সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Thursday, June 27, 2024

মদ খাওয়ার বিষয়ে বাইবেল কি বলে? একজন খ্রীষ্টিয়ানের জন্য এটা কি একটা পাপ?


 
মদ খাওয়া সম্পর্কে শাস্ত্রে অনেক কিছুই বলা হয়েছে (লেবীয় ১০:৯; গণনা ৬:৩; দ্বিতীয় বিবরণ ২৯:৬; বিচারকর্তৃগণ ১৩:৪, ৭, ১৪; হিতোপদেশ ২০:১; ৩১:৪; যিশাইয় ৫:১১, ২২; ২৪:৯; ২৮:৭; ২৯:৯; ৫৬:১২)। সে যাইহোক, শাস্ত্র খ্রীষ্টিয়ানদের কোন নেশা, বিয়ার বা মদ খাওয়ার ব্যাপারে তেমন কোন নিষেধাজ্ঞা দেয় নাই। প্রকৃতপক্ষে, কোন কোন শাস্ত্রাংশ মদ খাওয়া সম্পর্কে ইতিবাচক ব্যাখ্যা দিয়েছে। উপদেশক ৯:৭ পদ শিক্ষা দিয়েছে, “তাই তুমি গিয়ে... ... আনন্দপূর্ণ অন্তরে আংগুর-রস খাও”। গীতসংহিতা ১০৪:১৪-১৫ পদ বলেছে যে, ঈশ্বর মদ (আংগুর-রস) দিয়েছেন যেন তা “মানুষের মনকে খুশী করে।” আমোষ ৯:১৪ পদে আলোচনা করা হয়েছে যে, নিজের আংগুর ক্ষেত থেকে (আংগুর-রস) মদ খাওয়া ঈশ্বরের আশীর্বাদের চিহ্ন। যিশাইয় ৫৫:১ অনুপ্রাণীত করেছে, “বিনা পয়সায়, বিনামূল্যে আংগুর-রস আর দুধ কেনো।”
মদ খাওয়ার বিষয়ে ঈশ্বর খ্রীষ্টিয়ানদের আদেশ দিয়েছেন যেন তারা মাতাল না হয় (ইফিষীয় ৫:১৮)। মাতাল হওয়া ও তার পরিণতিকে বাইবেল দোষ বলে গণ্য করে থাকে (হিতোপদেশ ২৩:২৯-৩৫)। খ্রীষ্টিয়ানদের বলা হয়েছে, তারা যেন তাদের দেহকে কোন কিছুর অধীনে “প্রভুত্ব” করতে না দেয় (১ করিন্থীয় ৬:১২; ২ পিতর ২:১৯)। বেশী করে মদ খেলে তা নিঃসন্দেহে নেশায় আসক্ত করে তোলে। শাস্ত্র এ বিষয়ে নিষেধ করে দিয়েছে যেন একজন খ্রীষ্টিয়ান এমন কিছু না করে যাতে অন্য কোন খ্রীষ্টিয়ান বিঘ্ন পায়, অথবা তাদের বিবেকের বিরুদ্ধে পাপ করতে প্ররোচিত হয় (১ করিন্থীয় ৮:৯-১৩)। এইসব নীতিমালার আলোকে, যে কোন খ্রীষ্টিয়ানের পক্ষে বলা কষ্টকর, সে ঈশ্বরের গৌরবের জন্য অতিরিক্ত মদ খেয়েছে (১ করিন্থীয় ১০:৩১)।
যীশু জলকে আংগুর-রসে (মদে)পরিণত করেছিলেন। এমন কি এও মনে হয়, যীশু কোন কোন সময় আংগুর-রস খেয়েছেন (যোহন ২:১-১১; মথি ২৬:২৯)। নতুন নিয়মের সময়ে পানীয় জল খুব একটা পরিষ্কার পাওয়া যেত না। আধুনিক যুগের পরিচ্ছন্নতা ছাড়া, পানীয় জলে সাধারণত সব ধরণের ছত্রাক, জীবাণু ও নানারকম দুষিত পদার্থ থাকে। তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশগুলোতে এখনও এমনটা দেখা যায়। যার ফলে, লোকেরা প্রায়শ মদ বা আংগুর-রস খায়, কারণ তা দুষিত হবার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। ১ তীমথিয় ৫:২৩ পদে পৌল তীমিথিয়কে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন যেন সে জল খাওয়া বন্ধ করে দেয় (তার পেটের সমস্যা হতে পারে বলে), কিন্তু অল্প অল্প আংগুর-রস খায়। তখনকার দিনে, আংগুর-রস গেঁজিয়ে মদ তৈরী করা হোত, তবে তা এখনকার দিনের মত কড়া নয়। এটা যে একেবারে আংগুর-রস ছিল তা বলা ভুল; আবার এটাও বলা ঠিক নয় যে, তা ছিল আজকের দিনে ব্যবহৃত হুবহু মদের মত। তাছাড়া, শাস্ত্র কিন্তু নেশা হয় এরকম বিয়ার, মদ ইত্যাদি খেতে খ্রীষ্টিয়ানদের নিষেধ করে নাই। শুধুমাত্র কোনরকম নেশাযুক্ত পানীয় পাপের পথে নিতে পারে না। তবে মাতাল বা নেশায় আসক্ত হওয়া থেকে একজন খ্রীষ্টিয়ানকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে (ইফিষীয় ৫:১৮; ১ করিন্থীয় ৬:১২)।
সামান্য পরিমাণে মদ জাতীয় পানীয় কোন ক্ষতিকারক বা নেশায় আসক্ত করে না। সত্যি বলতে কি, কোন কোন ডাক্তার স্বাস্থ্যগত, বিশেষত হার্টের কারণে অল্প পরিমাণে মদ (রেড ওয়াইন) খেতে বলেন। অল্প পরিমানে মদ খাওয়া খ্রীষ্টিয়ানদের জন্য স্বাধীনতা বলা যায়, কিন্তু মাতাল কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে জিজ্ঞেস করতে পারেন।হওয়া বা নেশায় আসক্ত হওয়া পাপ। তবুও, যেহেতু বাইবেল মদ খাওয়া ও তার পরিণতির বিষয়ে সতর্ক করে দেয়, অতিরিক্ত মদ খেলে সহজেই প্রলোভিত হবার সম্ভাবনা থাকে এবং অন্যদের বিরুদ্ধে মন্দ কাজ করা বা অন্যদের জন্য বাধাজনক কাজ করার সম্ভাবনা থাকে; তাই স্বাভাবিকভাবে মদ খাওয়া থেকে খ্রীষ্টিয়ানদের দূরে থাকাই সবচেয়ে ভাল।





শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: