরিক্ষা করব। আর অন্যান্য ইতিহাসও দেখব। আমরা বাইবেল ও ইতিহাস অনুসারে একটা বিষয় নিশ্চিত, সীনয় ও পারন পাশাপাশি। অন্যদিকে আমরা এটাও জানি ইস্রায়েল জাতি মিশর থেকে যাত্রা শুরু করে।


১৪ প্রথমে আমরা মিশর ও সীনয় ও ইদোমকে ম্যাপে রাখি। দেখুন। ইদোম কিন্তু একটা অতি প্রাচীন দেশ। ইদোমের সাথেই আছে সেয়ীর পর্বত। প্রাচিন পেটরা নগরী এখানে অবস্থিত। এই পেটরা নগরীকে মক্কা নামেও ঢাকা হতো। আর ইদোমের পশ্চিম দিকে আছে ওয়াদি আরাবা।


2 সদাপ্রভু সীনয় হইতে আসিলেন, সেয়ীর হইতে তাহাদের প্রতি উদিত হইলেন; পারণ পর্বত হইতে আপন তেজ প্রকাশ করিলেন, অযুত অযুত পবিত্রের নিকট হইতে আসিলেন; তাহাদের জন্য তাঁহার দক্ষিণ হস্তে অগ্নিময় ব্যবস্থা ছিল। 


১৫ এবার আমরা দ্বিতীয় বিবরণ তেত্রিশ অধ্যায় ২ পদটা দেখি।

দেখুন এখানে তিনটা জায়গা বলা আছে। সীনয়, তারপর সেয়ীর ও পারন পর্বত। এখানে তিনটা জায়গা আসলে পাশাপশি অবস্থিত। মনে রাখবেন, যেখানে পারন মরুভুমি সেখানেই পারন পর্বত অবস্থিত। ম্যাপে দেখুন। এখানে পারন ইদোমের দক্ষিনে অবস্থিত। কারন সীনয় ও ইদোম কোথায় আমরা জানি।




5 পরে চতুর্দশ বৎসরে কদর্লায়োমর ও তাঁহার সহায় রাজগণ আসিয়া অস্তরোৎ-কর্ণয়িমে রফায়ীয়দিগকে, হমে সুষীয়দিগকে, শাবিকিরিয়াথয়িমে এমীয়দিগকে


6 ও ও প্রান্তরের পার্শ্বস্থ এল-পারণ পর্যন্ত সেয়ীর পর্বতে তথাকার হোরীয়দিগকে আঘাত করিলেন। 



১৬ এবার আমরা আদিপুস্তক চোদ্দ অধ্যায় ৫ ও ৬ পদটা দেখি। এটা অব্রাহামের সময়ের ঘটনা। দেখুন এখানে এল-পারণ ও সেয়ীর পর্বতের কথা বলা আছে। এল-পারন হচ্ছে পারনের একটা অংশ। ম্যাপ দেখুন। গবেষকরা এল-পারনের অবস্থান যেখানে বলছেন, আমি সেটা দেখিয়ে দিলাম। 



17 তৎকালে ঐ হদদ ও তাঁহার সহিত তাঁহার পিতার দাস কয়েক জন ইদোমীয় পুরুষ মিসরে পলায়ন করিয়াছিলেন; তখন হদদ ক্ষুদ্র বালক ছিলেন।


18 তাঁহারা মিদিয়ন হইতে উঠিয়া পারণে যান; পরে পারণ হইতে লোক সঙ্গে লইয়া মিসরে গিয়া মিসর-রাজ ফরৌণের নিকটে উপস্থিত হন; তিনি তাঁহাকে এক বাটী দেন, এবং তাঁহার জন্য খাদ্য দেন ও তাঁহাকে ভূমি দান করেন। 





১৭ এরপর প্রথম রাজাবলি এগারো অধ্যায় শতেরো ও আঠারো পদটা দেখি। দেখুন এখানে বলা আছে মিদিয়ন থেকে পারনে যান। আবার পারন থেকে মিসরে যান। ম্যাপটা দেখুন। 


এখানে মিদিয়ন কোখায় দেখিয়ে দিলাম। মিদিয়ন থেকে পারন হয়ে তারপর মিশরে যাওয়ার রাস্তা ছিল। তখনকার লোকরা পারনের ভিতর দিয়ে মিশর যেত। আবার মিশর থেকে পারনের ভিতর দিয়ে ইস্রায়েল যেত।


 ১৮ এবার আমরা Thomas Artsruni কি বলেন দেখব। Thomas Artsruni একজন আর্মেনিয়ান লেখক, যিনি আটশো শাতাষি খৃষ্টাব্দে, তার মৃতুর আগে লেখেন, সেই সময়ে পেত্রিয়া আরব ফারানের একটি জায়গায়, যার নাম ছিল মক্কা, - দ্য মক্কা, - তিনি নিজেকে দস্যু, যোদ্ধা এবং ব্যান্ড প্রধানদের কাছে দেখিয়েছিলেন, একটি মন্দিরে উপাসনা করতেন...*"


There is another Armenian writer, Thomas Artsruni, who, wrote before his death in 887 CE. Artsruni tells us: *At that time, in a place of Petrea Arabia Pharan, named Makka - The Mecca - he showed himself to bandits, warriors and band chiefs, worshiping in a temple…*”


আরেকজন আর্মেনিয়ান লেখক আছেন, টমাস আর্টসরুনি, যিনি 887 আটশতো শাতাষি খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যুর আগে লিখেছিলেন। আর্টসরুনি আমাদের বলেছেন: *সেই সময়ে, পেত্রিয়া আরব ফারানের একটি জায়গায়, যার নাম ছিল মক্কা - দ্য মক্কা - তিনি নিজেকে দস্যু, যোদ্ধা এবং ব্যান্ড প্রধানদের কাছে দেখিয়েছিলেন, একটি মন্দিরে উপাসনা করতেন...*"



১৯ টমাস আর্টসরুনির কথা অনুসারে, পেটরা নগরীতে যে মন্দির ছিল সেখানে অনেক ধরনের লোকেরা উপাসনা করত। এই পেটরা নগরীকে মক্কা নামেও ডাকা হতো। আর ফারান ও পারন একই জায়গা। তাহলে আমরা পরিস্কার বুঝতে পারলাম, পেটরা নগরকে একসময় লোকেরা মক্কা নামেও ডাকতো। এই পেটরা বর্তমান যর্দনে অবস্থিত।


২০ এখন আমরা পরিস্কার বুঝলাম, বাইবেল ও ইতিহাস অনুসারে পারন মরুভুমি,  সীনয় ও ইদোমের ও মিদিয়নের মাঝের কোন একটা জায়গা বা অঞ্চলকে বুঝাতো। আর মুসলমানরা যে দাবি করছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা।



-----------------------------------



17/ Genesis 49:10 ইয়াকুব তার সন্তানদের বলেছিল Shelo যখন আসবে ইহুদীদের কিছুই থাকবে না দাবী: মুহাম্মদ তাই আরব থেকে ইহুদীদের উচ্ছেদ করে ক্ষমতা পায়

27/ Genesis 49:10 

The scepter will not turn aside from Judah, neither the commander’s staff from between his feet, until Shiʹloh comes; and to him the obedience of the peoples will belong.


দাবী:  Shiʹloh একজন নবী যা বাইবেল evangelic গবেষকরা দাবী করে থাকেন সেই মুহাম্মদ, যে gentile তথা অইহুদীদের জন্য আসছে




https://wol.jw.org/en/wol/d/r1/lp-e/1200001013 


https://wol.jw.org/en/wol/d/r1/lp-e/1200004039 


https://www.quotescosmos.com/bible/bible-verses/Shiloh.html 


https://www.crosswalk.com/faith/bible-study/what-christians-should-know-about-shiloh-in-the-bible.html 


https://wol.jw.org/bn/wol/d/r137/lp-be/2007885?q=%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B2%E0%A7%8B&p=par 



১ এবার চলুন আমরা মুসলমানদের আরেকটা মিথ্যা দাবি লক্ষ্য করি। এটাও একটা ভূয়া দাবি। প্রচুর ফ্রি গাজা কেউ সারাদিন খাইলে এরকম দাবি করতে পারে।


২ মুসলমানরা আদিপুস্তক উনপন্চাশ অধ্যায় দশ পদটা দেখিয়ে বলে, যখন ইয়াকুব তার সন্তানদের বলেছিল,


Shiʹloh যখন আসবে ইহুদীদের কিছুই থাকবে না। মুহাম্মদ আরব থেকে ইহুদীদের উচ্ছেদ করে ক্ষমতা পায়। 


৩ একই সাথে মুসলমানরা আরেকটা দাবি করে, Shiʹloh একজন নবী যা বাইবেল evangelic গবেষকরা দাবী করে থাকেন সেই মুহাম্মদ, যে gentile তথা অইহুদীদের জন্য আসছে। 


৪ এখন এগুলো যে মুসলমানদের ভুয়া ও মিথ্যা দাবি, তা বাইবেল খুলে পড়লেই বোঝা যায়। চলুন বিষয়টা আমরা পরিস্কার করে বোঝার চেষ্টা করি। আমরা প্রথমে আদিপুস্তক উনপন্চাশ অধ্যায় দশ পদটা দেখি।




দেখুন, এখানে পরিস্কার বলাই আছে যিহুদা থেকে রাজদন্ড যাইবে না। এরপর বলা আছে যে পর্যন্ত শীলো না আসবেন। তাহলে শীলো যেখান থেকে আসবেন সেখানেই রাজদন্ড থাকতে হবে। যদি যিহুদায় রাজদন্ড থাকে, তাহলে শীলো মুহাম্মদ হতে পারেন না। কারন মুহাম্মদকে যিহুদার বংশধর হতে হবে।


৫ এছাড়া দেখুন, এখানে ইয়াকুব বা যাকোব এই কথা বলেন নাই যে, যখন শীলো আসবে তখন যিহুদীদের কিছু থাকবে না। ইয়াকুব বা যাকোব যে আর্শিবাদ করেন তা যতদিন, ইস্রায়েল জাতি যিহোবার বাধ্য ছিল, ততদিন সেই আর্শিবাদ ভোগ করে। কিন্তু যখন ইস্রায়েল জাতি অবাধ্য হয়, তখন যিহোবা তাদের শাস্তি দেন।


৬ এখন আসুন এই শীলো অর্থ কি আমরা দেখি । “শীলো” শব্দটির অর্থ হচ্ছে, “যাঁহার অধিকার আছে, তিনি।” এখন প্রশ্ন হচ্ছে কার অধিকার আছে ? কে সেই ব্যক্তি যে প্রতিজ্ঞা ও আইনগতভাবে এই অধিকার লাভ করতে পারে ? 


৭ মুসলমানরা বলে এটা মুহাম্মদ। কিন্তু মুসলমানরা আইন বা প্রতিজ্ঞা কোনটাই দেথাতে পারে না। মুহাম্মদের বংশধরদের কাছে কে, কবে ও কোথায় প্রতিজ্ঞা করল, যে মুহাম্মদ শীলো হবে ? না কেউ করেনি। বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবাও বলেননি, যে মুহাম্মদ নবী বা রাজা হবেন। মুহাম্মদ নিজেই নিজেকে দাবি করছে সে নবী। 


৮ আবার অন্যদিকে মুহাম্মদ যাকোব বা যিহুদা বংশের কেউ না। মুহাম্মদ কখনোই মোশির নিয়ম পালন করেননি। মুহাম্মদ কখনই যিহোবাকে চিনত না। তাই মুহাম্মদ কখনই শীলো হতে পারেন না। 


৯ তাহলে শীলো বা যার অধিকার আছে সেই ব্যক্তি কে হবেন ? এটা বুঝতে হলে আমাদের বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা উদ্দেশ্য কি ছিল তা জানতে হবে। যিহোবা যিহুদা বংশ থেকে প্রথম রাজা হিসাবে বেছে নেন দায়ুদকে। 


এই ঘটনাটা আপনার প্রথম শমুয়েল ষোল অধ্যায় ১ থেকে তেরো পদে পাবেন। আমি বারো ও তেরো পদটা দেখিয়ে দিলাম। এখানে দেখেন বারো পদে বলা আছে, যিহোবা শমুলেয়লকে নির্দেশ দিলেন। আর তেরো পদে শমুয়েল, যিহোবার আদেশ মতো দায়ূদকে অভিষেক করলেন।


১০ এরপর বহুদিন পর, যখন দায়ুদ রাজা হলেন তখন আবার যিহোবা দায়ুদের কাছে প্রতিজ্ঞা করলেন, যে দায়ুদের রাজপদ চিরকাল থাকবে। দেখুন দ্বীতিয় শমুয়েল সাত অধ্যায় বারো ও তেরো পদে কি বলা আছে। এখানে বলা আছে, দায়ুদ মারা গেলে যিহোবা তার ছেলেকে রাজা করবেন, ও সেই ছেলের রাজত্ব চিরকাল স্থায়ী হবে।


১১ এভাবে দায়ূদের মাধ্যমে রাজাদের এক রাজবংশ শুরু হয়, যিনি মহাযাজকের দ্বারা পবিত্র তেল দিয়ে অভিষিক্ত হতেন। তাই, এই রাজাদের অভিষিক্ত বা মশীহ বলে সম্বোধন করা যেত। ইস্রায়েলের এই রাজারা যিহোবার হয়ে পৃথিবীতে, ইস্রায়েলের উপর শাসন করত। সেই অর্থে, যিহূদার রাজ্য ঈশ্বরের রাজ্যকে চিত্রিত করে এবং তা যিহোবার সার্বভৌমত্বের এক বিশেষ দিক ছিল।


১২ এরপর বহু শত বছর পার হয়। গাব্রিয়েল দূতকে, উত্তর পলেষ্টীয়ে গালীলের একটা নগর নাসারতের কুমারী কন্যা, মরিয়মের কাছে পাঠানো হয়েছিল। ঘটনাটা আপনারা লুক ১ অধ্যায় একাত্রিশ থেকে তেত্রিশ পদ পর্যন্ত পাবেন। দেখুন কি বলা আছে। এখানে বলা আছে, বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা, যীশুকে দায়ুদের সিংহাসন দিবেন। আর যীশুর সিংহাসন চিরকাল থাকবে, তার রাজত্বের শেষ হবে না।


১৩ তাহলে আমরা বুঝলাম, বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা প্রতিজ্ঞা করেছেন, যীশুই হবেন মশীহ। অর্থাৎ যার অধিকার আছে। যেহেতু যীশুর অধিকার আছে তাই যীশুই হবেন শীলো। কারন যীশু দায়ূদ বংশধর।


১৪ আপনারা গালাতীয় ৪ অধ্যায় ৪ পদটা দেখুন। এখানে বলা আছে ঈশ্বর তার পুত্রকে পাঠান আর এই পুত্র আইনের অধিন। কোন আইন ? এটা ঈশ্বরের আইন। তাহলে বোঝা গেল যীশুই হচ্ছে প্রতিজ্ঞাত মশীহ। অবশ্যই ইসলামের মুহাম্মদ না। কারন মুহাম্মদ যিহোবার আইনের অধিন কোন ব্যক্তি ছিলেন না।


১৫ মুসলমানরা দাবি করে, মুহাম্মদ আরব থেকে যিহুদীদের বহিষ্কার করছে বা তাদের আরব থেকে বের করে দিছে। কারন আল্লা মুহাম্মদকে নবী করেছেন। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে, বাইবেলের ঈশ্বর যিহোবা কখনোই, মুহাম্মদকে নবী হিসাবে নির্বাচন করেন নাই। মুহাম্মদ নিজের স্বার্থ ও হিংসার জন্য, আরব থেকে যিহুদীদের বের করে দিছে।


১৬ বিভিন্ন ইসলামি ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি, যিহুদীরা যখন মুহাম্মদকে, বিভিন্ন প্রশ্ন করত, তখন মুহাম্মদ কোন সঠিক উত্তর দিতে পারত না। মুহাম্মদ যে সত্য নবী তা মুহাম্মদ কোন দিনই প্রমান করতে পারে নাই। এমনকি কুরাইশ বংশের লোকেরাও মুহাম্মদকে নবী হিসাবে বিশ্বাস করত না।


১৭ তাই মুহাম্মদ, জিহাদের নরবলী বা জিহাদের সন্ত্রাসবাদ শুরু করে। প্রথমে মুহাম্মদ সম্পুর্ন আরব থেকে যিহুদীদের বহিষ্কার বা বের করে দেন। তারপর পুরো আরব জয় করে ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করেন।


১৮ তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কেন মুহাম্মদ ভন্ড ও সন্ত্রাসী নবী । একমাত্র বৈধ ভাববাদী হচ্ছে যীশু খ্রীষ্ট। যীশু খ্রীষ্ট হচ্ছে বৈধ শীলো, যার অধিকার আছে। 






শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: