সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Saturday, June 29, 2024

বাইবেল কি সত্যি ঈশ্বরের বাণী?

 



শালোম আলেইকেম" যার অর্থ হিব্রুতে "Peace Be Upon You.

 ‘তোমাদের শান্তি হোক৷ যোহন ২০:২৬


হে প্রভু, আমার মুখ খুলে দাও,

আমি তোমার প্রশংসা প্রচার করব। 

তাতে আমার মুখ থেকে তোমার ন্যায্যতার গান বেরিয়ে আসবে।





ভূমিকা : ঈশ্বরের বাক্য (كلمةﷲ) সম্বন্ধে একটি ভুল ধারণার কারণেই এই অভিযোগ তুলা হয়।

অনেকে মনে করে যে একবচন উত্তম পুরুষ বাক্য ছাড়া কোন কিছু ঈশ্বরের বাক্য হতে পারে না, শুধুমাত্র ঈশ্বরের কণ্ঠের উক্তি হতে পারে। কিন্তু এই ক্ষুদ্র মাপকাঠি ব্যবহার করলে শুধু ইঞ্জিল নয় বরং কোরআন শরীফও অযোগ্য হয়ে পড়ে, কারণ এই ভুল মাপকাঠি অনুযায়ী কোরআনের মধ্যে ঈশ্বরের বাণী, মানুষের বাণী এমনকি ফেরেশতার বাণীও রয়েছে। কোরআন শরীফের অধিকাংশ আয়াত মানুষদের কাছে আল্লাহ্‌র কথা। কিন্তু সূরা ফাতিহা হচ্ছে বিপরীত; আল্লাহ্‌র কাছে মানুষদের কথা।


১. আবার সূরা মরিয়মের মধ্যে বাহক ফেরেশতা জিবরাইলেরও একটি উক্তি আছে – “আমি আপনার পালনকর্তার আদেশ ব্যতীত অবতরণ করি না”।  [সুরা মারঈয়াম - ১৯:৬৪]


মোট কথা, ঈশ্বর আমাদের প্রতি তাঁর ভালবাসা দেখাতে এবং প্রমাণ করতেই আমাদের বাইবেল দিয়েছেন। ঈশ্বর যেভাবে পছন্দ করেন, আর আমরা কিভাবে তাঁর সাথে সঠিক সম্পর্ক রাখতে পারি, তার জন্য ঈশ্বর মানুষের সাথে যে যোগাযোগ করেন তাকেই সহজভাবে ‘প্রত্যাদেশ’ বুঝায়। এই সব বিষয় মূলত আমাদের জানার কথা ছিল না, যদি ঈশ্বর আমাদের কাছে বাইবেলের মধ্য দিয়ে ঐশ্বরিকভাবে তা প্রকাশ না করতেন। যদিও ঈশ্বর ধারাবাহিকভাবে ১৫০০ বছরেরও বেশী সময় ধরে তাঁর সম্পর্কে প্রত্যাদেশ বাইবেলে তুলে ধরেছেন, তবু তার মধ্যে ঈশ্বরকে জানার জন্য মানুষের যা কিছু প্রয়োজন সবই রয়েছে যেন মানুষ ঈশ্বরের সাথে সঠিক সম্পর্ক বজায় রাখে। যদি বাইবেল সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য হয়, তাহলে এটাই হচ্ছে সমস্ত বিশ্বাস সম্পর্কিত, ধর্মীয় ও নৈতিকতা অনুশীলনের চুড়ান্ত রায় প্রদানকারী।


  • তাই ‘আল্লাহ্‌র কালামের’ এই ভুল সংজ্ঞা চলবে না, যে আল্লাহ্‌র বাণী শুধু একবচন উত্তম পুরুষ উক্তি হতে পারে। ইঞ্জিল শরীফে বলা হয়েছে:

“এই কথা মনে রেখো যে, কিতাবের মধ্যেকার কোন কথা নবীদের মনগড়া নয়, কারণ নবীরা তাঁদের ইচ্ছামত কোন কথা বলেন নি; পাক-রূহের দ্বারা পরিচালিত হয়েই তাঁরা ঈশ্বরের দেওয়া কথা বলেছেন। (ইঞ্জিল শরীফ, ১ পিতর ১:২১)


বাইবেল যে নিঃসন্দেহে ঈশ্বরের বাক্য, তা ঐশীভাবে অনুপ্রাণীত এবং সকলরকম বিশ্বাস ও অনুশীলনের জন্য সম্পূর্ণভাবে যথেষ্ট, এই দাবীর বৈধতা নির্ণয় করতে হলে এইসব প্রশ্নগুলো গুরুত্ব সহকারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা আবশ্যক। কোন সন্দেহ নাই যে, বাইবেল দাবী করে, বাইবেল অবশ্যই ঈশ্বরের বাক্য। তীমথিয়র কাছে লেখা পৌলের মন্তব্যে তা সুস্পষ্ট ফুটে উঠেছে:

  •  “ছেলেবেলা থেকে তুমি পবিত্র শাস্ত্র থেকে শিক্ষালাভ করেছ। আর এই পবিত্র শাস্ত্রই তোমাকে খ্রীষ্ট যীশুর উপর বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে পাপ থেকে উদ্ধার পাবার জ্ঞান দিতে পারে। 

পবিত্র শাস্ত্রের প্রত্যেকটি কথা ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছে এবং তা শিক্ষা, চেতনা দান, সংশোধন এবং সৎ জীবনে গড়ে উঠবার জন্য দরকারী, যাতে ঈশ্বরের লোক সম্পূর্ণভাবে উপযুক্ত হয়ে ভাল কাজ করবার জন্য প্রস্তুত হতে পারে” (২ তীমথিয় ৩:১৫-১৭)।


যেহেতু আল্লাহ্‌ অনেক সময় ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে তার ইচ্ছা বিশেষভাবে প্রকাশ করেন, সেহেতু এই গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস সঠিকভাবে লিখে রাখার জন্য তিনি বিশেষ কিছু কিছু মানুষকে লিখতে পরিচালনা করেছেন, যেমন তৌরাত শরীফের ক্ষেত্রে তিনি হযরত মূসাকে লিখতে পরিচালনা করেছেন।

আল্লাহ্‌র কালামের একটি সুন্দর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তার পর্যাপ্ততা এবং পরিপূর্ণতা – আল্লাহ্‌র প্রতি ভয়পূর্ণ জীবন কাটাতে যা যা জানা দরকার সবকিছু আল্লাহ্‌র কালামের মধ্যে পাওয়া যায়, অন্য কোথাও যেতে হয় না। হেদায়েত, দিক-নির্দেশনা, শরিয়ত এবং ইতিহাস, যথেষ্ঠ পরিমানে আল্লাহ্‌র কালামে রয়েছে, মানব জাতির জন্য আল্লাহ্‌র পরিপূর্ণ উপদেশ। অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের ক্ষেত্রে সেগুলো অপর্যাপ্ত, যার কারণে মূল ধর্মগ্রন্থ বাদ দিয়ে অন্য ইতিহাস বইয়ের মধ্যে ব্যস্ত থাকতে হয়।


 ইঞ্জিল শরীফের মধ্যে পাক-রূহ্‌-শাশ্বত ‘ঐতিহাসিকদের কথা’ থাকার আরেকটি কারণ হচ্ছে ঈসা মসীহ্‌র অনন্য ভূমিকা।


১. আগের যুগে আল্লাহ্‌ বিভিন্ন নবীদের কাছে বিশেষ বাণী দিতেন, কিন্তু ঈসা মসীহ্‌ হচ্ছে আল্লাহ্‌র জীবিত কালাম, তার জীবনই ছিল মানুষের কাছে আল্লাহ্‌র শাশ্বত বাণী। 


২.এইজন্য ইঞ্জিল শরীফের ভূমিকা একটু আলাদা, সেটা হচ্ছে প্রধানত আল্লাহ্‌র এই জীবিত কালামের কথা এবং কাজের একটি পাক-রূহ-শাশ্বত লিখিত সাক্ষ্য।


৩. হয়ত এইজন্য শ্রেষ্ঠ কোরআন পাঠক উবায় ইবন কা’ব তার কোরআন শরীফে সূরা ফাতেহা যোগ করেন নি, কারণ সূরা হিজরে ফাতেহা এবং কোরআন আলাদা করা হয়:


 “আমি আপনাকে সাতটি বার বার পঠিতব্য আয়াত এবং মহান কোরআন দিয়েছি।”


 ১৫ সূরাঃ আল-হিজর | Al-Hijr | سورة الحجر - আয়াতঃ ৮৭



বাইবেল যে ঈশ্বরের বাক্য তা বাইবেলের ভেতর থেকে এবং বাইবেলের বাইরে থেকেও প্রমাণ করা যায়। বাইবেলের ভেতর থেকে যে সব প্রমাণ পাওয়া যায় তা বাইবেলের মূল যে আত্মিকতা, তার বিষয়ে সাক্ষ্য দেয়। বাইবেল যে সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য তার অন্যতম একটা প্রমাণ তার ঐক্যমত্যে দেখা যায়। যদিও ৪০ জন লেখক প্রায় ১৫০০ বছর ধরে তাদের জীবনের বিভিন্ন সময়ের পথে চলতে চলতে বাইবেলের ৬৬ টি পুস্তক, তিন উপমহাদেশ ব্যাপী, তিনটি ভাষায় লিখেছেন, তবু বাইবেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মত পার্থক্য ছাড়াই সম্পূর্ণ অভিন্ন সূত্রে গাঁথা। অন্য সকল পুস্তকের চেয়ে বাইবেলের অতুলনীয় ঐক্যমত্য এটাই প্রমাণ করে, ঈশ্বর মানুষের মধ্যে তাঁর ঐশী বাক্য লেখার অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন।



 একটি প্রমাণ বাইবেলের ভেতরে পাওয়া যায় যা নির্দেশ করে যে, বাইবেলের পাতায় পাতায় ভবিষ্যত বাণীতে পূর্ণ ঈশ্বরের বাক্য সত্যিই লেখা আছে। পবিত্র বাইবেলে একশোটারও বেশী ভবিষ্যত বাণীর বর্ণনা রয়েছে যেখানে ইস্রায়েল সহ অনেক দেশের, কিছু শহরের এবং মানুষের সম্পর্কে বলা হয়েছে। অন্যান্য ভবিষ্যত বাণী মশীহ্ নামে একজনের আসার বিষয়ে বলা হয়েছে; বলা হয়েছে, যারা তাঁকে বিশ্বাস করে, তিনি তাদের সকলের উদ্ধারকর্তা হবেন। এই ধরণের ভবিষ্যত বাণী অন্যান্য ধর্মীয় পুস্তকে পাওয়া যায় না অথবা নস্ট্রাডামুসের মত মানুষের লেখা ভবিষ্যত বাণীর চেয়ে বাইবেলে লেখা ভবিষ্যত বাণী অনেক বেশী সুস্পষ্ট। পুরাতন নিয়মে যীশু খ্রীষ্ট সম্বন্ধে তিনশোরও বেশী ভবিষ্যত বাণী লেখা হয়েছে। তিনি কোথায় জন্ম নেবেন বা তাঁর বংশ সম্পর্কে শুধু যে বলা হয়েছে তা-ই নয়, বলা হয়েছে তিনি মৃত্যু বরণ করবেন এবং জীবিত হয়ে উঠবেন। বাইবেলের ভবিষ্যত বাণীর পূর্ণতা ঐশী অনুপ্রেরণা ছাড়া সহজ যুক্তিতে ব্যাখ্যা করা যায় না। কোন ভবিষ্যত বাণী লেখা হয় নাই।বাইবেলে যে সব ভবিষ্যত বাণীর কথা লেখা আছে, অন্য কোন ধর্মীয় পুস্তকে সেই ধরণের 


১. বাইবেলের ঐশী উৎপত্তি সম্পর্কিত তৃতীয় যে প্রমাণ বাইবেলের ভেতরে পাওয়া যায়, তাহচ্ছে এর অতুলনীয় প্রামাণিক ক্ষমতা।


২. এই প্রমাণ প্রথম দু’টি থেকে অনেক বেশী আত্মিক বিষয়, তবু তা বাইবেলের ঐশী উৎপত্তির সাক্ষ্য হিসাবে কম ক্ষমতাপন্ন নয়। 


৩.প্রামাণ্য বই হিসাবে বাইবেল এ পর্যন্ত লেখা অন্য কোন বইয়ের সদৃশ নয়। এর ক্ষমতা ও শক্তি সবচেয়ে ভালভাবে দেখা গেছে যখন অসংখ্য জীবন ঈশ্বরের বাক্যের অতিপ্রাকৃত শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। 


৪.নেশাখোরের জীবন সুস্থ হয়েছে, সমকামীরা তাদের পাপ থেকে মুক্ত হয়েছে,


৫. এর দ্বারা অবহেলিত ও অকর্মণ্য পরিবর্তিত হয়েছে, কঠোর দুষ্কর্মকারী নতুন মানুষ হয়েছে, 


৬.পাপীরা এর দ্বারা বকা খেয়েছে এবং তাদের ঘৃণা ভালবাসায় পরিবর্তিত হয়েছে। 


৭.পবিত্র বাইবেলে রয়েছে গতিশীলতা এবং পরিবর্তনের ক্ষমতা, আর এটা সম্ভব হয়েছে, কারণ বাইবেল হচ্ছে সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য।



এছাড়াও বাইবেলের বাইরে থেকেও প্রমাণ করা যায় যে, বাইবেল সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য।


 ১. একটা হচ্ছে বাইবেলের ঐতিহাসিক গুরুত্ব।


২. যেহেতু বিস্তারিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলী বাইবেলে রয়েছে, সেজন্য এর সত্যতা ও ভ্রমশূন্যতা যে কোন ঐতিহাসিক তথ্যের সাথে পরীক্ষা করা যায়।


৩. প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ সহ অন্যান্য লেখার মধ্য দিয়ে বাইবেলের ঐতিহাসিক ঘটনাবলী বার বার করে ভ্রমশূন্য ও সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।


৪. বাস্তবিক, সকল প্রত্নতাত্ত্বিক ও লিখিত খসড়া বাইবেলকে সমর্থন দিয়ে স্পষ্ট বলেছে যে, প্রাচীন পৃথিবীর তথ্য সমৃদ্ধ এই পুস্তক সর্বোত্তম তথ্য সরবরাহকারী পুস্তক।


৫. আসলে বাইবেলে অত্যন্ত নিখূঁত ও সততার সাথে ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণ করা যায় এমন ঘটনার আলোকে এর বিশ্বস্ততা যাচাই করা যায় এবং ধর্মীয় মতবাদের বিষয় নিয়েও প্রমাণ করতে সাহায্য করে যে, বাইবেল সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য।

 


বাইবেলের বাইরে থেকে আরও এক প্রমাণ দেওয়া যায় যে, বাইবেল সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য- তা হচ্ছে বাইবেলের লেখকদের পরিপূর্ণতা।


 যে কথা আগেই বলা হয়েছে, ঈশ্বর মানুষদের তাদের ভিন্ন ভিন্ন পটভূমি থেকে তুলে এনে তাঁর বাক্য লিখতে ব্যবহার করেছেন। এই লোকদের জীবনী পড়ে আমরা জানতে পারি, তারা ছিলেন খুবই সৎ ও বিশ্বস্ত। 


বাস্তবিক, তারা তাদের বিশ্বাসের জন্য ভয়ানক মৃত্যু পর্যন্ত গ্রহণ করতে পিছপা ছিলেন না, কারণ এই সাধারণ কিন্তু বিশ্বস্ত লোকেরা সত্যিই বিশ্বাস করতেন যে ঈশ্বর তাদের সাথে কথা বলেছিলেন।


 যে লোকেরা নতুন নিয়ম লিখেছিলেন এবং সেই সাথে বেশ কয়েক’শ অন্যান্য বিশ্বাসীরা

 (১ করিন্থীয় ১৫:৬ পদ দ্রষ্টব্য)


 তাদের বাণীর সত্যতা জানতেন, কারণ তারা যীশু খ্রীষ্টকে দেখেছিলেন এবং তাঁর মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে ওঠার পরও তাঁর সাথে সময় কাটিয়েছিলেন। পুনরুত্থিত খ্রীষ্টকে দেখে তাদের মধ্যে গভীর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল। ভয়ে লুকিয়ে থাকার জায়গা থেকে বের হয়ে এসে তারা তাদের কাছে প্রকাশিত ঈশ্বরের বাণীর জন্য মৃত্যুর জন্যও পিছপা ছিল না। তাদের জীবন ও মৃত্যু এটাই সাক্ষ্য দেয় যে, বাইবেল সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য।




বাইবেল সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য, বাইবেলের বাইরে থেকে তার চুড়ান্ত প্রমাণ হচ্ছে এর স্থায়ীত্ব। 


ঈশ্বরের বাক্য হিসাবে দাবীর কারণে এই বাইবেলের উপর মারাত্মক আক্রমণ হয়েছে এবং ধ্বংস করে ফেলার চেষ্টাও করা হয়েছে এবং ইতিহাসে অন্য কোন বইয়ের প্রতি এমনটা হয় নাই। 


প্রাথমিক যুগের রোমীয় সম্রাট ডিওক্লেশিয়ান থেকে শুরু করে কমিউনিষ্ট একনায়কগণ এবং আধুনিক যুগের নাস্তিক ও অজ্ঞেয়বাদীদের আক্রমণ ও প্রতিরোধ সত্বেও বাইবেল টিকে আছে এবং পৃথিবীতে আজও সবচেয়ে বেশী প্রকাশিত বই।


সময়ের সাথে সাথে, নাস্তিকরা বাইবেলকে পৌরাণিক কাহিনী বলে মনে করছে, কিন্তু প্রত্নতত্ত্ববিদরা এর ঐতিহাসিকতা নিশ্চিত করেছে। শত্রুরা এর শিক্ষাকে প্রাচীন ও সেকেলে বলে আক্রমণ করেছে, কিন্তু এর নৈতিকতা এবং বৈধ ধারণা ও শিক্ষাগুলো সারা পৃথিবীতে সমাজে ও সংস্কৃতিতে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে সক্ষম হয়েছে। এখনও কল্পিত-বিজ্ঞান, মনস্তত্ব ও রাজনৈতিক আন্দোলন বাইবেলের উপরে আক্রমণ করছে; তবু আজও বাইবেল ঠিক প্রথম লেখা পুস্তকের মতই প্রাসংগিক, সত্য ও একই রয়ে গেছে। এটি এমন একটি পুস্তক যা বিগত ২০০০ বছর ধরে অসংখ্য জীবন ও সংস্কৃতির পরিবর্তন করেছে। বাইবেলের বিপক্ষে শত্রুপক্ষ যতই আক্রমণ করতে, ধ্বংস করতে অথবা দুর্নাম দিতে চেষ্টা করুক না কেন, তবু বাইবেল সঠিক রয়ে গেছে এবং মানুষের জীবনে নির্ভুল প্রভাব রাখছে। 


যতভাবে দুষিত করার চেষ্টা, আক্রমণ বা ধ্বংস করার চেষ্টা হোক না কেন?


 বাইবেলের খাটিঁত্ব ঠিকই রয়ে গেছে এবং সুস্পষ্ট সাক্ষ্য এটাই প্রমাণ করেছে যে বাইবেল সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য এবং তা অতিপ্রাকৃতভাবে তাঁর দ্বারাই সুরক্ষিত।


 আমাদের আশ্চর্য হওয়া উচিত না, যেভাবেই বাইবেলকে আক্রমণ করা হোক না কেন, তা সব সময়ই অপরিবর্তনীয় এবং অক্ষত।


 সেজন্য, যীশু বলেছেন, “আকাশ ও পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে কিন্তু আমার কথা চিরদিন থাকবে” (মার্ক ১৩:৩১)। 


এইসব প্রমাণগুলো দেখে যে কেউই নিঃসন্দেহে বলতে পারে, হ্যাঁ, বাইবেল সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য।




শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: